Image description

শিগিরই ভারত ও চীনের মতো দেশগুলোর ওপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করা হবে। মার্কিন পণ্যের ওপর এই দেশগুলো যে শুল্ক আরোপ করে, যুক্তরাষ্ট্রও সেই একই শুল্ক আরোপ করবে। শুক্রবার একথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি  বলেন, ‘আগে আমরা এই কাজ করিনি। তবে আমরা শিগগিরই পালটা শুল্ক নীতির পথেই হাঁটব। ওরা আমাদের ওপর কর চাপাচ্ছে, আমরাও ওদের ওপর কর চাপাব। সংস্থা হোক বা দেশ, চীন  কিংবা ভারত। যেমন শুল্ক চাপানো হচ্ছে, আমরাও তেমন পদক্ষেপ নেব।’শুল্কনীতির ক্ষেত্রে কার্যত চীন ও ভারতকে এক বন্ধনীতে ফেললেন ট্রাম্প। ওয়াশিংটনে মোদির সঙ্গে বৈঠকের আগে ভারতের শুল্কনীতির সমালোচনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বলেন, ‘ওদের প্রচুর শুল্ক, ব্যবসা করাই কঠিন’। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টেসলার সিইও ইলন মাস্কের সাক্ষাৎ সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে ট্রাম্প বলেন, ‘তারা দেখা করেছেন। আমার ধারণা তার (মাস্কের) ভারতে ব্যবসা করার ইচ্ছে রয়েছে। যদিও উচ্চ শুল্কের কারণে সেখানে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ওদের ওখানে সর্বোচ্চ শুল্ক দিতে হয়।’

 

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘তিনি (মাস্ক) একটি কোম্পানি চালাচ্ছেন বলেই দেখা করেছিলেন (মোদির সঙ্গে)।’পারস্পরিক শুল্কের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে, ট্রাম্প ভারতের অতীতের বাণিজ্য নীতিগুলো তুলে ধরেন। হার্লে-ডেভিডসন মোটরসাইকেলের উদাহরণ টেনে বলেন যে কীভাবে আমেরিকান কোম্পানিগুলোকে অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক এড়াতে বিদেশে উৎপাদন ইউনিট স্থাপন করতে বাধ্য করা হয়েছে।ট্রাম্প মনে করেন ভারতের মতো অনেক দেশই রয়েছে যারা প্রচুর শুল্ক আরোপ করে, তবে ভারত এদের থেকে সবার ওপরে।  এককথায় বলতে গেলে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘বন্ধু’ সম্বোধন করলেও, শুল্কনীতির বেলায় ভারতকে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে রাজি নন ট্রাম্প।

সূত্র : এনডিটিভি