Image description

গাজায় নৃশংসতার দায়ে এ বছরের উলফ পুরস্কার গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পাকিস্তানি স্থপতি ও সংরক্ষণবিদ ইয়াসমিন লারি। 

১৯৭৮ সালে ইসরাইলে প্রবর্তিত এই পুরস্কার প্রতিবছর বিজ্ঞানী ও শিল্পীদের অসামান্য কৃতিত্বের স্বীকৃতি হিসেবে দেওয়া হয়।  এর লক্ষ্য ‘(বিভিন্ন জাতির) মানুষের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক’ গঠন।

বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন এই তথ্য জানিয়েছে। 

স্থাপত্য ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে অসাধারণ কাজ করে যাচ্ছেন ইয়াসমিন লারি। তিনি পাকিস্তানে নিবন্ধিত প্রথম নারী স্থপতি।অসামান্য সব ডিজাইনের পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে তার প্রচেষ্টাও বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি অর্জন করেছে।

ইয়াসমিন লারি ডনকে বলেন, ‘আমাকে এটা করতেই হতো। আমার কোনো বিকল্প ছিল না। আমাকে করতেই হতো। নাহলে আমরা আর কী করতে পারি? আমাদের হাত বাঁধা। আমরা এখানে বসে আছি… ওদের (মধ্যপ্রাচ্যের মানুষদের) থেকে অনেক, অনেক দূরে। তাই আমি মনে করি, একজনকে অবশ্যই জানাতে হবে তার অবস্থান কোথায়।’

ইয়াসমিন লারি ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার অর্জন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ২০২৩ সালের রয়্যাল গোল্ড মেডেল ফর আর্কিটেকচার। এই পুরস্কারটি ব্রিটেনের রাজা রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ব্রিটিশ আর্কিটেক্টসের সুপারিশে দিয়ে থাকেন।

এছাড়া, তিনি ২০২০ সালে জেন ড্রু পুরস্কারও জয় করেছেন।