Image description

বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমদানি অনুমতির সংখ্যা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর- এই দুই দিনে প্রতিদিন ৫৭৫টি করে আমদানি অনুমতি বা আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু করা হবে। প্রতিটি আইপির বিপরীতে সর্বোচ্চ ৩০ টন করে পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ থাকবে। এতে দুদিনে ৩৪ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে।

রোববার রাতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 
 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আবেদনের শর্ত আগের মতোই বহাল থাকবে। অর্থাৎ ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, কেবল তারাই এই দুই দিনে পুনরায় আবেদন করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের বেশি আবেদন করতে পারবেন না।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং জানিয়েছে, গত আট দিনে সরকার ভারত থেকে মোট ১৯ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। 

 

এর আগে ৭ ডিসেম্বর প্রতিদিন ৫০টি আইপির বিপরীতে দেড় হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। তবে তাতেও বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে না আসায় আমদানি শুরুর আট দিনের মাথায় দৈনিক আমদানির পরিমাণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্তের প্রথম দিনেই ২০০টি আইপি ইস্যু করা হয়। এসব আইপির বিপরীতে অনুমোদিত পরিমাণ অনুযায়ী প্রতিদিন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন আমদানিকারকেরা, তবে আইপি প্রতি ৩০ টনের বেশি পেঁয়াজ আনা যাবে না।

বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর বাজারদর তথ্য অনুযায়ী, রোববার ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৮০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা দরে। 

এর আগে ২০২৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল সর্বনিম্ন ৯০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১২৫ টাকা। যদিও ৭ ডিসেম্বর থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ স্থলবন্দর দিয়ে দেশের বাজারে প্রবেশ শুরু হয়েছে। তবে রোববার পর্যন্ত টিসিবির বাজারদরের তালিকায় আমদানিকৃত পেঁয়াজের দামের ঘরটি শূন্যই ছিল।