
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের ছাঁদ থেকে লাফ দিয়ে সঞ্জু বাড়ই নামে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। আজ সোমবার (১৪ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হলটির নবনির্মিত রবীন্দ্র ভবনে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন হলের প্রাধ্যক্ষ দেবাশীষ পাল।
সঞ্জু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী। আত্মহত্যা করার ৫ ঘণ্টা আগে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি।
পোস্টে সঞ্জু লিখেছেন, ‘আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি, আমি দিনের পর দিন কাউকে ডিস্টার্ব করে গেছি, উল্টো মানুষকে দোষারুপ করা আমার একদম ঠিক হয় নি।’
সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি লেখেন, ‘আমি সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি দিনের পর দিন অন্যায় করেছি, নিজের দোষ ঢেকে অপরজনকে দোষ দেয়া আমার ঠিক হয় নি। আমি সকলের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি, আমার কারণে কারো কোনো ক্ষতি হলে সে দায় একান্তই আমার, আমি ক্ষমা চাচ্ছি।’
শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট দেবাশীষ পাল দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আনুমানিক ৫টা ৩৬ মিনিটে একজন ক্লিনার তার কাজ করতে গিয়ে তাকে (সঞ্জু) লাফ দিতে দেখে। পরবর্তীতে তা দারোয়ানকে জানালে সে আমাকে অবগত করে এবং অন্যান্যদের সহায়তায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আমি ও হলের হাউজ টিউটরাও মেডিকেলে চলে যাই। তখন ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, আমরা প্রথমে তার পরিচয় শনাক্ত করতে পারছিলাম না। পরবর্তীতে শাহবাগ থানা থেকে পুলিশ এসে তার পকেট থেকে একটা নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রশ্ন পায়। তারপর আমরা তার বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের কাছ থেকে তার পরিচয় জানতে পারি সে ওই বিভাগের শিক্ষার্থী।
আত্মহত্যার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সঞ্জুর সহপাঠীদের কাছ থেকে জানা যায়, তার একটি অ্যাফেয়ার (প্রেমের সম্পর্ক) ছিল। সেটা নিয়ে সমস্যার কারণে কিছুদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিল। তার বন্ধুদের সাথে কথা বলে জানতে পারি গত দুইদিন ধরে সে হলে থাকে না। তার এক বাল্যবন্ধুর বাসায় থাকতো। সেখান থেকে এসে আজ হলের ছাদ থেকে সে লাফ দেয়।