চীনের ফুচিয়ান প্রদেশের চাংচৌ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট বাণিজ্যিক কার্যক্রমে প্রবেশ করেছে। চায়না ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার কর্পোরেশন (সিএনএনসি) জানিয়েছে, ১৬৮ ঘণ্টার পরীক্ষামূলক পরিচালনার পর বুধবার এটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। চীনা সংবাদমাধ্যম সিএমজি এ খবর জানিয়েছে।
চাংচৌতে অবস্থিত প্রকল্পটি বিশ্বের বৃহত্তম হুয়ালং ওয়ান পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্র। ছয়টি মিলিয়ন-কিলোওয়াট স্তরের হুয়ালং ওয়ান রিয়েক্টর থাকবে এতে। এর মধ্যে ইউনিট ১-সহ চারটি ইউনিট নির্মাণাধীন। নির্মাণ সম্পন্ন হলে এটি ফুচিয়ানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
সিএনএনসি চাংচৌ এনার্জির মহাব্যবস্থাপক লি ফেং জানান, ফুচিয়ান-কুয়াংতোং বিদ্যুৎ সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা কুয়াংতোংয়েও বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবো। এখন চীনে ও চীনের বাইরে ৩৩টি হুয়ালং ওয়ান রিয়েক্টর চালু ও নির্মাণাধীন রয়েছে। এই রিয়েক্টর বিশ্বমঞ্চে চীনের পারমাণবিক শক্তি প্রযুক্তির জাতীয় প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
একটি হুয়ালং ওয়ান ইউনিট বছরে ১০ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টারও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে, যা ১০ লাখ মানুষের গৃহস্থালির বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। এ ধরনের একটি ইউনিট বছরে ৮১ লাখ ৬০ হাজার টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন কমাতে পারে, যা বছরে ৭ কোটি গাছ লাগানোর সমান।
এখন চীনের হুয়ালং ওয়ানের সম্পর্কিত যন্ত্রপাতির ৯০ শতাংশই তৈরি হচ্ছে চীনে। একটি হুয়ালং ওয়ান ইউনিট রপ্তানি হচ্ছে প্রায় ৩০ বিলিয়ন ইউয়ানে (প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)।