Image description

মার্কিন আদালত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেয়ার পর বিশ্ববাজারে কমতে শুরু করেছে স্বর্ণের দাম। যা গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৯ মে) স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্সে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৬৮ ডলারে। যা গত ২০ পর সর্বনিম্ন। আর ফিউচার মার্কেটে স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্সে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ কমে ৩ হাজার ২৬২ ডলারে বেচাকেনা হচ্ছে।

মূলত মার্কিন আদালত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেয়ার পর বাড়ছে ডলারের দাম। এতে  নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে আকর্ষণ কমে গেছে স্বর্ণের দাম। এবিসি রিফাইনারির প্রাতিষ্ঠানিক বাজার বিভাগের বৈশ্বিক প্রধান নিকোলাস ফ্র্যাপেল বলেন, ‘এটা নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বড় খবর ছিল। বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে দেখলে বোঝা যায়, ডলার শক্তিশালী হয়েছে এবং সেটাই স্বর্ণের দাম কমিয়ে আনতে সাহায্য করেছে।’
 
বাজার এখন নজর রয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের আপিল প্রক্রিয়ার দিকে। পাশাপাশি বাজার পর্যবেক্ষকরা আগ্রহের সঙ্গে লক্ষ্য করছেন ফেডারেল রিজার্ভের পরবর্তী নীতিগত পদক্ষেপ এবং বৈশ্বিক মুদ্রানীতি পরিবর্তনের ইঙ্গিত-যা স্বর্ণের ভবিষ্যৎ মূল্য নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
 
এর আগে, বুধবার (২৮ মে) বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা শুল্ক স্থগিত করেছেন দেশটির আদালত। আদেশে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করে নিজের ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করেছেন ট্রাম্প।
 
মূলত আদালতে করা দুটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেয়া হয়েছে। একটি মামলা করেছিল লিবার্টি জাস্টিস সেন্টার নামের একটি আইনি সংস্থা। ট্রাম্পের শুল্কের নিশানা হওয়া দেশগুলো থেকে পণ্য আমদানি করে-এমন পাঁচটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মামলাটি করেছিল তারা। অপর মামলাটি করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ১৩টি অঙ্গরাজ্যের পক্ষ থেকে।
 
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালতের তিনজন বিচারকের একটি প্যানেল আদেশে বলেন, কংগ্রেসকে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করার বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির সুরক্ষার জন্য প্রেসিডেন্টের জরুরি ক্ষমতার মাধ্যমে তা বাতিল করা যায় না।
 
তবে আদালতের আদেশের পর এর বিরুদ্ধে আপিলের একটি নোটিশ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রয়টার্সের কাছে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি হোয়াইট হাউস।