ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে অস্থায়ী আদালত বসিয়ে বিডিআর বিদ্রোহের বিচারকার্য সম্পাদনের নোটিশ জারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। রাতভর আন্দোলনের পর সকালেও শিক্ষার্থীদের সড়কে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ভোর থেকে পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যদের অস্থায়ী আদালতে প্রবেশে বাধা দেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, এ মাঠ শিক্ষার্থীদের। কারা কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে দখল করে সেখানে আদালত পরিচালনা করেছে।
এ বিষয়ে নাজির আহমদ নামে এক শিক্ষার্থী জানান, ‘আমরা বিশ্বাস করি, জুলাই বিপ্লবের পরে আমরা আমাদের মাঠ ফিরে পাব। আগামী এক ঘন্টার মধ্যে আমাদের মাঠের বিষয়ে সমাধান চাই । দ্রুত সমাধান না আসলে আমরা শিক্ষার্থীরা সমন্বয় করে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবো।’
জানতে চাইলে এপিবিএন মিরপুর ইউনিটের সাব ইন্সপেক্টর বাবুল হোসেন বলেন, ‘লোকাল থানার অফিসারের কাছ থেকে জানুন। আমি এবিষয়ে বক্তব্য দিতে পারছি না।’
ঘটনাস্থলে উপস্থিত শাহবাগ থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) মাহমুদুল হাসান জানান, ‘এ বিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই । আমাদের ওসি স্যার আসবে উনি বিস্তারিত জানাবেন।’
গভীর রাতে উত্তাল ঢাকা আলিয়া
ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার মাঠের গেটে দেয়া তালা গভীর রাতে ভেঙ্গে ফেলার জেরে বিক্ষোভ করছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে শিক্ষার্থীদের দেয়া তালা কেটে ফেলে চকবাজার থানা পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা বকশিবাজার মোড়ে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।
জানা যায়, শেখ হাসিনা সরকারের আমল থেকেই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আসছে ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া ঢাকা। বিডিআর হত্যা মামলার বিচার কাজের জন্য হাসিনা সরকারের আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঢাকা আলিয়ার খেলার মাঠকে অস্থায়ী আদালতে রূপান্তর করা হয়। এরপর কয়েক দফায় সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত মেয়র তাপসের নেতৃত্বে মাঠ দখল করা হয়।
শিক্ষার্থীরা জানায়, ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ঢাকা আলিয়া শিক্ষার্থীরা তাদের মাঠ ফিরে পেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ ও আইন মন্ত্রণালয় মাঠটিকে ঢাকা আলিয়ার মাঠ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে।
এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা মাঠের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। এরপর আজ রাত সাড়ে ১২ টার দিকে চকবাজার থানা পুলিশ এসে তালা কেটে দেয়। এরপর তাৎক্ষণিক আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদে জানায়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত সরে পরে।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত হয়ে ঢাকা আলিয়ার উপাধ্যক্ষ মো. আশরাফুল কবীর বলেন, তারা কাটার বিষয়টি নিয়ে আমি কিছু জানতাম না। প্রশাসনের লোকজন আছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলে আমি দেখি বিষয়টি কি। তারপর তোমাদের সঙ্গে কথা বলবো।