Image description

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক আঞ্চলিক শান্তি সংক্রান্ত মন্তব্য পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কঠোর ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটি বলছে, মোদির এই মন্তব্য ‘ভ্রান্ত ও একপাক্ষিক’ এবং এতে কাশ্মীর ইস্যুকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। 

সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মোদি সম্প্রতি মার্কিন পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ভারত শান্তি স্থাপনের চেষ্টা করলেও পাকিস্তান শত্রুতা ও বিশ্বাসঘাতকতার মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। 

এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘বুদ্ধিমত্তা প্রাধান্য পাবে’ এবং ইসলামাবাদ সম্পর্কোন্নয়নে এগিয়ে আসবে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মোদির এই মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছে। এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ভারত মিথ্যা ভুক্তভোগী সাজার নাটক করছে, অন্যদিকে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ উসকে দিচ্ছে এবং ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরে দমননীতি চালাচ্ছে'।

এতে আরও বলা হয়, ‘ভারতের উচিত অন্যদের দোষারোপ না করে নিজ দেশের গোপন হত্যাকাণ্ড, ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দিকে মনোযোগ দেওয়া’।

এদিকে কাশ্মীর ও দক্ষিণ এশীয়ায় স্থিতিশীলতা প্রসঙ্গে পাকিস্তান আবারও জোর দিয়ে বলেছে, জম্মু ও কাশ্মীরসহ সব বিরোধপূর্ণ ইস্যুর সমাধান গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব।

এ নিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারতের কঠোর ও আধিপত্যবাদী নীতির কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা জিম্মি হয়ে আছে’।

একই সঙ্গে, ‘ভারতীয় নেতৃত্বের পাকিস্তানবিরোধী বক্তব্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও বিষাক্ত করছে এবং শান্তি ও সহযোগিতার সম্ভাবনা বাধাগ্রস্ত করছে’ বলেও উল্লেখ করা হয়।

ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অভিযোগ

পাকিস্তান ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি নাগরিকদের ‘বিচারবহির্ভূত’ হত্যার অভিযোগ তোলে।

ইসলামাবাদ দীর্ঘদিন ধরে নয়া দিল্লিকে বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসবাদ উসকে দেওয়ার জন্য দায়ী করে আসছে।

পাকিস্তানের দাবি, ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থাগুলো বিদেশের মাটিতে হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রে জড়িত।

পাকিস্তানের বক্তব্য অনুযায়ী, ভারত যদি সত্যিই আঞ্চলিক শান্তি চায়, তাহলে কাশ্মীর সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান এবং পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। পাকিস্তান ‘ফলপ্রসূ আলোচনা ও বাস্তবসম্মত সমাধান’ চাইলেও, ভারতের একপাক্ষিক নীতির কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না বলে মনে করে ইসলামাবাদ।