
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের একটি মাদ্রাসা মসজিদে জুমার নামাজের সময় ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় পাঁচ মুসল্লি নিহত এবং বহু মুসল্লি আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আক্কোরা খাট্টাক জেলার জামিয়া হাক্কানিয়া মাদ্রাসার অভ্যন্তরে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর এপি।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান আবদুল রশিদ জানান, যখন বিস্ফোরণটি ঘটে, তখন মসজিদে জুমার নামাজের জন্য বিপুলসংখ্যক মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এবং পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে তদন্ত শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মাদ্রাসাটি আফগান তালেবানের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে পরিচিত, যা এ হামলার পেছনে সম্ভাব্য উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিস্ফোরণের ধরন ও সম্ভাব্য হামলাকারীদের খুঁজে বের করতে নিরাপত্তা বাহিনী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রমজানের আগে এটি ছিল শেষ জুমার নামাজ, তাই মসজিদে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মানুষের সমাগম হয়েছিল। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সেদিনই ছুটিতে যাওয়ার কথা ছিল, ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারত।
এদিকে, হামলার পর পুরো এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
রমজানের প্রাক্কালে এ ধরনের হামলা পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। দেশের ধর্মীয় ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি পরিকল্পিত হামলা হতে পারে, যা সামনের দিনগুলোতে আরও নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।