
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দুই ঘণ্টার মধ্যে নানা অভিযোগ করেছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়। তার অভিযোগ ভোটারদের হাতের আঙুলে অমোচনীয় কালি ব্যবহারের কথা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হলেও ভোট দেয়ার সাথে সাথে কালি মুছে যাচ্ছে। এতে ভোটে কারচুপির আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া আইটি ভবনের একটি কক্ষে বেশকিছু ব্যালটে সাক্ষর না থাকার অভিযোগও করেছেন তিনি।
বুধবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি ভবন থেকে ভোট প্রদান শেষে সাংবাদিকের সাথে ব্রিফিংয়ের সময় তিনি এসব অভিযোগ তোলেন ৷
এসময় সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় বলেন, প্রশাসন বারবার আমাদের আশ্বাস দিয়েছে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন তারা আমাদের উপহার দেবে ৷ কিন্তু দিনের শুরুতেই দেখছি সেটির ব্যত্যয় ঘটছে ৷ ৫ মিনিটের মধ্যে অমোচনীয় কালি উধাও ৷ কোনো চেষ্টা না করলেও সাথে সাথে কালি মুছে যাচ্ছে। এতে যেকেউ কয়েকবার ভোট দিয়ে দিতে পারেন ৷ এছাড়া একটি কক্ষে বেশকিছু ব্যালট সাক্ষর ছাড়া রয়েছে ৷
তিনি আরও বলেন, ছবি দেখে ভোটারকে শনাক্ত করার ব্যবস্থা রাখলেও সেটি তেমন একটা কার্যকর নয় ৷ আমার মুখে বর্তমানে দাঁড়ি রয়েছে, কিন্তু তালিকার ছবিতে নেই। তাহলে কিভাবে সম্ভব ২৮ হাজার ভোটারকে এভাবে শনাক্ত করা ৷ সহজ যেই উপায় সেটাতেই তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।
সাজ্জাদ হোসেন আরও বলেন, আমরা জয় পরাজয় মেনে নেব। আমরা ভোট বর্জনের জন্য আসিনি ৷ আমরা শিক্ষার্থীদের হয়ে কাজ করতে এসেছি। কিন্তু চবি প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে। আমরা বলব, ইতিহাস আপনাদের ক্ষমা করবে না ৷ ডাকসু ও জাকসু থেকে শিক্ষা নিয়ে তাদের উচিত ছিল এসব বিষয়ে সচেতন থাকার। কিন্তু বাস্তবে সেটির প্রতিফলন ঘটেনি।
এ সময় হৃদয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসীন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমানসহ দলটির প্যানেলের জিএস, এজিএস ও অন্যান্য প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন৷