Image description
 
 

গাজা উপত্যকায় প্রায় কিছুই অবশিষ্ট নেই। যুদ্ধবিধ্বস্ত এই অঞ্চল পুনর্গঠনে ১০ থেকে ১৫ বছর সময় লাগতে পারে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) গাজা সফর শেষে এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ। খবর রয়টার্সের।

গাজা সফরের পর মার্কিন সংবাদ ওয়েবসাইট অ্যাক্সিওসকে উইটকফ বলেন, লোকেরা উত্তর গাজায় তাদের বাড়িতে ফিরে যাচ্ছে এবং কী হয়েছে তা দেখতে যাচ্ছে। তারপর আবার চলে আসছে। সেখানে কোনো পানি ও বিদ্যুৎ নেই। সেখানে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা সত্যিই অবাক করার মতো।

রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগকারী এবং ট্রাম্পের নির্বাচনে অর্থদাতা উইটকফের কাতার ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। তিনি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন তদারকি করতে এই অঞ্চলে এসেছিলেন।

তার এই মন্তব্য এমন সময়ে এলো যখন গাজাবাসীকে আরব বিশ্বের কিছু দেশে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প। তার ভাষায়, সে সব দেশে গাজাবাসীরা গেলে হয়তো শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন। তবে ট্রাম্পের এই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা।

এক্সিওসকে উইটকফ বলেন, তিনি ট্রাম্পের সাথে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে আলোচনা করেননি।

জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, ইসরায়েলের বোমাবর্ষণে গাজায় ৫০ মিলিয়ন টনের বেশি ধ্বংসস্তূপ তৈরি হয়েছে। এসব ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে ২১ বছর সময় লাগতে পারে। এর জন্য ১.২ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

উইটকফ এক্সিওসকে বলেন, এই ধারণা রয়েছে যে আমরা পাঁচ বছরের মধ্যে গাজার জন্য একটি শক্ত পরিকল্পনা করতে পারি। কিন্তু এটা অসম্ভব। এটি ১০ থেকে ১৫ বছরের পুনর্গঠন পরিকল্পনা।

তিনি বলেন, সেখানে কিছুই নেই। অনেক বিস্ফোরক রয়েছে। সেখানে হাঁটা নিরাপদ নয়। এটি খুব বিপজ্জনক। আমি সেখানে গিয়ে পরিদর্শন না করলে এটা জানতে পারতাম না।