
আমেরিকানরা লোহিত সাগর নিয়ে এখন এতটাই ভীত যে বেসামরিক বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। এটিকে যেন আমেরিকানদের আরেকটি পরাজয় বলে মনে হচ্ছে। এই ঘটনা আমেরিকার জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি বয়ে আনবে।
ইয়েমেন লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজকেও নিশানা করেছে। আর অব্যাহত হামলার কারণে লোহিত সাগর এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এলএসইজি শিপিং রিসার্চ ধারণা করছে, বাণিজ্যপথ পাল্টানোর কারণে ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে জাহাজ চলাচলের সময় দ্বিগুণ হতে পারে। সেই সাথে প্রতি যাত্রায় প্রায় এক মিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত খরচ গুনতে হতে পারে।
ভূমধ্যসাগর ও ভারত মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হচ্ছে লোহিত সাগর। এটি ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে সংক্ষিপ্ততম বাণিজ্যপথ। এই পথে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের উদ্বেগের বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইয়েমেন।
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালায় ইসরাইল। গাজা যুদ্ধে ইসরাইলকে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রতিবাদে লোহিত সাগরে চলাচলকারী ইসরাইল-সংশ্লিষ্ট জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে ইয়েমেন।
অব্যাহত হামলার কারণে লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে ভিন্ন নৌপথ ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। এতে সমুদ্রবাহিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, ফলে বেকায়দায় পড়েছে ওয়াশিংটনও।