Image description

Shafquat Rabbee Anik শাফকাত রাব্বি অনিক)


 
কিছু চুম্বক অংশ বলি:
১.) ট্রাম্প এবং বিবির ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালো না, সেই ২০১৮ সাল থেকেই।
 
২.) ট্রাম্প এর রাইট উইং সাপোর্ট বেইজ কোন নতুন যুদ্ধ চায় না। ট্রাম্প এন্টি-ওয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইলেকশন জিতেছে।
 
৩.) এই প্রেক্ষাপটে ইসরাইল ট্রাম্পকে পায় এই বছরের জানুয়ারি মাসে। এই সময়ে ইজরায়েলের আবার অবস্থা খুবই ডিফারেন্ট।
ইজরাইল হিজবুল্লাহ ও হামাসের নেতৃত্বকে পুরা ধ্বংস করেছে জানুয়ারিতে ট্রাম্প আসার আগেই।
সিরিয়াতে অনেক এলাকা ইজরায়েল নিজের দখলে নিয়েছে।
ইরানের এক্সিস অফ রেজিস্ট্যান্স বলতে হিযবুল্লাহ, হামাস এবং কিছুটা বাশার আল আসাদ ছিল। ট্রাম্প আসতে আসতে এই তিন এক্সিসের প্রচুর ক্ষতি করে ফেলে ইসরাইল।
 
৪.) বছরের শুরুতে হিজবুল্লাহ সৈন্যদের পকেটে থাকা পেজার ডিভাইস দিয়ে অনেকের হাত পা উড়িয়ে দেয় ইজরাইল।
এই রকম প্রেক্ষাপটে ইজরাইল আমেরিকান প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টকে দুইটা পেজার উপহার দেয়। একটা সোনা দিয়ে বানানো আর একটা রূপা। এই গিফট ইজরাইল পাঠায় যুদ্ধ জয়ের সিম্বল হিসেবে।
ট্রাম্প এই উপহার পেয়ে ঘাবড়ে যায় (ডিসটার্বড ফিল করে)।
 
৫.) এই সময় ইজরাইল আমেরিকাকে জানায় তারা ইরানের এই দুর্বল মুহূর্তের সুযোগ নিয়ে তাদের পারমাণবিক চুল্লিতে আক্রমণ করতে চায়।
অন্যদিকে আমেরিকার সিআইএ জানায় ইরানে কোন পারমাণবিক অস্ত্র এখনো নাই এবং বানানো হচ্ছেও না।
ট্রাম্প হিসাব করে যে ঠিক আছে, ইরান যেহেতু অনেক উইক, এইটাই সময় একটা চুক্তি করে নেওয়া ইরানের সাথে।
 
৬.) ইজরাইল জানায় তারা একাই ঢুকে পড়তে প্রস্তুত যদি আম্রিকা না আসে। ট্রাম্প এবং রুবিও সি আই এর পরামর্শ নেয় এবং ধরে নেয় ইরানে পরমাণু অস্ত্র নেই, তাই ঢুকার কোন মাও নেই।
ইজরাইল বেশি পীড়াপীড়ি করলে আমেরিকা জিজ্ঞেস করে ইরানে ভেতরে না ঢুকে তারা কি হবে চুল্লি উড়াবে তার কোন উপায় তারা জানে কিনা?
এই সময় এপ্রিল মাসে ইজরাইল আমেরিকাকে প্রথম জানায় যে ইরানের ভেতরেই তাদের লোক ঢুকে বসে আছে। আম্রিকা তখন নড়েচড়ে বসে, তবে পুরুপুরি বিশ্বাস করে নাই।
 
৭.) এই সময় আম্রিকা অনেকদূর আগায় ইরানের সাথে শান্তি চুক্তিতে। ইরান সহ সব আরব দেশের জন্য পারমাণবিক জ্বালানি একটা কনসোর্টিয়াম এর মাধ্যমে দেবার একটা প্রস্তাব আমেরিকা দেয়। এই প্রস্তাব শুনে ইরানের খামেনি চুক্তি বিষয়ক আলোচনা বাতিল করে দেয়।
অন্যদিকে আমেরিকা একটা দ্রুত চুক্তি করে ফেলতে পারে ভেবে ইজরাইল দ্রুত আগানো শুরু করে চুল্লি আক্রমনের।
 
৮.) ইরানের নেতারা আমরিকান আলোচনা এবং ইজরায়েলের আক্রমণ এর প্রিপারেশন --- উভয় জিনিসই রিড করতে ভুল করে। বিশেষ করে নিজের দেশের ভেতর যে বিদেশি স্পাই ঢুকে রেডি হয়ে আছে এটা ইরান সম্পুর্ন ভাবে ধরতে ব্যর্থ হয়।
এই স্পাই প্রথম রাতেই ইরানে ব্যাপক হত্যা যজ্ঞ এবং ধ্বংস চালায়। যুদ্ধের মোর ঘুরিয়ে দেয়।
ইরানের একাধিক শীর্ষ নেতা মারা যায় এবং অনেকে লুকিয়ে পড়তে বাধ্য হয় প্রথম রাতেই। তাদের পরিণতি হিযবুল্লাহ নেতৃত্বের মতো হতে পারে এই চিন্তা ছড়িয়ে পরে দ্রুত।
 
৯.) যুদ্ধের ৪ দিনের মাথায় ইজরাইল ইরানের আকাশ সম্পুর্ন দখলে নিয়ে নেয়। তখন ইরানের আকাশে ইজরাইলি ফাইটার বাধাহীন উড়তে শুরু করে।
এটা দেখে ট্রাম্প বুঝে ফেলে ইজরাইলকে একা জিততে দেওয়া যাবে না। ক্রেডিট নিজের নিতে হবে।
সে দ্রুত তার পজিশন পরিবর্তন করে।
 
১০.) এখন ইরানের পারমাণবিক চুল্লি কিভাবে ভাঙ্গা হবে তার কাজ শুরু হয়েছে। সব চাইতে প্রাধান্য পাচ্ছে একটা আম্রিকান কনভেনশনাল অস্ত্র যেটা আগে কোন দিন ব্যবহার হয়নি। এটার ওজন ৩০,০০০ পাউন্ড এবং এক মাত্র আমেরিকান B-২ বিমান এতে নিয়ে উড়তে পারে।
ট্রাম্প এটা উড়াতে রাজি হচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে ইরানের চুল্লি উড়ানোর ক্রেডিট ট্রাম্প নিতে পারবে।
 
১১.) ইরানের হাতে এখন কোন ভালো অপশন নেই। ইরানের কোন বন্ধুই তার পাশে নেই।
রাশিয়া ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিয়ে ইউক্রেনে যুদ্ধ করেছে ঠিকই। কিন্তু এখন রাশিয়া নিজেই নি:স্ব, সে নর্থ করিয়া থেকে লোক এনে যুদ্ধ করছে। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে রাশিয়া আহামরি কিছু করবে না।
সিরিয়ার নতুন নেতা ইরানকে দেখতে পারে না, সিরিয়ার মানুষও পারে না।
হিযবুল্লাহ ঘোষণা দিয়েছে তারা এই যুদ্ধে জড়াবে না, কারণ তারা শান্তি চুক্তিতে আছে ইজরায়েলের সাথে।
বাকি থাকলো ইয়েমেন, নর্থ করিয়া, কিউবা, ভেনেজুয়েলা, এবং চায়না।
চায়না কিছু রসদ সাপ্লাই এর বাইরে কিছু দেবে না ইরানকে। বাকি রা সবাই গরীব বন্ধু।
 
১২.) ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সংখ্যা কমে আসছে এবং তারা ভবিষ্যতের জন্যে জমিয়ে রাখছে।
এই রকম প্রেক্ষাপটে ইরানের পারমাণবিক চুল্লি গুলোর হয় আসল জিনিস দ্রুত বানিয়ে ফেলতে হবে অথবা আক্রমণের শিকার হতে হবে।
এর বাইরে সমুদ্রগামী জাহাজে আক্রমণ করা শুরু করতে পারে ইরান লাস্ট রিজোর্ট হিসেবে। ইজরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও অল্প অল্প করে জিইয়ে রাখতে পারবে ইরান।
 
১৩.) এই ভাবেই এক সময় একটা সিজ ফায়ার হয়ে যাবে, যদি ইরানি সরকার টিকে থাকতে পারে।
যুদ্ধ দীর্ঘ দিন কন্টিনিউ করার সম্ভাবনা এখনো কম, কিন্তু সেইটা ডিপেন্ড করবে আগামী দুই তিন দিনে দুই শত্রু কার কত কি কি ক্ষতি সাধন করতে পারে তার উপর।