Image description

ইউক্রেন সংকট নিয়ে লন্ডনে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন বিশ্বনেতাদের সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ।’ চলমান যুদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতির পরিবর্তন মোকাবিলায় ইউরোপকে আরও শক্তিশালী হতে হবে বলে তিনি জোর দেন।

 

রোববার (২ মার্চ) লন্ডনের ল্যাংকেস্টার হাউসে আয়োজিত এই সম্মেলনে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ও জোটের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও এতে অংশ নেন। মূলত, ইউক্রেনের চলমান সংকট মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণ এবং দেশটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপায় খুঁজতে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

 

বৈঠকে উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, ইউরোপের নিরাপত্তা জোরদার করা এখন সবচেয়ে জরুরি। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে হবে এবং বড় পরিসরে অগ্রসর হতে হবে।’ তিনি আরও জানান, ইউক্রেন যেন আত্মরক্ষা করতে পারে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে এবং এই লক্ষ্যে ব্যয় বৃদ্ধি করা এখন অতি প্রয়োজনীয়।

 

বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিও বার্তা দেন তিনি। ট্রাম্পের অবস্থান স্পষ্ট করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আপনার সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত গণতন্ত্র রক্ষার জন্য। তবে কেউই প্রতিবেশী দেশে হামলা চালিয়ে কিংবা শক্তি প্রয়োগ করে সীমান্ত পরিবর্তন করতে পারে না, এ নীতিতে আমরা অটল থাকবো।’

 

তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চললেও, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে। সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং নির্ধারিত চুক্তি বাতিল করা হয়। এই অবস্থায় ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা নতুন কৌশল গ্রহণে উদ্যোগী হয়েছে, যা লন্ডনের সম্মেলনে প্রতিফলিত হয়েছে।

 

এই সম্মেলন ইউরোপের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা পরিকল্পনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইউক্রেনের পক্ষে পশ্চিমা বিশ্ব এখনও দৃঢ় অবস্থানে থাকলেও যুদ্ধের অবসান এবং দীর্ঘমেয়াদি শান্তির পথ এখনো অনেক কঠিন। তবে এই সম্মেলনের মাধ্যমে ইউক্রেনের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন আরও সুসংহত হলো।