Image description

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক গড়া হবে না বলে জানিয়েছে সৌদি আরব। দেশটি আরও বলেছে, ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূখণ্ড থেকে বাস্তুচ্যুত করার কোনো চেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সৌদির অবস্থানের বিষয়ে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই।

সৌদি আরব ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি জানাচ্ছে না বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের পর আজ বুধবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে রিয়াদ। বিবৃতিতে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের উদ্বৃতি করে বলা হয়, তিনি ‘সুস্পষ্টভাবে’ সৌদি আরবের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ফিলিস্তিনিরা অন্য জায়গায় পুনর্বাসিত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেবে এবং গাজাকে নতুন করে গড়ে তুলবে। সেখানে নেতানিয়াহু বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিলে ইসরায়েল সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করবে এবং সফল হবে।

তার এমন মন্তব্যের পরই সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক্স-এ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সৌদি আরব তার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে এবং তা ছাড়া ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে না।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার পূর্বসূরি জো বাইডেন উভয়ই ইসরায়েল ও সৌদি আরবের কূটনৈতিক সম্পর্ককে সমর্থন করেছেন। দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে আলোচনাও শুরু হয়েছিল। তবে গাজা সংঘাতের শুরুতে রিয়াদ এই বিষয়ে অস্থায়ী আলোচনা স্থগিত করে এবং যুদ্ধ অব্যাহত থাকায় তাদের বক্তব্য আরও কঠোর করে।

ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ২০২০ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মরক্কো এবং বাহরাইনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে। এরপর মনে করা হচ্ছিল, আরব বিশ্বের সবচেয়ে ধনী অর্থনীতি এবং ইসলামের দুটি পবিত্র স্থানের অভিভাবক সৌদি আরবের সঙ্গেও একই ধরনের চুক্তি হতে পারে ইসরায়েলের।

সৌদি আরব ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় না, তবে ২০২০ সাল থেকে মার্কিন প্রতিরক্ষা চুক্তি এবং বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচিতে ওয়াশিংটনের সহায়তার বিনিময়ে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য আলোচনা করছে।