
বাড়িতে কারও ডায়াবেটিস থাকলে পরিবারের ছোট সদস্যদেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়। আর তাই এক্ষেত্রে পরিবারের ছোটদের প্রতি বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
চিকিৎসকদের মতে, বর্তমান সময়ের খাদ্যাভ্যাস বা অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য শিশুদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। ছোট থেকে ওবেসিটির সমস্যা থাকলে পরে গিয়ে দেখা যাচ্ছে শিশুর ডায়াবেটিস। এজন্য শুরু থেকেই প্রতিরোধ করা জরুরি।
শিশুর সুস্থাতয় করণীয়
কিছু বিষয় আছে যেসব বিষয়ে বাবা-মাকে বাচ্চার ছোটবেলা থেকেই সতর্ক হতে হবে।
সক্রিয় থাকা
এখনকার বেশিরভাগ বাচ্চারা দেখা যায় মোবাইল বা ট্যাবে দিন পার করে দেয়। যে সময়ে তাদের খেলার কথা সে সময় তারা মোবাইল, ট্যাবের সাথে সময় কাটাচ্ছে। এজন্য শিশুর খেলার সঙ্গী না থাকলে বাবা-মায়ের উচিত হবে তার সাথে খেলা, সময় কাটানো। এমন কোনো খেলা যার মাধ্যমে শরীর নড়াচড়া হয়। একটা শিশুর প্রতিদিন কমপক্ষে ৬০ মিনিট দৌড়ঝাপ করা জরুরি।
শিশুর ওজন নিয়ন্ত্রণ
শিশুর ওজন যদি বয়সের তুলনায় বেশি হয় তবে তা অবশ্যই গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে। প্রথমে আপনার শিশুকে বোঝান ওজন কমানো কেন জরুরি, তারপর সেই অনুযায়ী তার খাবারের চার্ট তৈরি করে ফেলুন।
মিষ্টি জাতীয় খাবার কমানো
বাচ্চারা সব সময় মিষ্টি খাবার খেতে পছন্দ করে। কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত যেন আপনার বাচ্চা মিষ্টি খাবার না খায় সে বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। বাচ্চাকে কথায় কথায় ক্যান্ডি,জুস বা অন্যান্য প্রসেস ফুড খাওয়ার কথা বলবেন না।
স্বাস্থ্যকর নাস্তা
নাস্তায় অস্বাস্থ্যকর খাবার না দিয়ে ফল জাতীয় খাবার দেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে শরীরও ভালো থাকবে আবার পেটও ভরবে।
স্ক্রিনটাইম সীমিত করা
বেশি সময় নিয়ে টিভি, ল্যাপটপ, মোবাইল বা ট্যাবের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে তা সমস্যার কারণ হতে পারে। এজন্য শিশুর স্ক্রিনটাইম একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিন।
সময়মত রাতের খাবার খাওয়া
শুধু রাতের খাবারই না প্রত্যেক বেলার খাবারই শিশুকে সময়মত দেওয়ার চেষ্টা করুন। আর খাওয়ার সময় টিভি বন্ধ রাখুন। কারণ গবেষণা বলছে টিভি দেখতে দেখতে খাওয়া-দাওয়া করলে অনেক বেশি খাওয়া হয়ে যায়।