Image description

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) তিনটি হল, চারটি প্রতিষ্ঠান ও একটি ভবন থেকে শেখ পরিবারের সদস্যদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রায় ১০ মাস পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজেন্ট বোর্ড। সম্প্রতি রিজেন্ট বোর্ডের ৪১তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের ৩৬তম সভায় এসব হল, প্রতিষ্ঠান ও ভবনের নাম পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়। জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবনা ও মতামতের ভিত্তিতে এই সুপারিশ করে একাডেমিক কাউন্সিল। এর মধ্যে সবগুলো সুপারিশ অনুমোদন দেওয়া হলেও একটি সুপারিশে সামান্য সংশোধন এনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে বনলতা হল। একইভাবে শেখ রেহানা হলের নাম অপরাজিতা হল এবং শেখ রাসেল হলের নাম রাখা হয়েছে শহীদ তিতুমীর হল।

এছাড়া বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার অ্যান্ড বাংলাদেশ স্টাডিজের নাম পরিবর্তন করে ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ, শেখ হাসিনা কৃষি ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন করে ইনস্টিটিউট অব এগ্রিকালচার, শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির নাম পরিবর্তন করে ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি রাখা হয়েছে।

নাম পরিবর্তন হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজেরও। এর নতুন নাম গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এছাড়া শেখ মুজিবের নামে নির্মাণাধীন ম্যুরাল কমপ্লেক্সের নতুন নাম হিসেবে গোবিপ্রবি ‘ম্যুরাল কমপ্লেক্স’ রিজেন্ট বোর্ডে অনুমোদিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ও মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। রিজেন্ট বোর্ডের অনুমোদনের পর এখন এসব নাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আনুষ্ঠানিক নথি, সাইনবোর্ড ও প্রকাশনায় প্রয়োগ করা হবে বলে জানা গেছে।

এর আগে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এর আগে প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিল ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।’