Image description
 

জার্মানিতে সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে  সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। প্রায় ছয় কোটি ভোটার আগামী চার বছরের জন্য তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। খবর বিবিসির।এবারের নির্বাচন দেশটির ভবিষ্যৎ ইউরোপীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। ভোটকেন্দ্রগুলো বন্ধ হওয়ার পরপরই সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে প্রাথমিক ফলাফল বা এক্সিট পোল প্রকাশিত হবে।জার্মানির জনমত জরিপ প্রতিষ্ঠান এআরডি-ডাচল্যান্ডট্রেন্ডের সবশেষ জরিপ অনুসারে, জার্মান জনগণের কাছে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো অভিবাসন, যা ৩৭ শতাংশ মানুষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন। গত মাসের তুলনায় এটি ১৪ শতাংশ বেড়েছে।এছাড়া অর্থনীতির অবস্থা, সশস্ত্র সংঘাত, পররাষ্ট্রনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ সুরক্ষা, অসমতা, দারিদ্র্যতা, শিক্ষা, সন্ত্রাস ও অপরাধ, পেনশন ব্যবস্থা, মুদ্রাস্ফীতি ও স্বাস্থ্যসেবার মতো বিষয়গুলো আলোচনায় রয়েছে।

 

অবশ্য জরিপ বলছে, সম্প্রতি অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ কিছুটা কমেছে। এ অবস্থায় নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রধান দলগুলো বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।নির্বাচনী জরিপে দেখা গেছে, মধ্য-ডানপন্থি দল ক্রিশ্চিয়ান গণতান্ত্রিক দল (সিডিইউ) ও তাদের বাভারিয়ান সহযোগী দল ক্রিশ্চিয়ান সামাজিক দল (সিএসইউ) এগিয়ে রয়েছে। তারা কট্টর ডানপন্থি জার্মানির জন্য বিকল্প (এএফডি) দলটির তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ এগিয়ে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে এএফডি ভালো ফলাফল করলেও সিডিইউ-সিএসইউ এখনো সবচেয়ে শক্তিশালী দল হিসেবে গণ্য হচ্ছে।এবারের নির্বাচনে জোট সরকার গঠনের সম্ভাবনা থাকলেও জনপ্রিয় চ্যান্সেলর প্রার্থী হিসেবে সিডিইউ-সিএসইউর নেতা ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎস এগিয়ে আছেন। তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস (এসপিডি) ও ভাইস চ্যান্সেলর রবার্ট হাবেকের (সবুজ দল) জনপ্রিয়তা হ্রাসের কারণে।এবারের নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে সরাসরি সরকারের নেতৃত্ব পাবেন না। বরং তারা জোট গঠন করে সরকার পরিচালনার চেষ্টা করবেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব দলেরই লক্ষ্য- একটি শক্তিশালী সরকার গঠন করা, যার মাধ্যমে দেশটির আগামী চার বছরের রাজনীতি পরিচালিত হবে।