Image description

বর্তমানে কারাবন্দী পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দ্বিতীয়বারের মতো শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। গত ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠিত একটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স (পিডব্লিউএ) -এর সদস্যরা পাকিস্তানে  মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে কাজ করার জন্য খানের নাম মনোনয়ন করেন। পিডব্লিউএ  নরওয়েজিয়ান রাজনৈতিক দল পার্টিয়েট সেন্ট্রামেরও সদস্য। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে পার্টিয়েট সেন্ট্রাম বলেছে, ‘আমরা আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে কাজের জন্য আমরা ইমরান খানকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছি।’

২০১৯ সালে ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্ব কমানোর জন্য তার চেষ্টার জন্য ইমরানকে নোবেল পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল। পাকিস্তানের সংসদে একটি প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছিল। যেখানে বলা হয়েছিল, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বালাকোট বিমান হামলার সময় পাকিস্তানের মাটিতে আটক ভারতীয় বিমানবাহিনীর পাইলট উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে শত্রুতা প্রশমিত হয়েছিল। সেই সময় ইমরান বলেছিলেন, তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য নন।

নিজের এক্স হ্যান্ডলে লিখেছিলেন, ‘এই পুরস্কারের যোগ্য ব্যক্তি তিনিই হবেন, যিনি কাশ্মীরি জনগণের ইচ্ছা অনুসারে কাশ্মীর বিরোধের সমাধান করবেন এবং উপমহাদেশে শান্তি ও মানবোন্নয়নের পথ প্রশস্ত করবেন।’ 

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধান বর্তমানে একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণে কারাদণ্ড ভোগ করছেন। খান ২০২৩ সালের মাঝামাঝি থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দি রয়েছেন। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে ফেডারেল সরকারের সাথে পিটিআইয়ের বিরোধ চলছে এবং এর জেরে দেশে একাধিকবার বিক্ষোভ দেখান ইমরান সমর্থকরা। এ বছর জানুয়ারিতে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত একটি মামলায় তাকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এটি ছিল চতুর্থ বড় মামলা যেখানে সাবেক  প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রি, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁস এবং বেআইনি বিবাহ সম্পর্ক- এই তিনটি মামলার সাজা আদালত কর্তৃক বাতিল বা স্থগিত করা হয়েছে।

সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস