Image description
বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠানে ৪৬২ শিক্ষকের মধ্যে উপস্থিতি ৩৪ জন। | শাবিপ্রবি প্রতিনিধি

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, উদযাপন কমিটির সভাপতি মিলিয়ে শিক্ষকের উপস্থিতি ছিল মাত্র ৩৪ জন। আলোচনায় সভায় কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রায় ২০ জন এবং ১২ জন সাংবাদিকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও দর্শক সারিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আসনগ্রহণ করেন।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় শিক্ষকদের অনুপস্থিতির সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো।

সরেজমিনে দেখা যায়, আলোচনা সভায় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, বিভিন্ন দপ্তরের প্রশাসকরা উপস্থিত থাকলেও বিভাগীয় প্রধানদের উপস্থিতি তেমন ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী সমর্থিত দুই শিক্ষক প্যানেল ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ’ ও ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তচিন্তা চর্চা ঐক্যবদ্ধ’। এই দুই প্যানেলের দুই আহ্বায়ক ও কয়েকজন শিক্ষক ছাড়া অধিকাংশ শিক্ষকই আলোচনা সভায় অনুপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটরিয়ামে জাতীয় অনুষ্ঠানগুলোর আয়োজন করা হয়। কিন্তু মিনি অডিটরিয়ামের সংস্কার কাজ চলায় এ বছর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজন করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমিতি নির্বাচনের তথ্য অনুযায়ী, ৪৬২ জন শিক্ষকের মধ্যে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় ৩৪ শিক্ষকের উপস্থিতি একটি শূন্যতার পরিবেশ তৈরি করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বলেন, প্রতিবছর জাতীয় দিবসগুলো উদযাপন উপলক্ষে অফিস নির্দেশনাসমূহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ, দপ্তর, আবাসিক হলগুলোতে পাঠানো হয়। এ বছরও শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসের কর্মসূচির অফিস নির্দেশনা সকলের অবগতির জন্য যথাসময়ে পাঠানো হয়েছে।

শাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালনের কর্মসূচি নেওয়া হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল- কালো ব্যাজ ধারণ, জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পুষ্পস্তবক অর্পণ, শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মরণে আলোচনা সভা এবং শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন।