সাপ্তাহিকী
|
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ
|
|
সংস্কারপন্থী সহ সকল পক্ষকেই মূল্যায়ন করার জন্য তারেক রহমানের নির্দেশনা
08 Sep, 2013
লন্ডনে চিকিৎসাধীন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আগামী নির্বাচনে কি করে দল ও দলের শরীক সকলের ব্যাপক অংশ গ্রহণের মাধ্যমে জয় বিএনপি ও ১৮ দলের ঘরে তুলা যায়, সে লক্ষ্যে ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে চলেছেন। তৃণমূল নেতৃত্বকে কি করে দলের নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও অংশগ্রহণের শরীক করে,১/১১ পরবর্তী অবস্থায় দলচ্যুত নেতা-কর্মীদের কি করে আত্মীয়করণ করে দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে বিশেষ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সকলের মনোনয়ন সহ সরকার গঠনের পরে দলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের অবশ্যই যোগ্যতা ও দক্ষতার আলোকে যাতে মূল্যায়ন করা হয়, সে লক্ষ্যে তারেক রহমান কর্মপরিকল্পনা সাজাচ্ছেন।তারেক রহমানের সাথে ঘনিষ্ঠ অথচ তারেক রহমানের আগামীর স্বপ্নের বাংলাদেশ দর্শন ও রূপকল্পের সাথে সরাসরি জড়িত এমন বিশ্বস্ত সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, তারেক রহমান তার আগামী সরকারের রূপকল্পে সংস্কার পন্থী সহ ত্যাগী, দক্ষ, অভিজ্ঞ নেতৃত্বদের যাতে দল যথাযথভাবে মূল্যায়ন করে , তার সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা রূপকল্পে তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ হিসেবে জানা গেছে, তারেক রহমান চাননা, জাতীয়তাবাদী রাজনীতি ও আদর্শে বিশ্বাসী কেউই আর যেন বিএনপির রাজনীতি থেকে ছিটকে না পড়েন। তিনি সকলকে নিয়ে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আগামী সরকারের তার স্বপ্নের দ্রুতগামী, লক্ষ্যে স্থির, সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সংস্কারপন্থী, জাতীয়তাবাদী, দেশপ্রেমিক সকল দল মত ও শক্তিকে সাথে নিয়ে আধুনিক, উন্নত ও যুগের সাথে তাল মিলাতে সক্ষম নতুন ধারার সরকারে শরিক করে কাজ করতে চান।
সূত্র আরো নিশ্চিত করেছে, তারেক রহমান ব্যক্তিগত জেদাজেদি ও ভুল বুঝাবুঝির মতো ক্ষুদ্র স্বার্থকে জাতীয় স্বার্থের উর্ধ্বে রেখে আগামীর দ্রুতগামী বাংলাদেশের সরকারের লক্ষ্যে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ইতিমধ্যে তিনি নিশ্চিত করেছেন, নিজ নিজ সংসদীয় আসনে জরিপ ও তৃণমূল নেতৃত্বের সুপারিশের ভিত্তিতেই বিএনপি ও জনগণের এবং বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য অপরিহার্য নেতৃত্বকেই নমিনেশন দেয়া হবে, এখানে কে সংস্কারপন্থী ছিলেন বা ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপ করেন, তা কিছুতেই বিবেচ্য করা হবেনা। তারেক রহমানের অতি নিকটবর্তী বিশ্বস্ত এই সূত্র নিশ্চিত করেছেন, পত্র-পত্রিকায় সংস্কারপন্থীদের নমিনেশন সংক্রান্ত বিষয়ে যে গুজব চালু রয়েছে, তা স্রেফ গুজব বলেই তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন। নমিনেশনের ক্ষেত্রে কিংবা সরকারে গঠনের পর মন্ত্রিত্বের ক্ষেত্রে কিছুতেই ঐ গুজব প্রাধান্য পাবেনা। সেজন্য তিনি বিশ্বস্ত সূত্রে ক্লিয়ার ম্যাসেজ দিয়েছেন, দলের জন্য সবাই নিবেদিত হয়ে কাজ করতে, সকল অনৈক্য ও বিভেদ ভুলে গিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে, যাতে নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে পারে বিএনপি ও ১৮ দল।
তারেক রহমানের একটাই লক্ষ্য বাংলাদেশকে কি করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বহির্বিশ্বের সাথে সমান তালে উন্নয়নের অংশীদার করে, আগামী বিশ্বের জন্য বাংলাদেশের লাখো-কোটি তরুণ প্রজন্মকে বিশ্বভ্রম্মান্ডের এক বিশাল দক্ষ ও এফিশিয়েন্ট কর্মী-বাহিনী করে গড়ে তুলে প্রতিযোগিতার শীর্ষে নেয়া যায়। দেশের কৃষি, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, ক্ষেতে-খামারে, শিক্ষায় দ্রুত উন্নতিকল্পে সকল নাগরিকের জন্য সুন্দর এক নিরাপদ বাংলাদেশ ও সুস্থ এক তারুণ্য নির্ভর পরিবেশের আবাসস্থল হিসেবে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে তুলে ধরা যায়- দিন রাত এখন তারেক রহমান সেই কাজগুলোই সাজিয়ে রাখছেন।
তারেক রহমানের অতি কাছের এই সূত্র অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে জানিয়েছেন, তারেক রহমান সত্যিকার অর্থে একজন অতি কোমল ও সহজে বিশ্বাস করেন এমন এক মনের মানুষ, যে প্রতিটি মুহূর্ত বাংলাদেশের মা মাটি ও মানুষের জন্য মন-প্রাণ কেঁদে চলেছে। লন্ডনের মতো আধুনিক সুযোগ-সুবিধার জায়গায় থেকেও বিন্দুমাত্র কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা না নিয়ে বা বিলাসিতা না করে সারাক্ষণ একাগ্রচিত্তে বাংলাদেশকে নিয়ে ভেবে চলেন, দলের ঐক্য ও তৃণমূল নেতাদের ভাবনা-চিন্তা নিয়ে দিন রাত পার করে দেন-এমন সংবেদনশীল মনের অধিকারী একজন তারেক রহমান, সত্যি অসাধারণ এক মনের মানুষ। কখনো গুণাক্ষরেও নিজের সাথে কঠোর আচরণ করা বিগত অসাংবিধানিক কিংবা এখনকার কোন সরকারের কারো সম্পর্কে পোষণ করেননা। যদি এমন হতো- সূত্র নিশ্চিত করেন, অন্তত: তিনি কিছুটা হলেও আচ করতে পারতেন, যেহেতু সারাক্ষণ তিনির সঙ্গী হয়ে আছেন। লন্ডনে অতি সাধারণ জীবন যাপনে অভ্যস্ত, সাধারণ বেশ ভূষায় চলনে অভ্যস্ত তারেক রহমান সম্পর্কে অযথা কেচ্ছা-কাহিনী শুনে তিনিও হতাশা ও আক্ষেপ প্রকাশ করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, অনেকেই উনাকে না জেনে, বাস্তবে না দেখে, নানান মিডিয়ার সূত্রের বরাতে অনেক রিউমারের সাথী করে ফেলেছেন, যা আজকের ব্যতিক্রমধর্মী অতি সাধারণ জনতার এক তারেক রহমানের সাথে অবিচার করা হচ্ছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের আগামী মাসের সফরের সময় সাক্ষাতে তারেক রহমান দলীয় নেত্রী ও মাকে দলের ভিতরে ও বাইরে, জোটের শরিক এবং সংস্কারপন্থী সকলের সমানভাবে মূল্যায়নের জন্য বিশেষ দিক-নির্দেশনা দিবেন বলে জানা গেছে।এবং সেটা সব ক্ষেত্রেই (বাছাই, নমিনেশন, সরকার গঠন)প্রযোজ্য হবে বলে জানা গেছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন