
উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীর সবচেয়ে ‘গুরুত্বপূর্ণ কাজ’ হলো ‘পুরোপুরি যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়া’।
শনিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার বিশেষ বাহিনীর সামরিক মহড়া পরিদর্শনের পর কিম বলেন, তার দেশকে ‘আধুনিক যুদ্ধের সব স্তরের’ জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
মহড়ার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, উত্তর কোরীয় সেনাবাহিনী তাদের ট্যাঙ্কগুলো অসম ও বালুময় ভূমির ওপর দিয়ে চালনা করছে। এ সময় চামড়ার কোট ও কালো প্যান্ট পরিহিত কিম তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে তা পর্যবেক্ষণ করছেন।
এ সময় তার চারপাশে অবস্থান করছিলেন জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, চিফ অব স্টাফ এবং সাধারণ রাজনৈতিক ব্যুরোর পরিচালকসহ সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা।
একপর্যায়ে কিম দূরবীন হাতে নিয়ে ট্যাঙ্কগুলোর গোলাবর্ষণ লক্ষ্য করেন। দৃশ্যত মহড়া দেখে বেশ মুগ্ধ ছিলেন তিনি।
এ মহড়ায় শারীরিক অনুশীলন ছাড়াও সমুদ্র ও আকাশপথের অভিযানও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, সৈন্যরা রাবারের নৌকা থেকে নেমে সৈকতের দিকে দৌড়ে যাচ্ছে এবং হেলিকপ্টার থেকে রশির সাহায্যে নিচে নামছে।
পর্যবেক্ষণ শেষে কিম বলেন, তার দেশের সেনাদের ‘প্রশিক্ষণ সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি’ এখন পরিবর্তিত হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হলো ‘সামরিক ও প্রযুক্তিগত প্রস্তুতির পরিপূর্ণতা অর্জন’ এবং ‘অস্ত্র ব্যবস্থাগুলোর যুদ্ধ দক্ষতা ও কার্যকারিতা’ বৃদ্ধি।
তিনি আরও বলেন, আধুনিক যুদ্ধের সবস্তরে প্রস্তুতি নিতে হবে। যার মধ্যে রয়েছে- প্রশিক্ষণে ‘আইটি সিস্টেম এবং বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ পদ্ধতির’ অন্তর্ভুক্তি।
সম্প্রতি, উত্তর কোরিয়ার সেনারা যে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধ করছে- কিম জং-উন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সে কথা স্বীকার করেছেন।
কিম সেই সৈন্যদের ‘যুদ্ধচেতনা ও বীরত্বের’ জন্য প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে একে ‘পবিত্র দায়িত্ব’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এটি উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার সম্পর্ককে ‘অটল শিলার মতো মজবুত’ করে তুলবে। সূত্র: মেহের নিউজ