
ঢালিউডের আলোচিত-সমালোচিত অভিনেতা শরীফুল রাজ। ‘গুণিন’ সিনেমার সেটে নায়িকা পরীমনির সঙ্গে আলাপ, প্রেম। একসময় বিয়ের পিঁড়িতেও বসেন তারা। দুজনের সংসার আলো করে আসে সন্তানও। কিন্তু দাম্পত্য জটিলতায় পড়ে বিচ্ছেদ ঘটে দুজনের। এখন পরীমনি আর রাজ দুই জগতের বাসিন্দা। রাজ আছেন সিনেমার ব্যস্ততায়, অন্যদিকে কাজ আর দুই সন্তানকে নিয়ে সুখের সংসার পরীর।
- বিচ্ছেদের পর বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে পরী জানিয়েছেন, বাবা হিসেবে সন্তানের প্রতি কোনো দায়িত্বই পালন করেননি শরিফুল রাজ। সবটা তার নিজেরই সামলাতে হয়েছে। বিশেষ কোনো দিনেও পূণ্যের পাশে দেখা মেলেনি রাজের। যেসব ঘটনা নিয়ে আক্ষেপও শোনা গেছে পরীর কণ্ঠে। একইসঙ্গে ক্ষোভও ছিল প্রাক্তন স্বামীর প্রতি। এবার প্রাক্তনকে রীতিমতো ধুয়ে দিলেন তিনি। আজ রবিবার সকালে শরীফুল রাজকে উদ্দেশ্য করে এক ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন পরীমনি। যেখানে পরী লেখেন, রাত জাগা আর নির্ঘুম রাত, মোটেও এক না সোনা! মা হয়ে দেখো শুধু। বাচ্চার গায়ে একটা মশার কামড়ও নিতে পারবা না। আর সেখানে বাচ্চার ১০৪ জ্বর তো মায়ের দম বন্ধ হয়ে থাকার মতো।
- অভিনেত্রী এরপর লিখলেন, তার ওপর একা মা হয়ে বাচ্চার এই ফেস নেওয়া যায় না..জাস্ট ট্রাস্ট মি! রাত জেগে নেটফ্লিক্স, বন্ধুরা, পার্টি, আড্ডা, লং ড্রাইভ অথবা রেনডম ফেইসবুক স্ক্রলে লেপ্টে থাকা সবই উপভোগ্য। শুধু বিস্বাদ লাগে এই বাধ্য হয়ে থাকা দায়িত্বের বেড়াজাল তাই না? ‘কাদের লাগে জানেন? যারা সুযোগ বুঝে বাচ্চার সাথে কয়েক সেকেন্ড ভিডিও রেকর্ডে মিথ্যা ইমোশন শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শুধু মায়েদেরই এসব বিস্বাদ লাগে না।’
শরিফুল রাজকে উদ্দেশ্য করে পরী বলেন, ‘একবার ভাবো তো, দিনের শুরু থেকে শেষ অব্দি কি কি করে একজন মা! তুমি ভাবতেও পারবা না জানোয়ার। ভাবা লাগেওনি তো বাবাদের কখনো! যারা বাবা হয় তারা সব জানে। জেনেই সব আগলে রাখে....। পরীর বাচ্চাদের এমন সো কল্ড বাপের মোটেও দরকার নাই। অন্তত এতদিনে সেটা প্রমাণিত তোমার কাছে সোনাটা। ওদের কাছে ওদের মা-বাপ আমি একাই সব। কারণ ওরা এটাই বুঝে বুঝে বড় হচ্ছে। কিন্তু আমাকে বুঝ দেয়ার মতো তোমার কিচ্ছু নেই সোনা জীবনে আর।
- প্রাক্তনের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে পরীমণি লিখেছেন, ‘আমি সব মাফ করলেও আজীবন আমার এই ঘেন্নায় তোমাকে বাঁচতে হবে সোনা। মরে গেলে তো বেঁচেই যেতা। হসপিটালের আপডেট যায় তো সোনা তোমার ফোনে! ওসব দেখে অন্ধ হয়ে যাও না কেন তুমি? কিছু ঘেন্না (ঘৃণা) খোলাই হয়।’