Image description

করোনাভাইরাস নিয়ে আবারও বিস্ফোরক দাবি করল আমেরিকা। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ পশুপাখিদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ায় বলে এর আগে জানিয়েছিল। কিন্তু শনিবার প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, চীনের ল্যাবরেটরি থেকে কোনওরকমে ওই ভাইরাস ছড়িয়ে থাকতে পারে। মার্কিন এই সংস্থার তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, করোনা কোনও প্রাকৃতিক ভাইরাস নয়। এটি পরিকল্পিতভাবে ল্যাবটরিতে তৈরি করা হয়েছিল। বাইডেনের আমলে সিআইএ প্রধানের নির্দেশে এই রিপোর্ট তৈরি করেছিল। তবে বাইডেন সরকার তা প্রকাশ করেনি। 

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসতেই চীনকে নিশানায় নিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে রিপোর্টটি। পূর্বে অবশ্য আমেরিকার দাবি ছিল, হয় প্রাকৃতিক বা কৃত্রিমভাবে এই ভাইরাস তৈরি করা হয়। কিন্তু এই রিপোর্ট নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ ল্যাবরেটরি থেকেই ভাইরাস ছড়িয়েছিল বলে যে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে, তার সপক্ষে প্রমাণে ঘাটতি রয়েছে, চূড়ান্ত ভাবে কিছু বলা সম্ভব নয় এবং কিছু তথ্যপ্রমাণ পরস্পর বিরোধী বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। 

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পরই হঠাৎ কেন পুরনো ফাইল সামনে আনা হল, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে এই নয়া রিপোর্টেও নির্দিষ্ট কোনও উত্তর নেই। বরং বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিতর্কের অবসান কোনও দিনই হবে না। চীনের তরফেও এ নিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে না সেভাবে। তবে কোভিড-১৯  ভাইরাসের উৎপত্তি জানতে এখনও অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে সিআইএ।

সিআইএ-র সর্বশেষ রিপোর্টকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়েছে চীন। বেইজিং বলছে, ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে আমাদের মানহানি করার ষড়যন্ত্র চলছে এবং এর জন্য শুধুমাত্র বৈজ্ঞানিক দিক বিবেচনা করা উচিত। এমনকি করোনা মহামারীর সময়েও চীন করোনা ছড়ানোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল যে, পশ্চিমা মিডিয়া গুজব ছড়াচ্ছে। অতিমারির সঙ্কট কেটে গেলেও, এখনও তার ফল ভুগতে হচ্ছে বিশ্বকে। আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতিতেও তার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব অনুভূত হচ্ছে। সেই আবহে নতুন করে ট্রাম্প সরকার চীনের বিরুদ্ধে ফাইল খোলার সিদ্ধান্ত নেয়ায়, কূটনৈতিক সংঘাত জোরাল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

যদিও আরকানসাসের রিপাবলিকান সেনেটর টম কটনের দাবি, চীনের ল্যাবরেটরি থেকেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে থাকতে পারে। এখনও পর্যন্ত সেটিকেই বিশ্বাসযোগ্য তত্ত্ব বলে মনে হয়েছে তার। পৃথিবীতে বিপর্যয় নামিয়ে আনার জন্য চীনকে এর ফল মূল্য চোকাতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

সূত্র : বিবিসি