Image description

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী এম. আনিছুল ইসলামের (কাজী আনিছ) বিরুদ্ধে বেনামী মেইলে উত্তরপত্রসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর মেইলের ড্রাইভ লিংকে থাকা তথ্যের ফাইলগুলো গায়েব করা হয়েছে।

 

আজ রবিবার রাতে মেইলের ড্রাইভ লিংকে প্রবেশ করলে ফোল্ডারটি খালি দেখাচ্ছে অথবা লিংকে প্রবেশ করা যাচ্ছে না।

এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক জাকির ছায়াদুল্লাহের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তদন্ত চলাকালীন এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি তিনি। 

তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নুরুল করিম চৌধুরী জানান, ‘বিষয়টা একান্তই তদন্ত কমিটির বিষয়। তারা কীভাবে বিষয়টা নিয়ে কাজ করবে এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারছিনা।’

এমন ঘটনায় একই দিনে পাঁচ দাবি জানিয়ে ওই বিভাগের ঘটনা সংশ্লিষ্ট ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দেন।

স্মারকলিপিতে পরীক্ষার পূর্বে অতিদ্রুত তদন্ত করে একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রদানের দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া অভিযোগের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রমাণাদি বিনষ্ট করার চেষ্টা, অভিযোগের সাথে যুক্ত শিক্ষার্থীর খাতা জব্দ করা এবং আগামী পরীক্ষার পূর্বে অভিযুক্তের খাতার সাথে প্রমাণাদি মিলিয়ে প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রদানের দাবি করেন। পাশাপাশি, ৩০৬ কোর্সের বিফোর ফাইনালের ফলাফল এসাইনমেন্ট মিড নেওয়া ব্যতীত নম্বরিং করার অভিযোগও করেন তারা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা স্মারকলিপি হাতে পেয়েছি এবং বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছি। ইতোমধ্যে এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছে এবং তাদের সিদ্ধান্ত ও উপস্থাপিত প্রমাণের ভিত্তিতে পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। যারা দোষী সাব্যস্ত হবেন, তাদের অবশ্যই যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হবে।’

প্রসঙ্গত, গত ১১ মার্চ দিবাগত রাতে এক বেনামী মেইল থেকে কাজী এম. আনিছুল ইসলামের বিরুদ্ধে তার বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের এক ছাত্রী বিরুদ্ধে পরীক্ষার আগেই উত্তরসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ দিয়ে প্রশাসনসহ কয়েকজন সাংবাদিকের কাছে মেইল করা হয়। পরের দিন অনুষ্ঠিতব্য ওই বর্ষের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা পেছানো হয় এবং প্রশাসন থেকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।