Image description

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত এখন আর সীমিত কোনো উত্তেজনা নয়, বরং ক্রমেই তা রূপ নিচ্ছে এক ভয়াবহ যুদ্ধের দিকে। ইসরায়েলের ধারাবাহিক টার্গেট কিলিংয়ের জবাবে এবার সরাসরি পাল্টা আঘাত হেনেছে তেহরান। ইরানি মিসাইল হামলায় ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আমান ও মোসাদের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর। আয়রন ডোমও এই হামলা প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এটি শুধু প্রতিশোধ নয়—বরং ইসরায়েলের নিরাপত্তাব্যবস্থার উপর এক বিশাল আঘাত।
এরই মধ্যে ইরান ঘোষণা করেছে, ইসরায়েলের প্রতিটি ইঞ্চি এখন তাদের বৈধ লক্ষ্য। হিব্রু ভাষায় হুমকি দিয়ে তেহরান স্পষ্ট করে দিয়েছে তাদের যুদ্ধ-সংকল্প। চীন নাগরিকদের ইসরায়েল ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে, আর রাশিয়ার ‘গোপন সহায়তা’র কথাও ঘুরছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

বিশ্বনেতারাও ছুটে বেড়াচ্ছেন সিদ্ধান্তহীনতার মাঝে। জি-৭ সম্মেলন অসমাপ্ত রেখেই দেশে ফিরেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মধ্যপ্রাচ্যের দিকে এগোচ্ছে দক্ষিণ চীন সাগর থেকে মার্কিন নৌবহর। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে উত্থাপিত হয়েছে ‘No War Against Iran Act’, যার ফলে প্রেসিডেন্টের একক সিদ্ধান্তে যুদ্ধ শুরুর ক্ষমতা নিয়ন্ত্রিত হতে পারে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি জানিয়েছেন, এই যুদ্ধে শহীদ হওয়াও পিছু হটার চেয়ে শ্রেয়। নিরাপত্তার কারণে সরানো হচ্ছে দেশের জাদুঘরের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শনগুলো।

তবে সবচেয়ে বড় আশঙ্কা—এই যুদ্ধ আর কেবল ইরান-ইসরায়েল সীমাবদ্ধ নেই। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, বড় শক্তিগুলোর সম্পৃক্ততা এবং কূটনৈতিক টানাপড়েন দেখে সহজেই অনুমান করা যাচ্ছে, ইতিহাসের পাতা হয়তো খুব শিগগিরই সাক্ষী হতে চলেছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনার।

এর সূচনা হতে পারে এখান থেকেই—মধ্যপ্রাচ্যের ধুঁইধুঁই করা অগ্নিকুণ্ড থেকে।