দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে গ্রেপ্তার করতে তাঁর বাসভবন ঘেরাও করা হয়েছে। তবে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর বলছে নিরাপত্তা বাহিনী তাঁদের প্রতিহত করার চেষ্টা করছে।ইওলের বাসভবনের সামনে তাঁর সমর্থকদের বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। ইওলের সমর্থকেরা পোস্টার ও ব্যানার নিয়ে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়েছেন। তাঁরা ইওলকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে স্লোগান দিচ্ছেন।দেশটির দুর্নীতি তদন্তকারী কার্যালয় বলছে, প্রেসিডেন্ট ইউন সুক–ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করা শুরু হয়েছে। তদন্তকারী কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও পুলিশকে ইওলের বাসভবনের ভেতরে ঢুকতে দেখা গেছে।
ঘটনাস্থলে থাকা এএফপির সাংবাদিকেরা জানান, জ্যেষ্ঠ কৌঁসুলি লি দায়ে হুয়ানসহ তদন্তকারী কর্মীরা কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনী পার হয়ে ওই বাসভবনের ঢোকার চেষ্টা করছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার ইওনহাপ সংবাদ সংস্থার খবর বলছে, ইওলের বাসভবনের ভেতরে থাকা সেনাবাহিনীর একটি দল তাঁদের প্রতিহত করেছে। প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তাকর্মীরা তদন্তকারীদের পরোয়ানা মানবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তাকর্মীরা এর আগে ইওলের বাসভবনে পুলিশের প্রবেশের চেষ্টা প্রতিহত করেছেন।ইওলের আইনজীবী ইওন ক্যাপ কিউন বলেছেন, বেআইনি পরোয়ানা কার্যকর করা বৈধ নয়।
ঘটনাস্থলে থাকা এএফপির সংবাদকর্মী জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের বাসভবন চত্বরে পুলিশের বেশ কয়েকটি বাস, কয়েক শ পুলিশকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।গতকাল বৃহস্পতিবার ইওলের সমর্থকদের সঙ্গে ইওলবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২ হাজার ৭০০ পুলিশ ও ১৩৫টি পুলিশের বাস ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে।দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে, তদন্তকারী কর্মকর্তারা ইওলকে গ্রেপ্তারের পর সিউলের কাছে গোয়াচিওনে তাঁদের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যেতে চান। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিধি অনুসারে তাঁকে সেখানে ৪৮ ঘণ্টা রাখা হতে পারে। তাঁকে হাজতে নিতে আরেকটি পরোয়ানার প্রয়োজন হবে।তদন্তকারী এক কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, সিউলের আদালত ইওলের বাসভবনে তল্লাশি চালানোর জন্য পরোয়ানা জারি করেছেন।