সাপ্তাহিকী
|
শেখ আবুল কাসেম মিঠুন
|
|
আত্ম-সমালোচনা
24 Aug, 2014
আত্ম-সমালোচনা সংস্কৃতিবান হওয়ার অন্যতম শর্ত। প্রত্যেকটা মানুষের নিজের মধ্যে অনেক ত্র“টি থাকে। প্রত্যেক মানুষ নৈমিত্তিক কাজের মধ্যে অসংখ্যা ভুলও করে থাকে। বিশেষ করে যে সমস্ত দোষ-ত্র“টিকে আমরা মানবীয় দোষ-ত্র“টি বলি, যেমন: অহংকার, হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ, পরশ্রীকাতরতা, প্রতিহিংসা, পরনিন্দা, মিথ্যা বলা, সুবিচার না করা, অন্যের উপর প্রভূত্ব করার প্রবণতা, অভিযোগী হওয়া, ক্রোধ, গীবত করা, অন্যের উপর মিথ্যা অপবাদ চাপানো, অন্যকে ছোট করে দেখা, ইত্যাদী। এ সমস্ত দোষ-ত্র“টি থেকে মুক্ত হয়ে পর্যায়ক্রমে নিজকে বদলে উন্নততর সাংস্কৃতিবান মানুষ হওয়ার দিকে এগিয়ে যাওয়া সবচেয়ে বুদ্ধিমান মানুষের কর্ম। এই সব দোষ-ত্র“টিকে প্রশ্রয় দিলে এক সময় মন আর এই সব দোষ-ত্র“টিকে দোষ-ত্র“টি হিসেবে না দেখে গুন হিসেবে দেখে থাকে। মহানবী স:-এর একটা হাদিস আছে যার অর্থ এইরকম: ’ প্রথমবার অন্যায় করলে যে কোন মানুষের মনে অনুশোচনা হয়। কিন্তু সে যদি তওবা করে তবে তার যন্ত্রনা চলে যায় এবং আত্মার উপর থেকে অন্যায়ের কালিমাও মুছে যায়। কিন্তু সে যদি তওবা না করে এবং আবার অন্যায়টি করে তবে প্রথমবারের মত ততটা যন্ত্রণা হয়না। তৃতীয়বার যখন সে অন্যায়টি করে তখন সেটিকে আর তার কাছে অন্যায় মনে হয়না বরং ন্যায়ই মনে হয়।”
ন্যায়ের বিপরীত কাজকে আমরা অন্যায় বলে থাকি। একব্যক্তির একটা বিষয়ে ন্যায় কাজ করা উচিত ছিল কিন্তু সে করেনি, এটা তখন অন্যায় হয়ে গেল। আবার কোন ব্যক্তি অন্যের গাছের একটা ডাল বা শাখা তাকে না জানিয়ে কেটে নিল, সেটাও অন্যায় হয়ে গেল। এটা যে দেখলো সে কিছুই বললো না, তার পক্ষেও কাজটা অন্যায় হলো। অন্যায় কাজগুলো এমন যে তাতে অন্যায়ের শিকার ব্যক্তিটির অপূরনীয় ক্ষতি হয় না এবং তার ক্রিয়া ব্যক্তি পর্যায়ে পরিলক্ষিত হয়। অতএব যে অন্যায় করলো তাকে আমরা অপরাধী বলতে পারি না। সে অন্যায়কারী। এর সংশোধন সম্ভব। মহান আল্লাহ বলেছেন,‘ তোমরা ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা করো এবং অন্যায়ের প্রতিরোধ করো।’ স্বাধীনতা লাভের পূর্বে আমাদের সমাজেই অন্যায়ের প্রতিরোধ করতেন সমাজের মুরুব্বিশ্রেণী এবং কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া যুব শ্রেণী। তখন বেশিরভাগ গ্রামে লোকজন রাতে দরজা বন্ধ না করেই ঘুমাতো, কারণ চোরের ভয় ছিল না। প্রায় গ্রামেই দেখা যেতো সেখানকার অধিবাসিরা কখনই পছন্দ করতেন না যে তাদের গ্রামে পুলিশ প্রবেশ করুক। পুলিশ এলে তাদের সম্মানে বাঁধতো। নিজেদের কাছেই তারা ছোট হয়ে যেতেন। তাই তারা গ্রামের মানুষকে অন্যায়মুক্ত রাখার সকলপ্রকার চেষ্টা করতেন। বিশেষ করে ধর্মীয় অনুষ্ঠান বেশি বেশি করতেন। কিন্তু স্বাধীনতা লাভের পরই অত্যন্ত দ্রুতগতিতে সমাজ থেকে এই কাজটি উধাও হয়ে যায়। ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেও ধর্মীয় বিধানের পরিবর্তে বক্তারা বুজুর্গ ও মহাপুরুষদের অলৌকিক কাহিনী বেশি বর্ণনা করা শুরু করেন। যা আজো বর্তমান। তাতে সাধারণ মানুষ কোন পথ-নির্দেশনা পায়না। বরং বক্তারা বুজুর্গ ব্যক্তিদের প্রতি মানুষের মনকে পূজা করার দিকে বেশি ধাবিত করান। এইভাবে অন্যায়ের প্রতিরোধ এবং ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা উঠে যাওয়ার কারণে আজ আমাদের সমাজ অপরাধপ্রবণ হয়ে পড়েছে। প্রতিটি মানব সমাজ চরম অরাজকতার শিকার হয় যদি তারা ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা না করে এবং অন্যায়ের প্রতিরোধ না করে। অন্যায় হচ্ছে অপরাধের ভিত্তি। অন্যায়কারী পর্যায়ক্রমে অপরাধী হয়ে ওঠে। অন্যায়কারী বাঁধাগ্রস্ত না হলে সে অন্তরে অন্যায়কে লালন করতে অভ্যস্ত হয়। এবং পরিণতিতে অপরাধী হয়ে ওঠে। অপরাধের শিকার এক বা একাধিক ব্যক্তি হতে পারে, এবং সেখানে অপূরণীয় ক্ষতি হয়। যেমন এক ব্যক্তি দুই হাজার টাকা ঘুষ খেয়ে একজনের একটি কাজ করে দিল।
আপাতত: দৃষ্টিতে কাজটির সঙ্গে দু’জন ব্যক্তি জড়িত থাকলেও পরোক্ষভাবে সমাজ এবং পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রটিই এর ক্ষতির শিকার হয়ে ওঠে। তাই এটা অপরাধ হিসেবে গণ্য। পূর্বের উদাহরণ টেনে বলা যায় লোকটি একটি গাছের শাখা বা ডাল শুধু নয় পুরো গাছটিই তার মালিককে না জানিয়ে কেটে ফেললো। তখন বিষয়টি অন্যায়ের সীমা ছাড়িয়ে অপরাধের সীমায় প্রবেশ করে। আমারা অপরাধকে দুইভাবে দেখতে পারি। একটা হলো: পরিস্থিতির শিকার জনিত অপরাধ। দ্বিতীয়টা হলো: স্বভাব অপরাধী।
পরিস্থিতির শিকার: পরিস্থিতি বাধ্য করে অপরাধ করতে। ব্যক্তিটি কখনোই সেই ধরণের অপরাধের চিন্তাও করেনি। এবং সঙ্গে সঙ্গেই তিনি অনুতপ্ত হন প্রতিজ্ঞা করেন আর সেই ধরণের অপরাধ না করার। আর সত্যিকার ভাবে তিনি আর সেই ধরণের অপরাধ করেন না। এই ব্যক্তিরাই আত্মসমালোচনা করেন বলে অপরাধ কারার চিন্তা করেন না এবং পরিস্থিতি বাধ্য করলে সাথে সাথেই অনুশোচনার তীর তাকে বিদ্ধ করে। তিনি আল্লাহর কাছে তওবা করেন, কান্না-কাটি করেন।
এই ধরণের লোকদের কারণেই সমাজের শৃঙ্খলা ও শান্তি রক্ষিত হয়।
স্বভাব অপরাধী:
একজন মানুষ হঠাৎ করে অপরাধ করতে পারে না। কারণ যে কোন কাজ করতে গেলে হাত, পা এবং শরীরের অন্যন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে প্রয়োজনীয় শক্তির যোগান দিতে হয়। এই শক্তি তৈরি হয় শরীরের ভিতর থেকে। ইচ্ছাকে বাস্তবায়ন করার সময়ে শরীরের অভ্যন্তরে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। এই রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে দুই ভাবে। একটা হচ্ছে শক্তির যোগান দেয়া এবং আর একটি হচ্ছে শক্তির যোগান না দেয়। মানুষ যদি আত্মসমালোচনা না করে এবং অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় তবে আত্মার মধ্যে অন্যায় লালিত হতে থাকে। শরীরের অভ্যন্তরে রাসায়নিক বিক্রিয়া তখন থেকেই তার কাজ শুরু করে দেয় এবং তার হাত, পা এবং অন্যান্ন অঙ্গগুলিকে প্রস্তুত করতে থাকে। এইভাবে সে অপরাধী হয়ে ওঠে। অপরাধের প্রকাশ বিভিন্নভাবে ঘটতে পারে। শারিরিকভাবে অপরাধে লিপ্ত হতে পারে আবার বুদ্ধিবৃত্তিকভাবেও লিপ্ত হতে পারে। আসলে যারা পরিণাম চিন্তা করে না তারাই মূর্খ। হতে পারে তারা বাহ্যিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষিত। এরা আসলে অপরাধী মস্তিস্কজাত। পরিণাম বলতে ’জবাবদিহিতা’। মৃত্যুর পরে আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার ভয়ই যে বুদ্ধিকে শাণিত করে তাই-ই জ্ঞান। আত্মসমালোচনার ফল স্বরূপ যে তওবা তাই হচ্ছে রুহুর অন্যতম খোরাক।
সাধারণত: আজ সমাজের অনেক অন্যায় কাজ ও কথাকে আমাদের কাছে ন্যায়ই মনে হয়। কিন্তু যারা রুহুর খোরাক দান করেন বা যিনি অল্লাহর একান্ত বাধ্য বা বাধ্য থাকার নিরন্তর চেষ্টা সাধনা করে থাকেন তার কাছেই ন্যায়-অন্যায় যথার্থরূপে ধরা পড়ে। আর তাই সকল দেশে সকল সমাজে সেই সব লোকদের একটা পৃথক মর্যাদা আছে। দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের সমাজ থেকে সেটা উঠে যাচ্ছে। যে সমাজ এইরকম সে সমাজ বেশিদিন টেকে না। সোভিয়েট রাশিয়া এবং তার অনুসারী দেশগুলোর সমাজ-ব্যবস্থা ৭০ বছরের বেশি টেকেনি। অথচ আমাদের অনেকেই সেই সময়ের সোভিয়েট রাশিয়াকে অনুসরণ করছে।
প্রত্যেক ব্যক্তিকে ভালোর সাধনা করা দরকার, নিজেকে বদলাবার চেষ্টা করা উচিত। আর এই বদলটা পৃথিবীর কোন শক্তিই করে দিতে পারে না। এ বদলটা নিজের মধ্যে নিজেই করতে হয়। আর তার উপায় হচ্ছে, সারা দিনের কাজ শেষে কিছুটা বিশ্রাম শেষে গভীর রাতে অন্তত: আধাঘন্টা একা হয়ে যাওয়া। পর্যায়ক্রমে এই সময়সীমা বাড়াতে হবে। অদৃশ্য স্রষ্টার সামনে হিসাব দিতে হবে। সারাদিনের সমস্ত কাজের হিসাব। দোষ-ত্র“টি যুক্ত কাজগুলো আর করবো না বলে প্রতিজ্ঞা করা। বারবার প্রতিজ্ঞা করা। অনুতপ্ত হওয়া। যাকে মহান আল্লাহ তাহাজ্জুদ-এর সালাত হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এই সালাতে নিজের রূহুকে আল্লাহর কাছে সকল ভালো কাজের জন্য দোয়া করতে শিখানো। কারণ দোয়া স্রষ্টার কাছে আত্মার অহংকারের বীজ ধংস করে দেয়। আর অহংকার হচ্ছে সকল দোষের জননী।
মহানবী স: বলেছেন,’জুতার ফিতা বাঁধার সময়ও আল্লাহর কাছে দোয়া করো।’ অবশ্যই অল্লাহর অপছন্দনীয় কাজগুলিকে ঘৃণা করতে অভ্যস্ত হতে হবে। যদি প্রতিজ্ঞা কোন কারণে ভঙ্গ হয়ে যায় সুবিধামত কাফফরা হিসেবে তিনদিন রোজা পালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে একটা বিষয়ে আলোকপাত করাটা সঙ্গত যে, ’পঞ্চ ইন্দ্রিয় তাদের ইচ্ছামাফিক খোরাক পেলে আত্মা তখন জ্ঞানের দরজা বন্ধ করে দেয।’ অতএব নফসকে সংযত রাখতে পারলেই প্রতিজ্ঞা করা এবং রক্ষা করা দুটোই সম্ভব হয়ে ওঠে।
পরদিন সকালবেলা থেকে ঐসব দোষ-ত্র“টি মুক্ত একজন নতুন সাংস্কৃতিবান, প্রেমময় এবং উন্নত আধুনিক মনের মানুষ হিসেবে কাজ শুরু করতে গিয়ে নিজের কাছে নিজেকে ভীষণ ভাললাগবে। তখনই ব্যক্তিটি এমন আত্মতৃপ্তি ও আত্মিক আনন্দ পাবে যা কোটি-কোটি টাকা দিয়েও কোথাও কিনতে পাওয়া যায় না। তার সংস্পর্শে যারা আসবে তারাও আনন্দিত হতে বাধ্য। তিনি অন্যের উপর তার সকল ভালোর প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হবেন। এই ধরণের কিছু সংখ্যক মানুষ সংঘবদ্ধ হলেই একটা উন্নত পরিবেশ গড়ে ওঠে। আর সংখ্যা বাড়াতে পারলে একটা উন্নত আদর্শবান সমাজ গড়ে ওঠে। উন্নত সমাজ ব্যবস্থা থেকেই তো উন্নত এবং সভ্য রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে ওঠে ও তার বিকাশ হতে থাকে। স্বৈরাচারী ঘৃণিত শাসকরা যে অন্যায়ের প্রচলন ঘটিয়ে সমাজকে কলুষিত করে সেই সমাজের ভিতর থেকেই প্রকৃত আল্লাহর খাঁটি বান্দাদের একটি দল যখন সকল রোগের প্রতিষেধক হিসেবে আবির্ভূত হয় তখন স্বৈরাচার নামক মরণ ব্যাধির মৃত্যু ঘটে।
মনে রাখা দরকার, দশ হাজার বছর আগেও খাদ্যের জন্য, বাসস্থানের জন্য মানুষ সংগ্রাম করেছে। আজো করছে। এই ধারাবাহিক সংগ্রামের নাম উন্নয়ন। মানুষ এই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বৈষয়িক সংস্কৃতির উন্নয়ন ঘটিয়েছে। এই উন্নয়ন ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় চলতেই থাকবে। এই উন্নয়নের জন্য বিশেষ কোন গোষ্ঠি বা বিশেষ কোন সংগঠনের অবদান স্বীকৃত নয়, এই উন্নয়ন সম্মিলিতভাবে মানবগোষ্ঠিই করে থাকে। এই উন্নয়নকে যারা সভ্যতা বলতে চান তারা মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখেন না, মানুষকে দাস অথবা পশুশ্রেণীর উর্ধে ভাবতে পারেন না। কারণ খাদ্য বাসস্থান দিয়েই মানুষ পশুকে বা দাসকে বশিভূত করে রাখে। আসলে মানুষকে তারা দাসের মত বশিভূত করে রাখতে চান। আর এটাই স্বৈরাচারীদের মূখ্য উদ্দেশ্য।
মানুষ চায় সভ্য হতে। সভ্যতা তার সাধনা। সভ্যতাই তার স্বাধীন সত্ত্বার বিকাশ ঘটায়। তার সৃজনশীলতার স্ফুরণ ঘটায়। তাই সে উন্নয়নের সাগরে ভেসেও সংগ্রাম করে। সে সংগ্রাম করে মানুষের সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য। তাই তার প্রয়োজন সবকিছুর আগে মানুষের পরিচয়। সেই পরিচয়ের জন্য দরকার নৈতিক চর্চা। যেসব মানবীয় গুনের কথা প্রথমে উল্লেখ করেছি সেই সব গুন মানুষের সহজাত কাম্য। সেই ক্ষেত্রটা মানুষ যখন তৈরি করে তখন রাষ্ট্রকে তার সহযোগি হতে হয়। রাষ্ট্র যদি সেই সব গুণকে দোষ হিসেবে এবং দোষকে গুনের মর্যাদা দেয় তবে ধংসের হাতছানি দেখে আত্মসমালোচনাকারীদের ভয় পাওয়া উচিত নয়। রোগ যত কঠিন হোক না কেন সঠিক অসুধ সেই রোগকে দূর করবেই। মহানবী স:-এর সময় মক্কার কুরাইশরা তাকেই বীর এবং সাহসী খেতাব দিতো যারা সফলতার সাথে মরুভূমীতে যাতায়াতরত ব্যবসায়ী কাফেলা লুট করতে পারতো। তাকেই আত্ম-মর্যাদাশীল বলতো যে ব্যক্তি তার কন্যাকে জীবিত কবর দিতে পারতো। আর সেই ব্যক্তিই তাদের কাছে ছিল অপরাধী যিনি সেই ধংস থেকে তাদেরকে উদ্ধার করার জন্য আল্লাহর শান্তি প্রদানকারী অসুধ প্রয়োগ করতে এলেন। তাই ঝড়ের তান্ডবে দিশেহারা সেই হবে যে আত্মসমালোচনা করে না। কিন্তু আত্মসমালোচনা কারী মোটেই দিশেহারা হবে না। কারণ তার রুহ একটি তওবাকারী অনুশোচনাকারী আল্লাহর প্রিয় রুহ।
লেখকঃ উপ-পরিচালক, বাংলাদেশ সংস্কৃতিকেন্দ্র
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন