
বিটকয়েন এখন গুরুত্বপূর্ণ রেজিস্ট্যান্স লেভেলের কাছাকাছি ঘোরাঘুরি করছে। ক্রিপ্টো বিশ্লেষকদের মতে, ১,০৮,০০০ ডলারের পথে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা এখন আগের চেয়ে বেশি হলেও, বড় ধাপ নেওয়ার আগে বাজার কিছুটা শ্লথ হতে পারে।
কি ঘটেছে:
বিশিষ্ট ক্রিপ্টো বিশ্লেষক এম্পেরর জানিয়েছেন, বিটকয়েন পূর্বের একটি ট্রেডিং রেঞ্জ পুনরুদ্ধার করেছে এবং বর্তমানে এটি নতুন একটি রেঞ্জ তৈরি করছে যা ৯৪,০০০ থেকে ১,০৮,০০০ ডলারের মধ্যে অবস্থান করছে।
এই দ্রুত পুনরুদ্ধার ইঙ্গিত দেয় যে, বাজার এখন একটি সাময়িক কনসোলিডেশন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।
এম্পেররের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, তাৎক্ষণিক লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে ৯৯,৩৫০ ডলারের node point of control (nPOC) এবং ১,০৭,০০০–১,০৮,০০০ ডলারের জোনকে বিবেচনা করা হচ্ছে।
যদিও সামনে বড় কোনো রেজিস্ট্যান্স নেই, তবুও ১,০৪,০০০–১,০৪,৫০০ ডলারের কাছাকাছি কিছু ask wall গঠিত হয়েছে। এই বাধা অতিক্রম করতে পারলে দ্রুত গতিতে দাম বেড়ে ১,০৮,০০০ ডলার ছুঁয়ে ফেলতে পারে।
তিনি আরও যোগ করেন, ৯৮,০০০ থেকে ৯৯,০০০ ডলারের মধ্যবর্তী অঞ্চলটি প্রযুক্তিগত ও ভলিউম সাপোর্ট হিসেবে কাজ করছে, যা ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট ও পূর্ববর্তী রেজিস্ট্যান্স-পরবর্তীতে-সাপোর্ট লেভেলের সাথে মিল রয়েছে।
তবে এম্পেরর মনে করেন, এই জোনে যদি দাম হঠাৎ করেই নেমে আসে, সেটিকে "বাই দ্য ডিপ" সুযোগ হিসেবে দেখা যেতে পারে, যদিও এখনই এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা কম।
পরবর্তী কী:
বিশ্লেষক ইনমরটাল ক্রিপ্টোও এই সতর্ক আশাবাদের সুরে বলেছেন, সাময়িক এক ডিপের পর বিটকয়েনের লক্ষ্য হবে ১,২০,০০০ ডলার। তার মতে, এখনকার পরিস্থিতি রিভার্সালের চেয়ে অনেকটা "কুলিং-অফ ফেজ" বা প্রশমনের ধাপে রয়েছে।
অন্যদিকে, ট্রেডার কেভিন ১,০৬,৮০০ ডলারের এলাকাকে "গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট জোন" হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি আবারও সতর্ক করে বলেছেন, এই রেজিস্ট্যান্স পয়েন্টটি বছরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লেভেল।
তার মতে, যদিও বাজারে বুলিশ মোমেন্টাম রয়েছে, তবে ট্রেডারদের এখনই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হওয়া ঠিক হবে না।