সাপ্তাহিকী
|
মহীউদ্দিন আহমদ
|
|
ওবামা-রুহানি সংলাপ
12 Oct, 2013
ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো জাতিসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন হাসান রুহানি। তাৎপর্যপূর্ণ ওই ভাষণে রুহানি তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে সমঝোতায় পৌঁছার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেছেন, পরমাণু বিষয়টি নিয়ে ‘সময় নির্দিষ্ট’ করা এবং ‘ফলপ্রসূ’ আলোচনার জন্য তিনি প্রস্তুত। বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়া উচিত ‘কয়েক মাসের মধ্যে, কয়েক বছরে নয়’। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে ওয়াশিংটন পোস্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রুহানি বলেন, তার মতে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানই হবে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইরানের সম্পর্ক সহজ করার ‘প্রথম পদক্ষেপ’। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ওবামা ও তিনি যদি আলোচনায় বসেন, তাহলে দু’জনেই ভবিষ্যতের দিকে তাকাবেন। আমাদের শুরুর পদক্ষেপটি নেয়া প্রয়োজন। আর তা হতে পারে পারমাণবিক প্রকল্প নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান। এটা হয়ে গেলে অন্যান্য বিষয় নিয়ে এগিয়ে যেতে বেগ পেতে হবে না। ইরানি প্রেসিডেন্টের বক্তব্য আশাব্যঞ্জক এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দাবির প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং সমাধানের রাস্তা উন্মুক্ত করার প্রতি অর্থবহ ইঙ্গিত বহন করছে। পশ্চিমাদের সাথে সম্পর্কোন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘উদারপন্থী’ বলে পরিচিত রুহানি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার প্রতিশ্রুতি ছিল, তিনি নির্বাচিত হলে মার্কিন নেতৃত্বাধীন অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে নিতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য পদক্ষেপ নেবেন। নির্বাচিত হওয়ার ছয় মাসের মধ্যেই জনগণকে দেয়া এই প্রতিশ্রুতি রক্ষায় প্রেসিডেন্ট রুহানি বেশ বড় ও ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ নিলেন। এবার জাতিসঙ্ঘে দেয়া ভাষণগুলোর মধ্যে হাসান রুহানির বক্তব্যই ছিল বিশ্বসম্প্রদায়ের জন্য সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ। ইরানি প্রেসিডেন্ট তার প্রথম ভাষণে সহনশীলতা ও বোঝাপড়ার মনোভাব দেখিয়েছেন, কোনো রণহুঙ্কার দেননি। বাস্তবে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কথিত হুমকি নিতান্তই কাল্পনিক এবং ইহুদি নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া ও ইসরাইলের প্রোপাগান্ডা মাত্র। পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে তেহরানের সুর বদলকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ওবামা জাতিসঙ্ঘের ভাষণে প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, রুহানির অধিকতর উদারপন্থী অবস্থান অনুপ্রেরণাদায়ক। তিনিও আশা ব্যক্ত করেছেন ইরানের সাথে সম্পর্কোন্নয়নের। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, তেহরানের ‘একেবারে ভিন্ন সুরে’ অভিভূত হয়েছেন তিনি। রুহানি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার যে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং পারমাণবিক কর্মসূচি বিষয়ে খোলামেলা সংলাপের যে প্রস্তাব রেখেছেন, তার যথাযথ মূল্যায়ন এবং সঙ্কট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দায়িত্ব এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। রুহানির খোলামেলা বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, পারমাণবিক ইস্যু এবং ইরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ সংক্রান্ত সব বিবাদ মেটানো সম্ভব, যদিও যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবাজ লবি এখনো এই বিষয়ে অতিমাত্রায় সংশয় সৃষ্টির প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তারা প্রেসিডেন্ট ওবামার বক্তব্যে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। ওবামা ঘোষণা দিয়েছেন, তার প্রশাসন অবশিষ্ট বছরগুলোতে ইরানের সাথে সঙ্কট সমাধানে কূটনৈতিক পথ অনুসরণ করবে। বিরোধীরা বলছে, ওবামা কাপুরুষতা ও দুর্বলচিত্তের পরিচয় দিচ্ছেন এবং তার পররাষ্ট্রনীতির মূলে রয়েছে ইরানের কাছে ‘আত্মসমর্পণ’। এদের মধ্যে পল উলফোভিৎস সিএনএনের সাথে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ইরানের সাথে সংলাপের চেষ্টা বৃথা। তিনি বলেন, ইরানের অর্থনীতি এখন প্রবল চাপের মুখে। এ অবস্থায় ‘জান বাঁচাতেই’ কূটনীতির পথে হাঁটছে ইরান। তার আসল লক্ষ্য পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য কালক্ষেপণ।’ একইভাবে সংলাপের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন ইসরাইল যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ইরানের সাথে আগবাড়িয়ে কোলাকুলি হবে মস্তবড় ভুল। তার ভাষায়Ñ ইরান যতক্ষণ না তার পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি বন্ধ করছে এবং গোপনীয় ও সুরক্ষিত ‘ফারদো’ আণবিক কেন্দ্র ভেঙে না ফেলছে, ততক্ষণ ইরানের সাথে সংলাপের ফলাফল হবে উল্টো। ইরান ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট ওবামা উল্টো পথে চলার যে নীতি তার মেয়াদের বাকি অংশে কার্যকর করতে চান ইসরাইলি যুদ্ধবাজ লবি তা চায় না। আর তাই তাদের হতাশা এখন সুস্পষ্ট। তারা আন্তর্জাতিক মতামতের বিপক্ষে অবস্থান নিলেও তা হালে টিকবে না।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-ইরান ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী-পর্যায়ের বৈঠকের পর অত্যন্ত জোরালো ভাষায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি যে শান্তপূর্ণ ছাড়া অন্য কিছু নয়, তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে প্রমাণিত হবে। তিনি তাদের আলোচনাকে অত্যন্ত বস্তুনিষ্ঠ ও কার্যকর বলে অভিহিত করেছেন। জাতিসঙ্ঘের মহাসচিবের দেয়া ভোজসভায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার সাথে ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির কুশল বিনিময় হবে বলে ব্যাপক ধারণা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। রুহানি হয়তো কৌশলগত কারণেই এত আগবাড়িয়ে সাক্ষাৎ করতে চাননি বা সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী-পর্যায়ে এর অনুমোদন পাননি। কিন্তু রুহানি-ওবামা টেলিফোন সংলাপে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। তাদের ফোনালাপ একটি যুগান্তকারী ঘটনা। ১৯৭৯ সালের বিপ্লব-পরবর্তী সময়কালে কোনো ইরানি প্রেসিডেন্টের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সরাসরি টেলিফোন কূটনীতির ঘটনা এবারই প্রথম। এতেই প্রমাণিত হয়, উভয় দেশ বৈরিতা ও উত্তেজনা কমিয়ে আনতে আগ্রহী। সবচেয়ে বড় কথা, যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে সমান আগ্রহী বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওবামার সাম্প্রতিক পররাষ্ট্রনীতিতে এই পরিবর্তন লক্ষণীয়। যুদ্ধ বা অর্থনৈতিক অবরোধ কোনোটার মাধ্যমেই শান্তি অর্জন সম্ভব নয়। বর্তমান প্রেসিডেন্ট হয়তো এই বাস্তবতা উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছেন, আর তাই আলোচনাকে শান্তি অর্জনের জন্য বেছে নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র হয়তো ইরাক ও সিরিয়া ইস্যুতে তেহরানের সমর্থন লাভের আশায় নমনীয় কূটনীতির আশ্রয় নিয়ে থাকতে পারে। তবে প্রেক্ষাপট যা-ই হোক না কেন, দুই বৈরী দেশের মধ্য সুসম্পর্ক গড়ে উঠলে এর সুফল মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে পড়বে। মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা আর ইরানের অর্থনেতিক অনিশ্চয়তা থেকে উতরে উঠতে ওবামা-রুহানির যোগাযোগ ভবিষ্যতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশাবাদী। ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার আগ্রহ এবং পারমাণবিক ইস্যুতে নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি দেখিয়েছেন। তা নিশ্চিতভাবে ইরানের পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তনের সুস্পষ্ট ইঙ্গিত। তিনি পশ্চিমা বিশ্ব এবং মিডিয়ার প্রশংসা কুড়িয়েছেন। কূটনৈতিক মহলে তার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে এবং তার মধ্যমপন্থা ইরানকে বিশ্বরাজনীতির ময়দানে বিশেষ মর্যাদায় নিয়ে এসেছে। দ্রুত সংলাপে বসার তাগিদ এবং সমস্যা সমাধানে সময় বেঁধে দেয়ার প্রস্তাবে তার আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এতে সুস্পষ্ট হয়েছে, ইরানের নতুন নেতৃত্ব বৈরিতা নয়, বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে চায়। এ বিষয়টি বিশ্বসম্প্রদায়ও অনুধাবন করা উচিত। ইসরাইলি প্রেসিডেন্টের নতুন করে উসকানিমূলক বক্তব্য ‘ইরান মিসাইল তৈরির দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে’ উপেক্ষিতও হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তথ্য রয়েছে, শিগগিরই পরমাণু অস্ত্রের মালিক হয়ে ওঠা ইরানের পক্ষে সম্ভব নয়। এ কারণেই প্রেসিডেন্ট ওবামা তার দ্বিতীয় মেয়াদে ইরানের সাথে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে আগ্রহী। বিষয়টি শুধু দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কোন্নয়নের বিষয় হিসেবে দেখলে হবে না, আগামী দিনের বিশ্বকূটনীতিতেও ব্যাপক প্রভাব বয়ে আনবে। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র কাছাকাছি অবস্থানে চলে এলে তা হবে বর্তমান বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনের ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের সাফল্য। তবে পশ্চিমাদেরও বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ নিতে হবে, শুধু আশা করলে চলবে না। ইরানের ওপর আরোপিত সব অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবরোধ দ্রুত তুলে নিতে হবে; তাহলেই কেবল তাদের আন্তরিকতার প্রমাণ মিলবে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে এমন কিছু করা ঠিক হবে না, যার ফলে রুহানিকে বিপাকে পড়তে হয়। ওবামা ও রুহানির মধ্যে চিঠি বিনিময় হয়েছে; তা অব্যাহত থাকা প্রয়োজন। এর চেয়ে বেশি প্রয়োজন, উভয়ের মধ্যে সরাসরি সংলাপের আয়োজন। আর তারা যদি সংলাপে বসেন তাহলে দু’জনই ভবিষ্যতের দিকে তাকাবেন, এমন প্রত্যাশা সবার। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠকে বসার বিষয় প্রেসিডেন্ট রুহানির নীতিগত কোনো সমস্যা নেই বলে যখন ঘোষণা দিয়েছেন সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তখন শান্তির স্বার্থে তাদের সে উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। জাতিসঙ্ঘে ইরানি প্রেসিডেন্টের ভাষণে সুস্পষ্টভাবে যে সহনশীলতা ও বোঝাপড়ার মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে, একে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অবকাশ নেই। ইরানের দিক থেকে তথাকথিত হুমকি বা হামলার যে আশঙ্কা করা হয়ে থাকে, তা অবাস্তব ও মিডিয়ার তথ্যসন্ত্রাস ছাড়া অন্য কিছু নয়। ইহুদি নিয়ন্ত্রিত মিডিয়াগুলো মাঝে মধ্যেই এমন কাল্পনিক কাহিনী প্রকাশ করে থাকে মূলত ইসরাইলের স্বার্থ আরো নিরাপদ করার আশায়। ইরান আন্তরিকতার পরিচয় দিয়েছে; এখন যুক্তরাষ্ট্রের পালা। যুক্তরাষ্ট্রকেই প্রমাণ করতে হবে যে, তারা যুদ্ধ নয়, শান্তি প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী। ইরানের প্রেসিডেন্ট বিশ্বসম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করেছেন যে, তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন না এবং তারা এই মর্মে প্রমাণও দিতে প্রস্তুত। সুতরাং বিষয়টি এখন দ্রুত নিষ্পত্তির প্রয়োজন। আমরা আশাবাদী বিশ্ববাসীর কল্যাণে ওবামা ও রুহানি এ ক্ষেত্রে তাদের বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতা এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় দেবেন। ইরানের ক্ষমতাধর অভিভাবক কাউন্সিলের প্রধান ও সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি রুহানির যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এতে কিছু ক্ষেত্রে সমালোচনা করা হলেও সরকারের কূটনৈতিক পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করা হয়েছে। মার্কিনিদের ব্যাপারে খামেনির হতাশা ব্যক্ত করার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। অতীতে যুক্তরাষ্ট্র কখনোই ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সাথে সহনশীল আচরণ করেনি। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ছিল, এ মুহূর্তে রুহানির অবস্থানকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কূটনীতিক-পর্যায়ে দৃশ্যমান কিছু পদক্ষেপ নেয়া এবং অন্তত কিছু ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে নেয়ার মতো সাহসী ঘোষণা দেয়া। এমনটি করা হলে রুহানির মধ্যপন্থী অবস্থানের ইতিবাচক প্রভাব ইরানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে আরো জোরালো হয়ে উঠত।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন