Image description

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) রিসার্চ সেলে ৪৩ লাখ টাকার নয়ছয়ের ঘটনা ঘটেছে। হিসাবে গরমিল, অর্থ আত্মসাৎ এবং আর্থিক কেলেঙ্কারি প্রভৃতি আর্থিক দুনীর্তির কারণে সেলটির কম্পিউটার অপারেটর কাওসার হামিদ চৌধুরী জিকুকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তামজিদ হোছাইন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ হতে এ বিষয়টি জানা যায়। 

অফিস আদেশে বলা হয়, শিক্ষকদের গবেষণা প্রকল্পের সমন্বয়ের জন্য প্রাপ্ত ভ্যাট-ট্যাক্সের প্রায় ৩০ লাখ টাকা সময়মতো সরকারি কোষাগারে জমা দেয়নি জিকু। এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদেও কোনো সদুত্তর না পাওয়া যায়নি। তাছাড়া কর্তৃপক্ষের অগোচরে ব্যক্তিগত কাজে এসব টাকা খরচ করা এবং উল্লিখিত অর্থ একাউন্টে জমা করার নির্দেশ দেয়া হলেও তা জমা না করা এবং সাম্প্রতিক অডিট টিম কর্তৃক প্রায় ১৩ লাখ টাকা জরিমানাসহ প্রায় ৪৩ লাখ টাকার হিসাবে গরমিল, অর্থ আত্মসাৎ, তছরূপ ও আর্থিক কেলেঙ্কারির কারণে জিকুকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

অফিস আদেশে আরো বলা হয়, জিকুর বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে মর্মে তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়েছে এবং তার বাবা আগামী এক মাসের মধ্যে এই টাকা ফেরত দিবেন মর্মে অঙ্গীকারের ভিত্তিতে তাকে নিজের জিম্মায় নিয়েছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তামজিদ হোছাইন চৌধুরী বলেন, হিসাবে গরমিল এবং আর্থিক কেলেঙ্কারির কারণে তাকে শোকজ করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তার বাবা ১ মাসের মধ্যে এ টাকা ফেরত দিবেন বলে তার জিম্মায় নিয়ে যান। ইতিমধ্যে আমরা আরেকটি নোটিশ দিয়েছি। যেখানে বলা হয়েছে, কেউ যাতে তার সাথে কোনো আর্থিক লেনদেনে না যায়।  

তিনি আরো বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহার পর অফিস খোলা হলে এ ঘটনার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এখানে তিনি একাই জড়িত নাকি কোনো সিন্ডিকেট আছে সেগুলোও খুঁজে বের করা হবে। পরবর্তীতে তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।