সাপ্তাহিকী
|
মোঃ মহিউদ্দিন মজুমদার মাসুম
|
|
জীবন যখন যৌবনে
আর এই যৌবনের নেতৃত্বে তারেক নাকি জয় !
30 Sep, 2013
আকাশে বাতাসের উপস্থিতি থাকুক আর নাইবা থাকুক স্বপ্নের ঘুড়ি ওড়ানো যায়, ইচ্ছে হলে আকাশের সীমা ছাড়িয়ে সুদূর মেঘমালাকেও স্পষ্শ করা যায়- জীবন যখন যৌবনে । স্বপ্ন সুখে ধরাকে সরা জ্ঞান করা যায়, অধরা অসম্ভব বলে কিছু নেই, তাও ভাবা যায়- জীবন যখন যৌবনে । মনের চোখে রঙিন সব স্বপ্ন দেখা যায়, রাজা উজির নাজির সবই হওয়া যায়, পৃথিবীর সব সুন্দরের মালিক ভাবা যায়- জীবন যখন যৌবনে ।
জীবনের এই যৌবনকে কবি সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদরা তাদের চোখ দিয়ে ভিন্ন-ভিন্ন আঙ্গিকে দেখলেও একটা অদ্ভূত সাদৃশ্য বিদ্যমান, তা হচ্ছে এই যৌবন ভাঙ্গে, এই যৌবন গড়ায়, এই যৌবন সৃষ্টিশীল কর্মের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত অগ্রসরমান । মধ্য দুপুরে সূর্য্যের তেজ যেমনি প্রখর ও তীব্র তেমনি ব্যক্তি জীবনেও যুবক বয়সে স্বপ্নের তেজ সফলতার সম্ভাবনায় উজ্জ্বল । মধ্য দুপুরে কাঠ ফাঁটা খাঁ-খাঁ রোদ্দুরে ঘাম ঝরা তেল সিটসিটে মুখাবয়বের মাঝ বয়সী যুবক- সব কিছুতেই ডেমকেয়ার, যা পড়ন্ত বয়সে সম্ভব নয় । আর বয়সের এই হিসাব-নিকাশে বাংলাদেশে যুবক বয়সী নাগরিকই বেশী । যাদের বয়স আঠার থেকে চল্লিশ বছরের মধ্যে অবস্থান করছে । এই যুব সম্প্রদায় দেশে গার্মেন্টস্ শিল্পে এবং বিদেশে চাকুরী ও ব্যবসা করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে । বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের অর্থনীতি টিকে আছে ব্যক্তিগত উদ্যোক্তাদের সফল উদ্যোগ ও দেশে-বিদেশে কর্মরত যুব সম্প্রদায়ের ওপর ভর করে । এটা নিশ্চিত এর সাথে ইতিবাচক রাজনীতির সমন্বয় থাকলে সন্দেহাতীত ভাবে দেশ অনেক এগিয়ে যেতো ।
প্রশ্ন হচ্ছে রাজনীতিকে ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে আনবে কারা ? গতানুগতিক ধারার বর্তমান নেতৃত্ব তাদের আত্মসংশোধনীর মাধ্যমে নাকী ভবিষ্যত তরুণ নেতৃত্বের হাত ধরে ? তারুণ্যে উদ্দীপ্ত তরুণ নেতৃত্বের প্রতি দেশ-জাতির প্রত্যাশাটা বেশী । আর এই তারুণ্যের প্রতিনিধি হিসেবে ইতিমধ্যেই তারেক রহমান জিয়া পরিবারের উত্তরাধিকারীর আসনটি নিশ্চিত করেছেন এবং সম্প্রতি সজীব ওয়াজেদ জয় শেখ পরিবারের উত্তরাধিকারী হিসেবে নিজেকে জানান দিয়েছেন । সারা দেশের মানুষ এই দুই তরুণকে নিয়ে স্বপ্ন দেখলে, আশায় বুক বাঁধলে খুব বেশী অবাস্তব ঠেকবে কিনা জানিনা । তবে জাতি গতানুগতিক মিথ্যাচার নির্ভর, দূর্নীতি পরায়ণ, প্রতিহিংসা ও কাদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতি থেকে মুক্তি চায় । ওনারা সেই মুক্তির দিশারী হবেন নাকী গতানুগতিক রাজনীতি চর্চাই অব্যাহত রাখবেন । তা নিশ্চিত হতে খুব বেশী দিন হয়ত লাগবে না । তবে এই তরুন নেতৃত্বদ্বয়কে অংকুরে বিনষ্ট করার বিভিন্ন ধরনের আয়োজন বর্তমান রাজনীতির আড়ালে-আবডালে বিদ্যমান আছে । সৎকে অসৎ বানিয়ে ফায়দা লুটার সুযোগ সন্ধানী রাজনীতিবিদরা উভয় দলেই সক্রীয় । তারপরও প্রত্যাশা করছি, তরুণ নেতৃত্বরা সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে তাদের মেধা, জ্ঞান, দক্ষতা, মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত চেতনা, অতীত ত্যাগী নেতাদের আদর্শ ও বিশ্ব রাজনীতি/অর্থনীতি থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির ঝান্ডা উর্ধ্বে তুলে ধরবেন ।
তারেক জিয়া ও জয়ের মধ্যে বয়স, শিক্ষা-দীক্ষা, নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা, দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তা চেতনা ও জন্মগত ভাগ্যে কমবেশী সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য থাকলেও রাজনীতি করার ক্ষেত্রটি একই, তা হচ্ছে রক্তার্জিত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ । জন্ম ভাগ্যে সৌভাগ্যবান প্রায় সমবয়সী এই দুজনই উত্তরাধিকার সূত্রে দেশের বৃহৎ দল দুটির ভবিষ্যত কান্ডারী । তাই এই দেশটির ভবিষ্যত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন-অবনমন ও ভাল-মন্দ বহুলাংশে এই কান্ডারীদের ওপরই নির্ভর করবে । ওনারা জাতিকে কে কীভাবে কতটুকু সার্ভিস দিবেন, তা ওনাদের যোগ্যতা দক্ষতা ও দলের সিনিয়রদের সহযোগীতার উপর অনেকাংশে নির্ভর করবে । ওনাদের ভাল কাজে সমর্থন ও উৎসাহ দান যেমনি প্রয়োজন, তেমনি মন্দ কাজে সমালোচনাও কাম্য । আর এ ক্ষেত্রে তাদের কর্মকান্ডের নির্মোহ মূল্যায়নে দেশের বুদ্ধিজীবি, সুশীল সমাজ, শিক্ষক ও সাংবাদিকদের ভূমিকার দাবী রাখে । গতানুগতিক ধারার রাজনীতিতে আমরা দেখি কোন এক দলের প্রধান নেতৃত্ব দুর্নীতি করলে অন্যদলের প্রধানকেও দুর্নীতিবাজ হিসেবে চিহ্নিত করাতে হবে, রাজনীতির এই প্রক্রিয়া কোন ভাবেই সুস্থ্য স্বাভাবিক ও ইতিবাচক রাষ্ট্র বিনির্মানে সহায়ক নয় । দুটি দলের/নেতার ভাল কাজের প্রশংসা ও ভাল কাজের তুলনামূলক সমালোচনা করলে রাজনীতিতে ভাল কাজ করার প্রবণতা বাড়বে । ধরুন, একটি দল তাদের মেয়াদকালে দশটি কাজের মধ্যে সাতটি ভালো ভাবে এবং তিনটি মন্দ ভাবে সম্পাদন করলো । অন্যদলটি তাদের মেয়াদকালে দশটি নয় কাজই করলো সাতটি এবং তার মধ্যে চারটি ভালো ভাবে ও তিনটি মন্দ ভাবে সম্পাদন করলো । এক্ষেত্রে বেশী কাজ করা দলটি সমান সংখ্যক মন্দ কাজের জন্য সম পরিমান সমালোচিত হলে ভালো কাজের উৎসাহ কমে যাবে । আবার বেশী ভালো কাজের জন্য দলটি প্রশংসিত হলে রাজনীতিতে ভালো কাজের প্রবণতা বাড়বে । এ কাজটি বুদ্ধিজীবি লেখক সাংবাদিক ও সুশীলরা মিডিয়াতে পক্ষপাতহীন ভাবে তুলে ধরলে নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে, রাজনীতিতে ইতিবাচক প্রতিযোগীতাও বৃদ্ধি পাবে এবং দেশটি ধাপে ধাপে এগিয়ে যাবে ।
তারেক জিয়া বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে বর্তমানে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন । বিগত বিএনপি সরকারের সময়ে সরকারের দায়িত্বে না থেকেও হাওয়া ভবনের মাধ্যমে সরকার পরিচালনায় অনধীকার চর্চা করে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হন । তারেক জিয়ার হাওয়া ভবনের মাধ্যমে প্যারালাল সরকারটির কারনে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিঃ চৌধুরী ও কর্ণেল অলিসহ অনেক নেতা দল ত্যাগে বাধ্য হন । তারপরও তারেক জিয়াই বিএনপিকে নেতৃত্ব দিবেন, এটা মেনেই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী, প্রেসিডেন্ট জিয়ার ভক্ত সমর্থকরা বিএনপি করতে হবে । অন্যদিকে সজীব ওয়াজেদ জয় বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র হিসেবে বিগত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ম্যানুপেষ্টুতে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্লোগান তুলে ধরেন এবং সরকারের সাড়ে চার বছরে বাহিরে থেকে তা বাস্তবায়নে কমবেশী ভূমিকা রাখেন । প্রধানমন্ত্রীর সন্তান হয়েও সুযোগ সন্ধানী কর্মকান্ডের মাধ্যমে বিত্তবৈভব অর্জনে লোভাতুর দৃষ্টি না রেখে যতটুকু সম্ভব স্বীয় অর্জিত জ্ঞান অভিজ্ঞতা দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সহায়তার কারনে ক্লীন ইমেজ তৈরী হয়েছে । এই ক্লীন ইমেজে ভর করে বর্তমানে দলের পক্ষে জনমত তৈরীতে ব্যাপক গনসংযোগ করছেন । এতে ইতিবাচক সাড়াও পাচ্ছেন আবার তথ্য ও চমক জাতিয় দুটি শব্দ উচ্চারণের কারনে এবং পরবর্তীতে শব্দ দুটি ব্যবহারে সৃষ্ট বিভ্রান্তি লাঘবেও যথোপযুক্ত ব্যাখ্যাহীনতায় এক ধরনের সমালোচনাও শুনতে হচ্ছে । এভাবেই হয়তো রাজনীতির ছোটখাটো পাঠ নিতে-নিতেই হঠাৎ দলের বড় পদে সমাসীন হবেন এবং বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী ও বঙ্গবন্ধুর ভক্ত সমর্থকরা জয়ের নেতৃত্বেই আওয়ামীলীগের রাজনীতি করবেন । যদি তারেক জিয়া ও জয় যথাযথ গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অবলম্বন করে স্ব-স্ব দলের মধ্যে পদায়িত হতেন । তা দেশের গনতন্ত্রের জন্য ইতিবাচক হতো । কিন্তু পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি থেকে মুক্তি আপাত সম্ভব নয় । তাই ভালো নেতৃত্ব পেতে জাতিকে ভাগ্যের উপরই নির্ভরশীল হতে হচ্ছে । ঐ দুই পরিবারে সুশিক্ষিত সুসন্তান উপহার দিলে দেশ-জাতির ভাগ্যে জুটবে সুযোগ্য নেতা ।
যাহোক, ভাল-মন্দ যাই হোক সরাসরি দল পরিচালনার অভিজ্ঞতায় তারেক জিয়া এগিয়ে আছেন অন্যদিকে জয় ব্যাঙ্গালোর ও হ্যাভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার প্রযুক্তি ও পাবলিক এ্যাডমিনিষ্ট্রেশনে পড়াশুনার কারনে শিক্ষা-দীক্ষায় এগিয়ে আছেন । বাস্তবতা থাকুক আর নাইবা থাকুক খালেদা জিয়ার প্রধানমন্ত্রীত্বের সময়কালে তারেক জিয়া দুর্নীতির দায়ে অভিযু্ক্ত হন তাই বিএনপিমনা লেখক বুদ্ধিজীবি ও সাংবাদিকরা জয়কেও দুর্নীতিবাজ হিসেবে কাল্পনিক অভিযোগ তুলে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেন । যা কোন ভাবেই ইতিবাচক প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের কাজ নয় । জয় তার জ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে যে ইতিবাচক ভূমিকার মাধ্যমে রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়েছেন । তারেক জিয়া যদি রাষ্ট্রকে আরো এগিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা জাতির সামনে তুলে ধরেন, তবেই নেতৃত্বের মান ও নেতৃত্বের চিন্তার প্রখরতা বৃদ্ধি পাবে, নেতৃত্বের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিযোগীতার ক্ষেত্রও তৈরী হবে এবং এর প্রভাবে দেশ-জাতি নিশ্চিত ভাবে ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাবে । আবার অন্যদিকে আওয়ামীলীগ তারেক জিয়ার নাম শুনলেই এর সাথে হাওয়া ভবন, খাম্বা লিমিটেড ও মামুন বাবর উপখ্যান জড়িয়ে দেন । কথিত আছে তারেক জিয়া বৃটেনে ব্যক্তিগত চিকিৎসার ফাঁকে ফাঁকে দেশের ভবিষ্যত রাজনীতি ও অর্থনীতি নিয়ে কিছু পরিকল্পনার কথা ভাবছেন । যদিও আওয়ামী ধরনার বুদ্ধিজীবি ও মিডিয়া এসবকে ন্যূনতম গুরুত্বই দিতে চাচ্ছেন না, আবার বিএনপির সুবিধাবাদী ধান্দাবাজ নেতারাও এসব প্রচারণায় আনছেন না । যা ইতিবাচক রাজনীতির জন্য সহায়ক নয় । তারেক জিয়া সত্য-সত্যই যদি দেশের ভবিষ্যত রাজনীতি ও অর্থনীতি নিয়ে কোন পরিকল্পনা নিয়ে থাকেন তা আমাদের রাজনীতির স্বার্থে মিডিয়ায় আলোচনা-সমালোচনার দাবী রাখে । এভাবেই হয়তো আমরা পরিবর্তীত নতুন রুপের তারেক জিয়াকে ফিরে পাবো ।
এই দুই তরুণের মধ্যে রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনার দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে কিছুটা দূরত্ব থাকলেও এযুগের সন্তান হিসেবে চিন্তা চেতনার স্তর অনেকটাই কাছাকাছিই থাকার কথা । তারেক জিয়ার এই স্বল্প সময়ের রাজনীতিকে বিবেচনায় নিলে দেখা যাবে জামাত শিবিরের ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতির সাথে দূরত্ব রেখে চলতে পছন্দ করতেন । রাজনীতিতে ধর্মের অপব্যবহার কমিয়ে আনা বা জঙ্গী তৈরীর রাজনীতিকে নিরুৎসাহিত করতে এই তরুণ নেতৃত্বদ্বয়ের ভূমিকার দাবী রাখে, নতুবা দেখা যাবে বাংলাদেশেও ব্রাদারহুড বা আল কায়েদার নিউ ভার্সনের ছায়া ধীরে-ধীরে স্পষ্ট হয়ে ধরা দিবে । যা কোন ভাবেই কাম্য নয় ।
জনগন এই তরুণ নেতৃত্বের কাছে যদি প্রত্যাশা করে ওনারা ওনাদের চিন্তা চেতনা ও মননে আধুনিক বিশ্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাজনীতি ধারন করে গ্লোবাল ভিলেজে দেশকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করবেন । যুব সমাজকে তথ্য প্রযুক্তি ও কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত করার পরিকল্পনায় আনবেন । ভারতের ব্যাঙ্গালোরের ন্যায় আইটি প্রযুক্তিকে অগ্রাধীকার দিয়ে দেশের দু/তিনটি বিভাগীয় শহরকে আনুষঙ্গিক সুযোগ সুবিধা দিয়ে বিশেষায়িত আইটি পল্লী হিসেবে গড়ে তুলবেন । এতে যুব সমাজ দেশে বসেই ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন কোম্পানীর কাজ করে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে । অপরদিকে অন্য বিভাগীয় শহর থেকে দু/তিনটি বিভাগীয় শহরে বিশেষায়িত মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউশন গড়ে তোলার মাধ্যমে প্রশিক্ষিত নাগরিক তৈরী করবে এবং মধ্যপ্রাচ্য সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে চাকুরী করে প্রচুর পরিমানে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করবে । সরকার যদি আইটি প্রযুক্তি ও চিকিৎসা শাস্র শিক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কর্মসূচী গ্রহন করে, তাহলে একদিকে দেশে উচ্চ শিক্ষিত নাগরিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সক্ষমতা আরো অনেক বৃদ্ধি পাবে । গার্মেন্টস্ শিল্পে কর্মরত জনশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধি করন ও কাজে মানবিক পরিবেশ উন্নয়ন ও শ্রমিক মালিক সম্পর্কোন্নয়নে পরিকল্পনা এবং কৃষির উন্নয়নে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা ও অনাবাদী জমিকে সুনির্দিৃষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে আবাদের আওতায় নিয়ে আসার রোড ম্যাপ জাতির সামনে তুলে ধরবেন । এই তরুণ নেতৃত্বদ্বয় এছাড়াও রাষ্ট্রের প্রতিটি সম্ভাবনাকে কে কীভাবে কাজে লাগাবেন, তা তুলে ধরবেন এবং প্রতিটি সম্ভাবনার সফল বাস্তবায়নে প্রতিযোগীতামূলক ভাবনা তুলে ধরে নিজের নেতৃত্ব ও চিন্তার শ্রেষ্টত্ব প্রকাশ করবেন । জাতি দেখতে চায় এই নবীন নেতৃত্বের ক্যারিশমেটিক সিদ্ধান্তে আমরা মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছি কানাডা ও জাপানের দিকে । জাতি আর শুনতে চায় না কে কতটা দুর্নীতি করেছেন, লুটে নিয়েছেন জনগনের সম্পদ ইত্যাদি ইত্যাদি ।
এ যুগের সন্তান হিসেবে তারেক রহমান ও সজীব ওয়াজেদ জয় দেশের ভবিষ্যত কান্ডারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে শক্ত হাতে হাল ধরবেন, রাজনীতি ও অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে তাদের মেধা যোগ্যতা ও দক্ষতার স্বাক্ষর রাখবেন এই প্রত্যাশা সাধারন নাগরিকদের । জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায়-
"তোরা সব জয়ধবনি কর
তোরা সব জয়ধবনি কর
ঐ নতুনের কেতন উড়ে কালবৈশাখীর ঝড় ।"
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন