২৪ অক্টোবর ২০১৩-এর পরে নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্বে থাকছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। অলৌকিক কিছু না ঘটলে, আপাতত এর ব্যত্যয় হবার সম্ভাবনা নেই। মুখে মুখে মহাজোটের নেতারা চাঙ্গাভাব বজায় রাখতে চাইছেন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট আন্দোলন করতে পারবে না, মহাজোট আয়োজিত নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না এই আওয়াজ তুলে মাঠ গরম রাখতে চাইছে আওয়ামী লীগ নেতারা। অন্যদিকে ২৪ অক্টোবরের পর মহাআন্দোলনের কৌশল নিয়ে মাঠ দখলের আভাস দিচ্ছে বিএনপি। সংগ্রাম কমিটি গঠন করে ভোটকেন্দ্র দখলের আওয়াজ তুলেছে তারা। কিন্তু সেই রণকৌশল, তার পূর্ব প্রস্তুতিই বা কী, সেসব নিয়ে বিস্তারিত বলছে না বিএনপি। গত পাঁচ বছরে আন্দোলনের মাঠে বিএনপির যে দুর্দশা, সেই প্রস্তুতি নিয়ে কি বিএনপি পারবে আওয়ামী লীগের নির্বাচন প্রস্তুতি ঠেকাতে? নাকি, শেষমেশ নির্বাচনে যোগ দিয়ে পাল্টে দেবে সব হিসাব-নিকাশ। ঈদুল আজহার পর আসলেই রাজনীতি কোন দিকে যাচ্ছে, সে নিয়ে চাপা উত্তেজনা, উৎকণ্ঠার সঙ্গে দেশব্যাপী চলছে উদ্বেগ। বিএনপির রণনীতি আর আন্দোলন কৌশলের সেই ঢাকগুড়গুড় বিশ্লেষণ করেছেন শুভ কিবরিয়া।
বিএনপির আন্দোলন ও পূর্বানুমান
২৪ অক্টোবর ২০১৩, স্বাভাবিক সরকারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সংবিধানে নতুন কোনো সংশোধনী না আসলে ২৪ অক্টোবর ২০১৩ থেকে ২৪ জানুয়ারি ২০১৪ পর্যন্ত যে সরকার থাকবে তা হবে নির্বাচনকালীন সরকার। এই সরকারের কাজ হবে রুটিন ওয়ার্ক সমাধা করা। বিএনপি এই সরকারের ক্ষমতা, সামর্থ্য, করণীয় ও দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে জনমানুষ ও প্রশাসনের কিছু ভাবনাকে ‘পূর্বানুমান ভিত্তিতে’ ধরে তার রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণ করছে।
এক. ২৪ অক্টোবর ২০১৩-২৪ জানুয়ারি ২০১৪, মেয়াদের শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার, স্বাভাবিক সরকার নয়। নির্বাচনকালীন সরকার। প্রশাসন বিশেষত সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের ওপর এ সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। সামরিক ও বেসামরিক আমলারা সরকারের যে কোনো অন্যায্য সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অতীতের মতো সক্রিয় থাকবে না।
দুই. রাজনৈতিকভাবে শেখ হাসিনার সরকার যেভাবে রাষ্ট্রের বিচার, নির্বাহী বিভাগ এবং গোয়েন্দা বিভাগকে এতদিন নিয়ন্ত্রণে করে এসেছে, এ সময়ে তার ভেতর যথেষ্ট পরিমাণ শিথিলতা দেখা দেবে।
তিন. যেসব সরকারি কর্মকর্তা এতদিন গোপালগঞ্জ বা আওয়ামী লীগ ব্রান্ডিং নিয়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়েও আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে, তাদের ছোট অংশ বাদে বৃহৎ অংশটি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালনে অধিকতর আগ্রহী হবে।
চার. সরকারের ভেতরে থাকা আওয়ামীবিরোধী আমলাতন্ত্র যারা এতদিন কোনঠাসা ছিল, যাদের কপালে মাত্রাতিরিক্ত দলীয় বিবেচনার সুবিধা জোটেনি কিংবা যারা হাওয়া বুঝে চলা নীতিতে বিশ্বাসী, এই অংশটি সংখ্যাগরিষ্ঠ। বেকায়দা দেখলে এই সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশটি শেখ হাসিনার নির্বাচনকালীন সরকারকে অসহযোগিতা করবে।
পাঁচ. বিএনপির পূর্বানুমান হচ্ছে, বর্তমান মহাজোট সরকারের সময়ে আওয়ামী লীগের যেসব নেতা-কর্মী আর্থিকভাবে পুষ্ট হয়েছে, তারা গত পাঁচ বছরে রাজনৈতিক প্রভাবে অর্জিত সম্পদ রক্ষার দিকে মনোযোগী হবে। ময়দানের লড়াইয়ে থাকবে না। বিশেষত দলের হাইব্রিড অংশটি পরিস্থিতি উষ্ণ হলে তলে তলে আঁতাত করবে প্রতিপক্ষের সঙ্গে। অন্যদিকে ক্ষুব্ধ সুবিধাবঞ্চিত হাইব্রিড নেতাদের দ্বারা লাঞ্ছিত আওয়ামী লীগের মাঠের কর্মীরা এ বিপদের দিনে মরিয়া হয়ে মাঠে জান লড়িয়ে দেবে না।
ছয়. এতদিনের ক্ষমতাধর আওয়ামী এমপি, মন্ত্রী, প্রশাসনের লাঠিয়াল অংশ মুখে যাই বলুক না কেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তলে তলে নিজেদের ভবিষ্যতে নিরাপদ রাখতেই ব্যস্ত থাকবে।
সাত. বিদেশি যারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রভাব রাখতে সক্ষম বিশেষত আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও চীন শেখ হাসিনার ওপর চাপ সৃষ্টি করবে একটা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য। ভারতও বাংলাদেশের জনগণের প্রকৃত মনোভাবের বিপরীতে যাবে না। মুখে মুখে বা দৃশ্যমানভাবে কংগ্রেস-আওয়ামী লীগ সম্প্রীতি যতই দেখা যাক না কেন, নিজের বৃহত্তর স্বার্থে ভারত শেখ হাসিনার যে কোনো অন্যায্য ও সংঘাতময় কাজেই রাষ্ট্রনৈতিকভাবে পাশে দাঁড়াবে না। শেষ পর্যন্ত ভারত নীতিগতভাবে ব্যক্তি নয়, বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাইবে।
আট. লড়াইয়ের ময়দানে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের জঙ্গি অংশটিকে পাশে পাবে বিএনপি। শেখ হাসিনার নানা কর্মকাণ্ডে যারা খুশি নন, কিংবা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সেই কট্টর ইসলামপন্থি, উদার গণতন্ত্রী, বামপন্থিদের একটা বড় অংশ রাজনৈতিকভাবে শেখ হাসিনার একদলীয় নির্বাচনের আয়োজনকে সুনজরে নেবে না।
নয়. হরতাল অবরোধের মতো বড় বড় ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি না দিয়ে শেষ পর্যন্ত বিএনপি যে নমনীয় আচরণ দিয়ে সমঝোতার জন্য অপেক্ষা করল, তার জন্য দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ও বিদেশে বাংলাদেশের বন্ধুদের একটা সমর্থন মিলবে তাদের পক্ষে।
দশ. শেখ হাসিনা আন্দোলন দমাতে বিজিবি, র্যাব ব্যবহার করতে চাইবে। কিন্তু বিজিবি, র্যাবের নেতৃত্বে থাকা সেনাকর্মকর্তারা শেখ হাসিনার অন্যায্য নির্বাচনে নিজেদের জনদমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইবে না। এমনকি সেনাবাহিনী পেশাদার সংগঠন এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে একদলীয় নির্বাচনে ব্যবহৃত হয়ে নিজেদের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে চাইবে না।
২.
এসব পূর্বানুমানকে ভিত্তি হিসেবে ধরে বিএনপি মাঠের কর্মসূচি গ্রহণ করতে চাইছে। বিএনপির সকল নেতা-কর্মী এমনকি হাইকমান্ডের স্থির বিশ্বাস, ন্যূনতম সুষ্ঠু নির্বাচন হলে, বিএনপির পালে এবার হাওয়া লাগবে। মানুষ শেখ হাসিনাকে প্রত্যাখ্যান করবে। সে জন্য ২৪ অক্টোবর ২০১৩ পর্যন্ত যে কোনো পরিস্থিতিই ঘটুক না কেন, বিএনপি কোনো কঠোর কর্মসূচিতে যাবে না। সরকারের কোনো প্রতারণার ফাঁদে তারা পা দেবে না। সবাইকে নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের আশায় শেখ হাসিনার শুভবুদ্ধির জন্য তারা অপেক্ষা করবে। বিএনপির ধারণা, ক্ষমতাকেন্দ্রের প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা সরে দাঁড়ালে মাঠপর্যায়ে থেকে সর্বস্তরে আওয়ামী নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙে যাবে। কাজেই শেখ হাসিনা সরকারপ্রধান থাকলে, কোনো অবস্থাতেই তারা নির্বাচনে যাবে না। একদলীয় নির্বাচন করতে চাইলে সর্বশক্তি নিয়োগ করে তারা তা প্রতিহত করবে। এখন এই সর্বশক্তির ধরন কী? আন্দোলনের প্রকৃতিই বা কী হবে!
৩.
কি করবে বিএনপি
বিএনপি শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনার শুভবুদ্ধির অপেক্ষায় থাকবে। নির্বাচনকালীন সরকারে কোনো পরিবর্তন হলে, সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে হলেও নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী বিএনপি। নির্বাচনমুখে বিএনপি নেতাকর্মীদের একটা বড় অংশ নির্বাচনে যেতে চায়। বিশেষ সুযোগ সুবিধা পেলে, সরকারের প্রভাবে ভিন্ন নামে, ভিন্ন ব্যানারে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। দলকে এককাট্টা রেখে দাবি আদায় করার চ্যালেঞ্জ তাই বিএনপি নেতৃত্বকে ভাবিয়ে তুলেছে। অন্যদিকে, বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটে জামায়াতকে নিয়ে নানারকম শঙ্কা ও বিপদ আছে। আন্দোলন চরমে উঠলে জামায়াত তার সুযোগ নিয়ে পরিস্থিতিকে আরও সহিংস করে তুলতে পারে। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী, বিএনপির বাইরে অন্য কোনো শক্তি রাষ্ট্রক্ষমতায় আসুক, বিএনপি তা চায় না। অন্যদিকে, জামায়াত যে কোনো মুহূর্তে তাদের নেতাদের রায় কার্যকর না করার শর্তে সরকারের সঙ্গে গোপন আঁতাত করে আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে এই উভয় শঙ্কা ও সঙ্কট পুরোমাত্রায় মাথায় রাখতে হচ্ছে বিএনপিকে। অন্যদিকে দলের কট্টর জাতীয়তাবাদী, ডানপন্থি গ্রুপটি জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে প্রবল আন্দোলনে আগ্রহী হলেও বিএনপির মধ্যে কথিত প্রগতিশীল উদার গণতন্ত্রী, আমলানির্ভর অংশটি আলাপ আলোচনা চালিয়ে সঙ্কট নিরসনে উৎসাহী। আবার দলে সিনিয়র নেতারা তারেক জিয়া এবং তার উগ্রপন্থি অনুসারীদের উত্থানকে সম্ভ্রমের চোখে দেখেন না। তারেক জিয়ার উগ্রপন্থাই বিএনপিকে দীর্ঘমেয়াদে বিপদে ফেলেছে বলে তাদের রাজনৈতিক বিবেচনা। দলের এই অংশটির একটা বড় গোষ্ঠী সরকার, দাতা সংস্থা এবং কূটনৈতিক চ্যানেলে যোগাযোগ রেখে বিএনপিকে ডাইনাস্টি বা পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি থেকে বের করে আনতে আগ্রহী। এ রকম বহু ভাবনার, বিবিধ চিন্তার, বিশিষ্ট-বিভাজিত অংশকে নিয়ে বেগম জিয়া তার রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করছেন। তিনি জানেন, এই লড়াইয়ে পরাভূত হলে সবচেয়ে বড় আঘাত আসবে তার এবং তার পরিবারের ওপর। সে কারণেই কোনোমতেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার মানতে তিনি রাজি নন। শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করে কঠোর, কট্টর কর্মসূচিতেই যাবেন তিনি। কি রকম হতে পারে সেই কর্মসূচিÑ
এক. কোনো অবস্থাতেই শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারপ্রধান থাকতে পারবেন না। স্পিকার কিংবা রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচনকালীন সরকারপ্রধান মেনেও নির্বাচনে যাবেন না তিনি। সে কারণেই সরকারের প্ররোচনায় নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করলে পাল্টা কর্মসূচি দেবেন।
দুই. ২৪ অক্টোবরের পর হতে সরকারকে অসহযোগিতার ডাক দেবেন তিনি। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হলে ধাপে ধাপে তা প্রতিহত করতে কর্মসূচি দেবেন। একবারে বড় কোনো কর্মসূচি না দিয়ে ধাপভিত্তিক কর্মসূচি দেবেন।
তিন. বিএনপির টার্গেট থাকবে আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ যেন হাতছাড়া না হয়। তাই কোনো অবস্থাতেই আক্রমণাত্মক কোনো কর্মসূচিতে প্রথমেই যাবে না বিএনপি। হরতাল, অবরোধ ঘোষিত হবে। টানা অবস্থান কর্মসূচি থাকবে।
চার. প্রশাসন এবং আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা পাল্টা অবস্থান নিলে সেখানে সহিংসতার সুযোগ নিতে চাইবে বিএনপি, জামায়াত। ন্যূনতম সহিংসতাকে পুঁজি করে টানা হরতাল কর্মসূচি আসবে।
পাঁচ. বিএনপির নেতাকর্মীরা যেখানে অ্যারেস্ট হবে, সেখানেই হরতাল ও ঘেরাও কর্মসূচি আসবে।
ছয়. নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হলে, মনোনয়ন ফরম তোলা, জমা দেবার সময়ে বাধা দেবার কর্মসূচি নেবে বিএনপি। এই কর্মসূচি বাধা পেলে, যতদূর সম্ভব শক্তি প্রয়োগের উদ্যোগ নেবে ১৮ দলীয় জোট।
সাত. আন্দোলন ন্যূনতম মাত্রা পেলে ঢাকাকে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের কৌশল নেবে বিএনপি।
আট. চার সিটি কর্পোরেশন বড় ধরনের জমায়েত হবে। সক্রিয় থাকবে দলের নেতাকর্মীরা। এ ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বিএনপির টিকেটে যারা এমপি হতে চাইবেন, সেই নির্বাচনী মনোনয়নে একটা বড় চাপ থাকবে নেতাদের ওপর। যেসব নেতারা মাঠে থাকবে না, নমিনেশনের ক্ষেত্রে কম সুযোগ পাবেন।
নয়. সপ্তাহ থেকে দিন পনের দেশ অচল রাখার সুযোগ পেলে সরকার দুর্বল হয়ে পড়বে। মাঠে আওয়ামী লীগ নামলে, তাকে বিএনপি সুযোগ হিসেবে নেবে। সংঘাত উসকে দিতে পারলে কঠোর কর্মসূচির পথ সহজ হবে।
দশ. পরিস্থিতি এতে হাতের নাগালে না এলে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয় এমন ঘটনা ঘটতে থাকবে। রাজনীতির মাঠ তাতে ব্যাপক প্ররোচনা দেবে। পুরো দেশের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করে সরকারকে অচল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠতে চাইবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। সে ক্ষেত্রে ভারতবিরোধিতা ও ধর্মীয় কার্ড নিয়ে হেফাজতের ব্যানারে বড় ধরনের জন উপস্থিতি আন্দোলনের নতুন মোড় তৈরি করতে পারে। বিএনপি এ পুরনো খেলায় ফিরে গেলেও অবাক হবার কিছু থাকবে না।
৪.
শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়া নিজস্ব গেমপ্ল্যান নিয়ে মাঠে থাকছেন। মাঠ যার দখলে থাকবে তিনিই নেতৃত্ব দেবেন সামনের দিনে। দুই নেত্রীর সংঘাত, ১/১১-এর পুরনো গেমপ্ল্যানকেও উসকে দিতে পারে। বিকল্প রাজনীতির চিন্তা মাথায় রেখে যারা ঘুঁটি চালেন, তারাও এই সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হোক সেটা চাইবেন মনেপ্রাণে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাই অক্টোবরের গেম খুবই গুরুত্ব বহন করে। শেষ বিচারে কে ফলাফল নিজেদের অনুকূলে আনবে তা দেখা দেখার জন্য তাই অপেক্ষা করতে হবে জনগণকে দুর্ভোগ আর দুর্ভাবনা নিয়ে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন