‘আদিবাসী’ ইস্যুতে রক্ত ঝরেছে রাজধানীর বুকে। এই রক্তপাত দেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশের অন্যতম অভিনেত্রী জয়া আহসান। তিনি এই ঘটনার বিপরীতে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আমাদের ঈমান’ নিয়ে।
এর আগে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একদল লোক পাঠ্যবইয়ে ‘আদিবাসী’ লেখা গ্রাফিতিটি পুনর্বহালের দাবিতে এনসিটিবির সামনে কর্মসূচি পালন করতে যান। একই সময়ে সেখানে হাজির হয় পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসী’ শব্দ প্রবেশ এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানবিরোধী অখণ্ড ভারতের কল্পিত গ্রাফিতি সংযোজনের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তিসহ পাঁচ দফা দাবিতে ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি’ নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে ঘটে বাদানুবাদ। বিশেষ করে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’র বেশ কয়েকজন সদস্য গুরুতর আহত হয়।
সেই ঘটনার প্রতিবাদে জয়া আহসান বলেন, ‘‘‘আদিবাসী’ নাগরিকদের রক্তে ঢাকার রাস্তা যেভাবে রক্তাক্ত করা হলো, সেটা মর্মান্তিক। এই রক্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জখম-আত্মা থেকেই বের হলো। কারণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আদিবাসীরাও শরিক হয়েছিল।’’
ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘একদিকে আমরা সংবিধানের বৈষম্য দূর করতে চাচ্ছি, অন্যদিকে সংবিধানের দোহাই দিয়ে আদিবাসীদের ওপর হামলা করছি। আমাদের ঈমান ঠিক আছে তো? এ দেশ থেকে সব ধরনের বৈষম্য দূর হোক।’এদিকে বুধবার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে সাধারণ ছাত্র-জনতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। শিক্ষাভবনের সামনে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। এই সময় দুপক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে তিন শিক্ষার্থীসহ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় সংবাদের ছবি সংগ্রহ করতে গিয়ে বাংলা ট্রিবিউনের ফটোসাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেনও আহত হন।