
ফ্রান্সের কট্টর ডানপন্থী নেত্রী মারিন লে পেন বড় বিপদে পড়েছেন। আদালত তাকে ইউরোপীয় তহবিলের টাকা নয়ছয়ের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে। ফলে, আগামী পাঁচ বছর তিনি কোনো নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না। এই রায়কে তিনি বলছেন, "গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।"
লে পেনকে চার বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। তবে দুই বছর ইলেকট্রনিক ব্রেসলেট পরে বাড়িতে থাকবেন। আর দুই বছর স্থগিত রাখা হয়েছে। তাকে ১০০,০০০ ইউরো জরিমানাও করা হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এই রায় নিয়ে বিশ্বজুড়ে হইচই লেগেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প বললেন, "বড় ঘটনা!" বললেন, "আমার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে!" ইলন মাস্কও লে পেনের পক্ষ নিলেন। বললেন, "এটা ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে আসবে!"
বিচারক জানিয়ে দিলেন, "আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়!" তবে ফ্রান্সের রাজনৈতিক মহলে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। লে পেনের দল ‘ন্যাশনাল র্যালি’ রায়কে বলছে, "গণতন্ত্রের খুন!" দলীয় সমর্থকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে।
লে পেন সহজে হার মানবেন না। বললেন, "আমি লড়াই চালিয়ে যাবো!"
এদিকে, তার বদলে কে নেতৃত্ব নেবে, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। তরুণ নেতা জর্ডান বারডেলার নাম আসছে। কিন্তু তার অভিজ্ঞতা কম। তাই দলে ভেতরে অনেকেই দ্বিধায়।
লে পেনের ভবিষ্যৎ কী? এখন সবাই সেই প্রশ্নই করছে।