Image description

কলম্বিয়ার অন্তত ১৯ স্থানে বোমা ও বন্দুক হামলা হয়েছে। এসব হামলায় ড্রোনও ব্যবহার করা হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম কলম্বিয়ায় ভয়াবহ সেসব হামলায় কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছেন।

দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম শহর ক্যালি এবং আশপাশের বেশ কয়েকটি শহর লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় নিহতদের মধ্যে দুই পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির বুধবারের (১১ জুন) প্রতিবেদনে বলা হয়, গাড়িবোমা, মোটরসাইকেল বোমা, রাইফেল ফায়ার এবং একটি সন্দেহভাজন ড্রোন ব্যবহার করে হামলা হয়। কলম্বিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ১৯টি হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম কিছু হামলার সাথে একসময়ের শক্তিশালী গেরিলা গোষ্ঠী রেভোলিউশনারি আর্মড ফোর্সেস অফ কলম্বিয়ার একটি অংশের সম্পৃক্ততার দাবি করেছে। তবে বিবিসি স্বাধীনভাবে এটি যাচাই করতে পারেনি।

দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির পুলিশ স্টেশন, পৌর ভবন এবং বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে এ হামলায় দেশজুড়ে আতঙ্ক বইছে। বিভিন্ন শহরে মানুষজনের চলাচল কমে গেছে। অনেকে কর্মস্থল ছেড়ে বাসায় চলে গেছেন। হামলার স্থানগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে বের হতে অনুৎসাহিত করছে প্রশাসন।

রয়টার্স এবং এজেন্সি ফ্রান্স-প্রেসের তথ্য অনুযায়ী, নিহতের সংখ্যা সাতজন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আর আহতের সংখ্যা ২৮ থেকে ৫০ জনেরও বেশি।

কলম্বিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কাউকা অঞ্চলে ১২টি এবং ভ্যালে দেল কাউকা অঞ্চলে সাতটি হামলা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় এই সহিংসতাকে অবৈধ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মরিয়া প্রতিক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করেছে। কারণ, সম্প্রতি সামরিক বাহিনী ও পুলিশের বিশাল অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের অবৈধ কাঠামো এবং অর্থের জোগান ধ্বংস হয়ে গেছে।

রাজধানী বোগোটায় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মিগুয়েল উরিবে টারবেকে হত্যার চেষ্টা করার কয়েক দিন পর এই হামলাগুলো ঘটল। সে সময় ঘটনাস্থল থেকে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস জানিয়েছে, কিশোরটি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো স্বীকার করেনি। তার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা এবং অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে।

অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস আরও জানিয়েছে, একজন বিচারক কিশোরটিকে আটকের নির্দেশ দিয়েছেন। তার ব্যাপারে তদন্ত চলছে। আশা করি, গোয়েন্দারা সশস্ত্র গোষ্ঠীর ঘাঁটি খুঁজে বের করতে পারবে।