
লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে ঈদুল আজহার আগের রাতে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। ইসরাইলের দাবি, তারা হিজবুল্লাহর ড্রোন উৎপাদন কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলাগুলো চালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাতে এসব হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। হামলার আগে ওই এলাকার বেশ কয়েকটি ভবন থেকে বাসিন্দাদের সরে যেতে সতর্কবার্তা দিয়েছিল ইসরাইল।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, তারা হিজবুল্লাহর একটি ইউনিট শনাক্ত করেছে। তারা ভূগর্ভে ‘হাজার হাজার’ ড্রোন তৈরি করছিল এবং এতে অর্থায়ন করছিল ‘ইরানি সন্ত্রাসীরা’।
গত ছয় মাস ধরে ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চলছে। তা সত্ত্বেও গতকাল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে বৈরুতে হামলা চালায় ইসরাইল।
ইসরাইলের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক বার্তায় বলেন, ‘আমি এটিকে আমাদের মাতৃভূমি, দেশের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও অর্থনীতির ওপর একটি পরিকল্পিত ও সংগঠিত আক্রমণ হিসেবে দেখছি, বিশেষ করে ছুটি এবং পর্যটন মৌসুমের সময়।’
লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন এ হামলাকে ’আন্তর্জাতিক চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে বর্ণনা করেন
গাজা যুদ্ধ শুরুর আগে ইসরাইল ও ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর মধ্যে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সীমান্তে সংঘাত চলছিল। ফলে ইসরাইলি বাহিনী দেশটিতে ব্যাপক বিমান হামলা এবং দক্ষিণ লেবাননে স্থল হামলা চালায়।
এ সংঘাতে লেবাননে প্রায় চার হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল, যার মধ্যে অনেক বেসামরিক নাগরিকও ছিল। ১২ লাখেরও বেশি বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।