
যুদ্ধবিমানের হামলার পর এবার ড্রোনের লড়াইয়ে মেতেছে ভারত ও পাকিস্তান। পাকিস্তানের ছয় শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর এক দিন পর দেশটির বিভিন্ন স্থানে সামরিক ড্রোন হামলার চেষ্টা চালিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা তাদের ভূখণ্ডে ২৫টি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। অন্য দিকে ভারত জানিয়েছে, তারা তাদের সেনাবাহিনীর ওপর একটি পাকিস্তানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ব্যর্থ করেছে। এর আগে গুলি চালিয়ে ভারতীয় ১২টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি জানিয়েছিল পাকিস্তান। দেশটির সেনাবাহিনী বলেছে, সশস্ত্রবাহিনী তাদের ‘সফট-কিল’ (প্রযুক্তিগত) ও ‘হার্ড-কিল’ (অস্ত্রশস্ত্রের ব্যবহার) দক্ষতা পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে ভারত থেকে পাঠানো ২৫টি ইসরাইলি হরপ ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে।
এ দিকে ভারতের হামলার পাল্টা জবাবে দেশটির উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলীয় অন্তত ১৫টি শহরে সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে পাকিস্তান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে বলে দাবি করেছে দিল্লি। ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার বলেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতভর ও সকালের দিকে জম্মু-কাশ্মির, পাঞ্জাব ও গুজরাটসহ দেশের ১৫টি শহরে সামরিক স্থাপনা নিশানা করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে পাকিস্তান। তবে এসব হামলায় ভারতে কোনো হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বরাতে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা বলেছে, ভারত ও পাকিস্তানশাসিত কাশ্মিরকে বিভক্তকারী নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানের সশস্ত্রবাহিনী ৪০ থেকে ৫০ জন ভারতীয় সৈন্যকে হত্যা করেছে। জাতীয় পরিষদে আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে তিনি এই দাবি করেন। তবে ভারত এই দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ভারতীয় ড্রোনের আঘাতে লাহোরের কোনো সামরিক স্থাপনা বা বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কোনো ক্ষতি হয়নি। এর আগে ভারত সরকার বলেছিল যে তাদের সেনাবাহিনী পাকিস্তানের একাধিক স্থানের বিমান প্রতিরক্ষা রাডার এবং সিস্টেমে আঘাত করেছে। এ দিকে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলের শহর লাহোরে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। রয়টার্সকে একজন প্রত্যক্ষদর্শী এ খবর জানিয়েছে। এ ছাড়া দেশটির জিও টিভিও একই খবর দিয়েছে।
অন্য দিকে পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ সামরিক অভিযানে শতাধিক ‘জঙ্গি’ নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় দিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠকে রাজনাথ এই দাবি করেন। তিনি বলেন, অভিযান এখনো শেষ হয়নি। তবে ভারত আর কোনো হামলা চালাতে চায় না। কিন্তু পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালালে তার উপযুক্ত জবাব দিতে ভারত প্রস্তুত।
এ দিকে কাশ্মির সীমান্তে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে রাতভর গোলাগুলি হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারত। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী এ খবর জানিয়েছে। এএফপির খবর অনুসারে রাতে জম্মু ও কাশ্মিরের কুপওয়ারা, বারামুলা, উরি ও আখনূর এলাকার উল্টো দিকে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাকিস্তান ও ভারতীর সেনাদের মধ্যে ছোট অস্ত্র থেকে গুলি ও কামানের গোলা বর্ষণ করা হয়।
ভারতের ১৫ শহরে হামলা : ভারতের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলীয় অন্তত ১৫টি শহরে সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে পাকিস্তান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার বলেছে, বুধবার দিবাগত রাতভর ও বৃহস্পতিবার সকালের দিকে জম্মু-কাশ্মির, পাঞ্জাব ও গুজরাটসহ দেশের ১৫টি শহরে সামরিক স্থাপনা নিশানা করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে পাকিস্তান। তবে এসব হামলায় কোনো হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।
ভারতের সরকার বলেছে, তাদের বাহিনী শ্রীনগর, পাঠানকোট, অমৃতসর, লুধিয়ানা, চন্ডীগড় এবং অন্যান্য স্থানের সামরিক স্থাপনায় পাকিস্তানের হামলার চেষ্টার জবাবে লাহোরসহ কয়েকটি স্থানে পাকিস্তানি আকাশ প্রতিরক্ষা রাডার ও অন্যান্য ব্যবস্থাকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। আর পাকিস্তানের একাধিক স্থানের সামরিক স্থাপনা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে ভারতীয় বাহিনী।
ভারতের বিভিন্ন শহরে পাকিস্তানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের জবাবে বৃহস্পতিবার সকালে একই মাত্রার পাল্টা হামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতের সামরিক বাহিনী। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে। অন্য দিকে রাডার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার কাজে ব্যবহারের লক্ষ্যে তৈরি হরপ ড্রোনের মাধ্যমে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় হামলা করা হয়েছে বলে ভারতের একাধিক সরকারি সূত্র দাবি করেছে। তারা বলেছে, ভারতের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলীয় ১৫ শহরে পাকিস্তানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ধ্বংস করার জন্য ভারতীয় সামরিক বাহিনী রাশিয়ার তৈরি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ ব্যবহার করেছে। ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, পাকিস্তানের ছোড়া ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করা হচ্ছে।
ইসরাইলি ড্রোন ব্যবহার : পাকিস্তানের সশস্ত্রবাহিনী গত বুধবার রাত থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রমণে পাঠানো ২৫টি ইসরাইলি হরপ ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে। সেনাবাহিনী বলেছে, পাকিস্তানের সশস্ত্রবাহিনী তাদের ‘সফট-কিল’ (প্রযুক্তিগত) ও ‘হার্ড-কিল’ (অস্ত্রশস্ত্রের ব্যবহার) দক্ষতা পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে ভারত থেকে পাঠানো ২৫টি ইসরাইলি হরপ ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে। সেনাবাহিনী আরো বলেছে, ‘৬ মে ভারতের বিমান হামলার জবাবে পাকিস্তানের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় দেশটির পাঁচটি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ও একাধিক ড্রোন ধ্বংস এবং কয়েকজন সেনার মৃত্যুতে ভারত আতঙ্কে ভুগছে।’ কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত বড় ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে উল্লেখ করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বলেছে, পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ভূপাতিত করা এসব ইসরাইলি হরপ ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ জড়ো করা হচ্ছে। শত্রুর প্রতিটি অশুভ পরিকল্পনা নস্যাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে।
শতাধিক নিহতের দাবি ভারতের : জম্মু-কাশ্মিরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় পাকিস্তানে ভারতের চালানো অপারেশন সিঁদুরে শতাধিক নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। গতকাল রাজধানী নয়াদিল্লিতে সর্বদলীয় এক বৈঠকে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এই দাবি করেন। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে কংগ্রেস নেতা অর্জুন খাড়গে বলেন, ‘তারা (সরকার) যা বলেছে আমরা তা শুনেছি। তারা কিছু তথ্য গোপনীয় থাকবে বলে জানিয়েছেন। আমরা বলেছি, আমরা সবাই সরকারের সাথে আছি।’
এর আগে বুধবার ভারত সরকারের একাধিক সূত্র পাকিস্তানে হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছিল। সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত অবকাঠামো ধ্বংস করে দেয়ারও দাবি জানায় ভারতীয় সেনাবাহিনী।
নিরাপদে আশ্রয়ে মার্কিন দূতাবাস কর্মী : পাকিস্তানের লাহোরে অবস্থিত মার্কিন কনসুলেট জেনারেল তাদের কর্মীদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, লাহোর ও তার কাছাকাছি এলাকায় ‘ড্রোন বিস্ফোরণ’ এবং ‘আকাশসীমায় সম্ভাব্য অনুপ্রবেশের’ খবর পাওয়া গেছে। এসব কারণেই দূতাবাস কর্মীদের সতর্ক করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স কনসুলেটের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতির বরাতে জানিয়েছে, লাহোরের প্রধান বিমানবন্দরের কাছে কিছু এলাকা কর্তৃপক্ষ খালি করছে বলেও প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানা গেছে। এ ছাড়া সরাসরি সঙ্ঘাত হচ্ছে এমন এলাকায় থাকা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সম্ভব হলে নিরাপদে ওই স্থান ত্যাগ করা এবং সম্ভব না হলে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন দূতাবাস।
পুঞ্চ এলাকা থেকে পালাচ্ছেন স্থানীয়রা : প্রচণ্ড গোলাগুলির কারণে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পুঞ্চ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে বহু মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দারা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানান, বুধবার ভোরে দিল্লির পক্ষ থেকে পাকিস্তানে বিমান হামলার পর গোলাবর্ষণের মাত্রা বেড়ে গেছে। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গোলাবর্ষণ হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্ত হিসেবে ব্যবহৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর।
শাহবাজ শরিফের হুমকি : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, ভারত আগ্রাসনের পথ বেছে নিয়ে ভয়াবহ ভুল করেছে। তারা ভেবেছিল পাকিস্তান পিছু হটবে, কিন্তু এখন ভারতকে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। ভারতের হামলার পর থএক টেলিভিশন ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্য এসেছে এমন এক দিনে, যখন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি এক বৈঠকে পাকিস্তানের সশস্ত্রবাহিনীকে ভারতীয় আগ্রাসনের জবাব দিতে এবং নিরীহ পাকিস্তানিদের মৃত্যু ও সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের প্রতিশোধ নিতে যেকোনো সময়, স্থান ও উপায়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়ার অনুমোদন দেয়।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, থভারত ভুলে গেছে, পাকিস্তানের বীরসন্তানরা সর্বদা দেশের সম্মান রক্ষার জন্য রক্তের শেষ বিন্দু পর্যন্ত লড়াই করেছে। তিনি বলেন, গোটা বিশ্ব দেখেছে, ভারতের সংখ্যায় বড় শত্রু কিভাবে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর সাহসী ঈগলদের হাতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নতজানু হয়েছে, যখন পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করা হয়, যা একসময় তাদের গর্ব ছিল। তিনি জানান, ভারতের কাপুরুষোচিত হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছে এবং আহত হন আরো ৪৬ জন। এর মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে।
বিমানবন্দর বন্ধ : ভারতের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ২১টি বিমানবন্দর চলাচলের জন্য ১০ মে ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সীমান্তে সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ভারত সরকারের নির্দেশে এ ঘোষণা দেয়া হয়। বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় সূত্রে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু পত্রিকার হাতে আসা একটি নোটিশ টু এয়ারম্যান (এনওটিএএম)-এ জানানো হয়েছে। এসব বিমানবন্দর ১০ মে সকাল পর্যন্ত সাময়িকভাবে ফ্লাইট চলাচলের বাইরে থাকবে। এই তালিকায় জম্মু-কাশ্মির ও লেহ-এর পাশাপাশি পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান ও গুজরাট রাজ্যের একাধিক বিমানবন্দর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এতে ভারতের অভ্যন্তরীণ রুটে বিপুলসংখ্যক ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে দেশটির এয়ারলাইন্সগুলো। এনওটিএএম অনুযায়ী, জম্মু ও শ্রীনগর (জম্মু-কাশ্মির), লেহ, অমৃতসর, চন্ডীগড়, পাতিয়ালা, হালওয়ারা (পাঞ্জাব), শিমলা ও ধরমশালা (হিমাচল প্রদেশ), যোধপুর, বিকানের, জয়সলমের, কিশনগড় (রাজস্থান) এবং ভূজ, জামনগর, রাজকোট, মুন্দ্রা, পোরবন্দর, কান্ডলা, কেশোদ (গুজরাট) বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এ ছাড়াও গোয়ালিয়র ও হিন্দন বিমানবন্দরেও ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে এক্স-এ জানিয়েছে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স।
অন্যদিকে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদসহ করাচি, লাহোর ও শিয়ালকোট বিমানবন্দরে বিমান চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। পাকিস্তান এয়ারপোর্টস অথরিটি এক বিজ্ঞপ্তিতে যাত্রীদের সর্বশেষ তথ্যের জন্য সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনগুলোর সাথে যোগাযোগ বজায় রাখতে অনুরোধ করেছে। গতকাল এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।