Image description

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের কার্যক্রম পরিচালনায় অন্তর্বর্তী প্রশাসকের দায়িত্ব পাচ্ছেন ঢাকা কলেজের সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক একেএম ইলিয়াস। এজন্য তাকে আগামী দুই বছরের জন্য ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এসব কলেজের কার্যক্রম পরিচালনার প্রধান দপ্তর হবে ঢাকা কলেজে। তবে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় না হওয়া পর্যন্ত এই সাত কলেজের কার্যক্রম ইউজিসির তত্ত্বাবধানেই থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের এক সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ায় চুক্তি ভিত্তিতে অধ্যাপক একেএম ইলিয়াসকে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছর মেয়াদে তাকে এ নিয়োগ দেওয়া হয়।

ঢাকার এ সাত সরকারি কলেজ হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এসব কলেজে শিক্ষার্থী রয়েছেন প্রায় দুই লাখ। শিক্ষক এক হাজারের বেশি।

শনিবার সরকারি সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের কার্যক্রমের অংশ হিসাবে অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রজ্ঞাপনের দাবিতে সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানলে আজ সোমবার থেকে মাঠে কঠোর কর্মসূচিসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। 

এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে এ সাত কলেজের জন্য নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর নাম হবে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’। নতুন এ বিশ্ববিদ্যালয় চলবে ‘হাইব্রিড মডেলে’। এখানে ৪০ শতাংশ ক্লাস অনলাইনে আর ৬০ শতাংশ ক্লাস সশরীর নেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। নতুন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনকার মতো একেকটি কলেজে সব বিষয় পড়ানো হবে না। এক বা একাধিক কলেজে অনুষদভিত্তিক ক্লাস হবে। যেমন সরকারি তিতুমীর কলেজে হতে পারে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত বিষয়গুলোর ক্লাস। এভাবে অন্য কলেজে হতে পারে অন্য অনুষদভুক্ত বিষয়ের ক্লাস।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পূর্ণকালীন সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান যুগান্তরকে বলেন, সাত কলেজের জন্য নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার আগে অন্তর্বর্তী প্রশাসক হিসাবে ঢাকা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমরা সাত কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।