Image description

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা ও সংঘাতের জেরে জটিল ও বিপজ্জনক কূটনৈতিক অবস্থানে পড়েছে ইরাক। বিশ্লেষকরা বলছেন, একদিকে ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইরাক, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদার।

এই দ্বৈত ভূমিকা দেশটির জন্য বড় রকমের সংকট তৈরি করতে পারে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাজাদ জিয়াদ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইরাকে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার একটি বড় ধরনের ঝুঁকি রয়েছে। ইরাকিদের এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের হামলাকে সমর্থন করে, তবে ইরাকের প্রো-ইরান বা ইরানপন্থি গোষ্ঠীগুলো মার্কিন বাহিনী, বাগদাদে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস কিংবা কুর্দিস্তানের এরবিলের কনস্যুলেটকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে।

এ ধরনের হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ইরাকের অভ্যন্তরেই সামরিক অভিযান চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

সম্প্রতি ইরান দাবি করেছে, ইসরায়েল তাদের ওপর হামলার জন্য ইরাকের আকাশসীমা ব্যবহার করেছে। এ অভিযোগে ইরাকের প্রভাবশালী ইরানপন্থি গোষ্ঠীগুলো ক্ষুব্ধ হয়ে মার্কিন বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করছে। তাদের অভিযোগ, মার্কিন বাহিনী এই আকাশসীমা ব্যবহারে ইসরায়েলকে পরোক্ষভাবে অনুমতি দিয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে ইরাক নিজেই একটি নতুন যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে। দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, বিদেশি সম্পর্ক এবং সরকারের স্থিতিশীলতা, সবই এতে ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।