Image description

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েল হামলা চালানোর পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে গেছে। নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় বাজারে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ৮৮ সেন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৭৭ দশমিক ৫৮ ডলারে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট তেলের দাম বেড়ে হয়েছে ৭৬ দশমিক ২৫ ডলার।

বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েল-ইরান সংঘাত আরও বাড়বে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় বিনিয়োগকারীরা সতর্ক অবস্থানে আছে।

বিশ্ববাজারে অনেকেই এখন ইরানকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের জ্বালানি সংকটের আশঙ্কা করছেন। কারণ, ইরান ওপেকভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী। প্রতিদিন তারা উৎপাদন করে প্রায় ৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন ব্যারেল।

এর পাশাপাশি, ইরানের দক্ষিণ উপকূল ঘেঁষা হরমুজ প্রণালী দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১৯ মিলিয়ন ব্যারেল তেল পরিবহন হয়। এই পথ যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হলে বিশ্বজুড়ে জ্বালানির যোগান ব্যাহত হতে পারে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে দাঁড়াবে কি না—সেটি এখনই জানাবেন না। ফলে বাজারে আরও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে ইরান ট্যাংকার ও তেল পরিকাঠামোতে হামলা করতে পারে। এতে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে উঠবে।

এদিকে, মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছে। তবে তারা জানিয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে হার কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এতে তেলের চাহিদা বাড়লেও মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা রয়েছে।

তথ্য সূত্র : রয়টার্স