Image description

পতিত আওয়ামী সরকারের সময়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি। দীর্ঘ ১০ বছর পর আবারও চালু হয়েছে এ পদ্ধতি। অধিভুক্ত কলেজগুলোয় প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা আজ শনিবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত একযোগে সারা দেশের ১৩৭টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

গতকাল শুক্রবার সকালে ধানমন্ডির জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এএসএম আমানুল্লাহ। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য জানান, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫ লাখ ৬০ হাজার ৫৯৫। এর মধ্যে মানবিক শাখায় ২ লাখ ৭৪ হাজার ৭১৮ জন, বাণিজ্য শাখায় ১ লাখ ১৭ হাজার ৩৬ জন এবং বিজ্ঞান শাখায় ১ লাখ ৬৮ হাজার ৮৪১ জন।

উপাচার্য জানান, সবগুলো পরীক্ষাকেন্দ্র জেলা সদরে নির্ধারণ করা হয়েছে। চলমান প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কোথাও যদি পরীক্ষার্থীরা আসতে না পারে তাহলে সেখানে বিশেষ ব্যবস্থায় ভর্তি পরীক্ষা নেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তবে আবহাওয়া সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা নেই।

এর আগে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর বর্তমান উপাচার্যের উদ্যোগে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে উপাচার্য প্রফেসর এএসএম আমানুল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক সংস্কার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এই ভর্তি পরীক্ষা তারই একটি অংশ। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কী কারণে এই পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়েছিল তা আগের প্রশাসনই জানে। তবে উচ্চশিক্ষার ৭০ ভাগ নিয়ন্ত্রণকারী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে মিনিমাম স্ট্যান্ডার্ড থাকা দরকার। সেজন্যই এটি চালু করেছি।

এ সময় জানানো হয়, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে গ্রহণের জন্য উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভর্তি প্রস্তুতি পর্যালোচনা ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য পরিদর্শন টিম গঠন করা হয়েছে। দেশের প্রায় আড়াই হাজার কলেজে অনার্স পর্যায়ে ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি আসন রয়েছে বলে জানা গেছে।