Image description
‘এনবিআর ঘুষ নেওয়া বন্ধ করলে শ্রমিকদের বেতন বাড়াব’
প্রতি মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) নানান কাজের জন্য ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়। এখন এনবিআর কর্মকর্তারা যদি বলেন কাল থেকে ঘুষ নেওয়া বন্ধ করে দেবেন আগামীকাল থেকেই আমরা শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়ে দেব। আজ বুধবার উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন আটলান্টিক গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী জহির উদ্দিন স্বপন। সরকারের অন্য প্রতিষ্ঠানের ওপরও ক্ষোভ ঝাড়েন তিনি। স্বপন বলেন, শুধু এনবিআরই নয়, সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠানেই টাকা ছাড়া কাজ হয় না। আমাদের দাবি হলো, কাস্টমসের হয়রানি থেকে মুক্তি লাভের জন্য বিজিএমইএ ভবনে তাদের অফিস খুলতে হবে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাব অফিস এখানে খুলতে হবে। আমরা প্যারালাল গভর্নমেন্ট, আমরা কেন তাদের কাছে নাকে খত দিতে যাব? তিনি বলেন, অনেকেই জানেন না আমরা পোশাক ব্যবসায়ীরা প্যারালাল গভর্নমেন্ট। সরকার অনেক ক্ষেত্রে চাকরি দিতে পারে না। আমরা চাকরি দেই। সরকারের সচিবদের উদ্দেশ্যে এ ব্যবসায়ীরা বলেন, সচিব তুমি এসি রুমের বসে বড় বড় কথা বলো, আগে দুই হাজার শ্রমিকের একটা গার্মেন্টস চালাও, তারপর দেখি তোমার শক্তি কোথায়। তোমার কথার জোর কীভাবে আসে। বুধবারের এ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর বর্তমান সভাপতি ফারুক হাসান, সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, আবদুস সালাম মোর্শেদি, একে আজাদসহ অন্য নেতারা। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের ফ্যাক্টরিগুলোতে ভাঙচুর করছে। এখন যেটি হচ্ছে বেতন নিয়ে, কিন্তু আমরা শ্রম আইন অনুযায়ী বেতন দিচ্ছে। যে বিশৃঙ্খলা চলছে তা মেনে নেয়া যায় না। যারা আন্দোলন করছেন, তারা আমাদের শ্রমিক নন। আন্দোলন না থামালে আমরা ১৩ এর এক ধারা অনুযায়ী আমরা কারখানা বন্ধ করে দেব। এ সময় আরেক ব্যবসায়ী নেতা তুসুকা গার্মেন্টসের মালিক আরশাদ জামাল দীপু বলেন, তথাকথিত সিভিল সোসাইটি এ মুহূর্তে আমাদের কোনো সহযোগিতা করছে না। চলমান আন্দোলনে রাজনৈতিক ট্যাগ আছে। ‘নো ওয়ার্ক নো পে’ স্লোগান এ মুহূর্তে না দেয়া ভালো। ২০১৮ সালের পর থেকে আমাদের ইউটিলিটি ব্যয় ১৮০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। তিনি বলেন, এ আন্দোলনে শুধু শ্রমিকরা অংশ নিলে ১৩ এর ১ ধারা বাস্তবায়ন করে আমরা কারখানা বন্ধ করে দেব। ‘নো ওয়ার্ক, নো পে’ আমাদের কারখানা নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হবে। বিজিএমইএর সিনিয়র সহ সভাপতি এস এম মান্নান কচি বলেন, আজকে শ্রমিকদের নিয়ে যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে তাদেরকে শ্রম মন্ত্রীকে সেগুলো ক্লিয়ার করতে বলেছি। কামরুল নামের এক শ্রমিক নেতা এটা শুরু করেছেন। আর আমাদের শ্রমিকরা কখনো হেলমেট পরে না। শ্রমিকদের আন্দোলনে হেলমেট পরা এরা কারা। তিনি বলেন, এ আন্দোলনের নেপথ্যে প্ররোচনা দিচ্ছেন দেশি বিদেশি বিভিন্ন চক্র। আমরা আমাদের জান মালের নিরাপত্তা চাই। আমাদের শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কারখানার নিরাপত্তা চাই।