Image description

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে দেশটির রাজধানী আঙ্কারায় বৈঠক করেছেন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতিনিধিরা। সেখানে তারা বলেছেন, গাজা উপত্যকায় সর্বাত্মক যুদ্ধবিরতি এবং সেখান থেকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী প্রত্যাহারের বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য হামাস প্রয়োজনীয় সকল নমনীয়তা প্রদর্শন করতে প্রস্তুত রয়েছে।

রুশ বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, হামাস প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলা জরুরি বলে মনে করছেন।

তুরস্কের রাজধানীতে আলোচনার পর প্রতিরোধ আন্দোলনের টেলিগ্রাম চ্যানেলে পোস্ট করা তাদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে হামাস বলেছে, ‘হামাস প্রতিনিধিদলের সদস্যরা জোর দিয়ে বলেছেন, তারা ইসরাইলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলা জরুরি বলে মনে করছেন।’ একইসঙ্গে তারা বলছেন, অতি দ্রুত গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধ করা জরুরি।

 

হামাস আরো বলেছে, গাজা উপত্যকায় ব্যাপক যুদ্ধবিরতি, ফিলিস্তিনি বন্দীদের জন্য জিম্মি বিনিময় এবং ছিটমহল থেকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী প্রত্যাহারের বিষয়ে চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজনীয় সকল নমনীয়তা প্রদর্শন করতে তারা প্রস্তুত রয়েছে।

 
 

হামাসের মুখপাত্র আব্দুল লতিফ আল-কানু এর আগে বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের প্রস্তাবিত গাজা সংঘাত নিরসনের পরিকল্পনা নিয়ে হামাস মধ্যস্থতাকারীদের সাথে আলোচনা করছে।

 

জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে, ইসরাইল ও হামাস গাজায় বন্দী মুক্তি এবং ছিটমহলে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার জন্য মিশর, কাতার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এক চুক্তিতে পৌঁছায়।

তিন-পর্যায়ের ওই চুক্তিটি ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। ১ মার্চ শেষ হওয়া চুক্তির ৪২ দিনের প্রাথমিক পর্যায়ে হামাস ৩৩ জন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়। বিনিময়ে ইসরাইল ১,৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেয়।