সাপ্তাহিকী
|
এ, কে, এম, মহীউদ্দীন
|
|
রমযানের দাওয়াত ‘তাকওয়ার’ দয়াওয়াত
28 Jul, 2013
মহা বরকতময় রমযান মাস আবার এসেছে আমাদের কাছে। এমাস আসে আল্লাহতা’আলার পক্ষ থেকে ‘তাকওয়ার’ দাওয়াত নিয়ে। কুর’আন মাজীদে আল্লাহতা’আলা বলেন, ‘ হে ইমানদারগণ, তোমাদের উপর সিয়াম ( রোযা ) ফরয করে দেওয়া হয়েছে যেমন তোমাদের আগের উম্মতদের উপরও করা হয়েছিল যাতে তোমরা তাকওয়া হাসিল করতে পার’ (সুরাহ আল-বাকারহ, ২ :১৮৩)।
‘তাকওয়া’ অন্তরের একটা মহা মুল্যবান সম্পদ। আল্লাহতা’লার কাছে সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে বান্দার অন্তরের মধ্যে ‘তাকওয়া’। কুর’আন মাজীদে আল্লাহতা’আলা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই সবচেয়ে বেশি সম্মানিত আল্লাহর কাছে যে সবচেয়ে বেশি তাকওয়াবান’ (আল-হুজুরত, ৪৯ :১৩ )। আন্তরিক চেষ্টা ও সাধনার মধ্য দিয়ে ‘তাকওয়ার’ এই সম্পদ আহরণ করতে হয়। আল্লাহতা’আলা চান আমরা সবাই রমযান মাসে ‘সিয়াম’ সাধনার মধ্য দিয়ে আমাদের অন্তরে ‘তাকওয়া’ নামক এই মহা মুল্যবান সম্পদটি হাসিল করে তাঁর প্রিয় হয়ে যাই। ‘তাকওয়ার’ হাসিলের উদ্দেশ্যে মেহনতকারির জন্যই আল্লাহতা’আলা উন্মুক্ত করে রেখে দিয়েছেন তাঁর ‘রহমমাত’, ‘মাগফিরত’ ও ‘নাজাত’-এর ভাণ্ডার। আল্লাহতা’লার এই মহা নিয়ামতগুলি এই মুবারক মাসে যে লাভ করতে পারল সে সবকিছুই পেয়ে গেল। তার আর চাওয়ার ও পাওয়ার কিছু বাকি থাকল না।
‘তাকওয়া’ এতো দামী কেন? কি আছে এর মধ্যে?
‘তাকওয়ার’ মুল কথা হচ্ছে অন্তরের মধ্যে সবসময় আল্লাহতা’আলার কথা খেয়াল থাকা। আল্লাহতা’আলা যে কতো বড়, ক্ষমতাবান ও মর্যাদাবান সে কথা মনে রাখা। আল্লাহতা’আলার সামনে নিজে যে কিছুই নয় মনের মধ্যে সেই অনুভুতি জাগ্রত রাখা। আল্লাহতা’আলার নজর থেকে কোথাও যে তার পালিয়ে যাবার কোণ উপায় নেই একথা মনে থাকা। একদিন যে তাঁর কাছে তাকে ফিরে গিয়ে জীবনের সবকিছুর সুক্ষ থেকে সুক্ষ হিসেব দিতে হবে সে খেয়াল রাখা।
অন্তরের মধ্যে কারো যখন সত্যিই ‘তাকওয়া’ এসে যায় তখণ এর প্রভাব তার জীবনের সবকিছুতেই ছড়িয়ে পড়ে। তার মধ্যে একই সাথে একটা মহা ভয় ও একটা প্রচণ্ড আগ্রহ জন্মে। সে সবচেয়ে বেশি ভয় পায় আল্লাহতা’আলার অসন্তুষ্টিকে। আর সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে আল্লাহতা’আলার সন্তুষ্টি। সে তখন খুবই হুঁশিয়ার মানুষ হয়ে যায়। সে ভয়ানক সতর্ক থাকে যেন তার চিন্তায়, কথায় ও কাজে আল্লাহতা’আলা অসন্তুষ্ট না হন। আল্লাহতা’আলা অসন্তুষ্ট হন এমন সবকিছু থেকে নিজেকে সে সবসময় দূরে রাখতে প্রানপন চেষ্টা করে। একই সাথে তার মনোযোগ থাকে কিভাবে আল্লাহতা’আলার সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। আল্লাহতা’আলা যাতে সন্তুষ্ট হন তার জন্য সবসময় সে প্রানপন চেষ্টা করে। আল্লাহতা’আলা সন্তুষ্ট হন এমন কোন সুযোগই সে হাতছাড়া করতে চায়না।
‘তাকওয়ার’ প্রভাবে বান্দার যখন এ অবস্থা হয় তখন সে আল্লাহতা’আলার পছন্দের রাস্তা ‘সিরতুল মুস্তাকিম’-এর উপর উঠে আসে এবং এর উপর জীবন চালানো তার জন্য সহজ হয়ে যায়। এই পথ ছাড়া অন্য কোণ পথে চলার সে চিন্তাও করতে পারেনা। ‘সিরতুল মুস্তকিম’ বেয়ে যে জীবন কাটাতে পারে সেই তো সবচেয়ে সফলকাম, সবচেয়ে ভাগ্যবান। তার জন্যই রয়েছে আল্লাহতা’আলার সন্তুষ্টি এবং দুনিয়া ও আখিরতের কামিয়াবি।
রমযান মাস আমাদের যেভাবে এই ‘তাকওয়া’ হাসিল করে ‘সিরতুল মুস্তকিম’-এর উপর উঠে আসতে সবরকম সুযোগ এনে দেয় তেমন আর কখনও হয় না। সেহরি থেকে ইফতার, ইফতার থেকে তারাবিহ শেষ করে ঘুমাতে যাবার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত ক্ষুধা ও পিপাসার যে কাতরতা ও সময়মত জামাতে ফরজ নামাজ ও তারাবিহতে সামিল হওয়ার ও যাবতীয় নেক আমলের তালাশে যে ব্যস্ততা এবং রোজাকে হেফাজত ও সুন্দর করার জন্য যে আত্মসংযম ও সতর্কতা তার সবকিছুই প্রতিমুহূর্তে আমাদের মনে করিয়ে দেয় আল্লাহতা’লার কথা। একমাত্র তাঁকে স্মরণ রেখেই তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই ‘সিয়াম’ পালনকারী এভাবে দিন ও রাত যাপন করতে থাকে।
আল্লাহতা’আলাকে এভাবে স্মরণ রাখাটাই অন্যান্য সব নেক আমলেরই একমাত্র ভিত্তি। এই ভিত্তি যার যতো মজবুত হবে অন্যান্য নেক আমলও তার জন্য ততো সহজ হয়ে যাবে এবং একসময় নেক আমলই তার কাছে দুনিয়াতে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও প্রিয় হয়ে উঠবে। একই সাথে আল্লাহতা’লার যা অপছন্দ তা থেকে দূরে থাকাও তার জন্য ততোই সহজ হয়ে যাবে এবং সেসব জিনিসের প্রতি আকর্ষণ কমতে, কমতে একসময় শুধু শেষই হয়ে যাবেনা, বরং সেসবের প্রতি ঘৃণাই জন্মাবে।
আল্লাহতা’লা চান আমরা ঠিক সেই আদলে আমাদের জীবন গড়ে তুলি যে আদল তাঁর পছন্দ। আমাদের অন্তরের ও বাইরের সমস্ত নোংরা ও দূষণ থেকে নিজেদের পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন করি এবং আমাদের ভিতরে যাকিছু সুন্দর ও কল্যাণকর তা জাগিয়ে তুলি ও শক্তিশালী করি। তিনি চান আমরা যেন জীবনের সবচেয়ে সুন্দর রূপে আমাদের নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করি। আমরা যেন তাঁর হাবীব মুহাম্মাদ(স)-এর নমুনাকে সামনে রেখে সে অনুযায়ী নিজের গড়ে তুলবার চেষ্টা করি।
আল্লাহতা’লার পছন্দনীয় সেই আদলে আমাদের নিজেদের গড়ে তোলার সমস্ত ব্যবস্থাই তিনি রেখে দিয়েছেন এই রমযান মাসের মধ্যে। রমযান আমাদের মধ্যে আল্লাহতা’লার অপছন্দের জিনিস থেকে দূরে থাকার জন্য সংকল্প ও তার পছন্দের জিনিসের প্রতি আকর্ষণ ও ভালবাসা এবং ধৈর্য, সংযম সৃষ্টি করে এবং নেক আমলে উদ্যোগী করে আমাদের শক্তিশালী করে তোলে। রমযান দুর্বল মানুষকে সবল করে তোলে, সবল মানুষকে আরো বেশি শক্তিশালী ও সক্রিয় করে দেয়। রমযান ঘুমন্ত মানুষকে জাগিয়ে তোলে, বেহুশ মানুষের হুশ ফিরিয়ে দেয়। এ মহিমান্বিত মাস আমাদের মধ্যে আল্লাহতা’আলার অপছন্দনীয় যতো কিছু আছে তা দমন ও নিস্তেজ করে ফেলতে এবং আমাদের মধ্যে আল্লাহতা’লার সন্তুষ্টি অর্জনের যতো সামর্থ্য আছে তা জাগিয়ে ও সক্রিয় করে তুলতে সাহায্য করে। বুদ্ধিমান সেই বান্দাহ যে এই মহা সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য আশায় বুক বেধে ভক্তি ও বিনয়ের সাথে আত্মনিয়োগ করে।
দ্বীন ইসলামের মুল উদ্দেশ্য আল্লাহতা’লার সাথে মানুষের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা। আল্লাহতা’আলার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য দুটি জিনিষ একান্ত প্রয়োজন। এক, মানুষের অন্তরের ও বাহিরের পরিশুদ্ধি। দুই, আল্লাহতা’আলার পছন্দের রাস্তাকে ভালবেসে তার উপর অটল থেকে জীবনে চলা।
নোংরা ও দুষিত জীবন নিয়ে আল্লাহতা’আলার সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব নয়। আল্লাহতা’লা চান পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র জীবন। মানুষের জীবনের অনেক কিছুই নোংরা ও দুষিত হতে পারে। তার অন্তর, চিন্তা-ভাবনা, আচার-আচরন ও অভ্যাস কোনকিছুই বাদ যায় না। এ জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা যাতে আমাদের জীবনের যাবতীয় নোংরা ও দূষণ দূর হতে পারে।
আল্লাহতা’আলার সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য একই সাথে প্রয়োজন আল্লাহতা’লার পছন্দের রাস্তাকে ভালবাসা ও তার উপর আবিচল থেকে চলা। এককথায় আল্লাহতা’আলার ইচ্ছার কাছে পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ করতে পারা। এ জন্য দরকার মজবুত সংকল্প, ধৈর্য, সাধনা ও সঠিক অভ্যাস।
আল্লাহতা’আলা নিজেই আমাদের এই উভয় ক্ষেত্রে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন। রমযান মাসের ‘সিয়াম’ সাধনার মধ্যে তিনি আমাদের জন্য তাঁর সেই সাহায্যের ব্যবস্থা রেখে দিয়েছেন। এর মধ্যে একদিকে যেমন আমাদের জীবনের যাবতীয় নোংরা ও দূষণ দূর করার এবং আমাদের অন্তরের ও বাহিরের সার্বিক চিকিৎসা করে আমাদের সুস্থ করার উপায়ও আছে, তেমনি আছে আমাদের মধ্যে আল্লাহতা’আলআর সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য অপরিহার্য গুণাবলী সৃষ্টি ও মজবুত করার উপায়। আল্লাহতা’আলার সাথে বান্দাহর সুসম্পর্ক গড়ে তোলা - দ্বীন ইসলামের এই যে মুল উদ্দেশ্য তা পুরনের জন্য তাই রমযান মাসের ভুমিকা অপরিসীম। দ্বীন ইসলামের যতো শিক্ষা আছে আমাদের জন্য তার সকিছুরই সমাহার হয়েছে রমযানের মধ্যে এবং অত্যন্ত জোরালো ভাবে সেগুলিকে আমাদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে।
‘সিয়াম’ সাধনা তো কেবল দিনের বেলায় না খেয়ে থাকা, পানি পান না করা বা যৌন ইচ্ছা পুরন করা থেকে বিরত থাকাই নয়। সিয়াম শুধু দিনের বেলাতেও সীমাবদ্ধ নয়। ‘সিয়াম’ চব্বিশ ঘণ্টার জন্যই আল্লাহতা’লার ইচ্ছা ও হুকুমের অনুগত হওয়া, চব্বিশ ঘণ্টার জন্যই তাঁর অসন্তুষ্টি থেকে নিজেকে হেফাজত করা ও চব্বিস ঘণ্টাই তাঁর সন্তুষ্টি তালাশ করা। এ এক মহা চিকিৎসা ব্যবস্থা ও সর্বোত্তম পথ্যের আয়োজন। আমাদের এই চিকিৎসা ও পথ্য পুরোপুরি গ্রহন করতে হবে। তা’হলেই ‘সিয়াম’ সাধনা যাকে বলে তাই হবে। তা’হলেই বান্দার জীবন কলুষমুক্ত ও পবিত্র হয়ে উঠবে।
আল্লাহতা’লা ও তাঁর প্রিয় রসুল( সঃ )-এর শিক্ষা অনুযায়ী রমযান মাসের সদ্ব্যবহার করে নিজের অন্তরে যে ‘তাকওয়া’ অর্জন করতে পারল সে আল্লাহতা’আলার সন্তুষ্টি অর্জন করে তাঁর সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে পারল। আল্লাহতা’আলার পক্ষ থেকে এই মাসের সমস্ত কল্যান সে পেয়ে গেল। তার জন্যই আল্লাহতা’আলা উন্মুক্ত করে রেখেছেন ‘রহমাত’, ‘মাগফিরত’ ও ‘নাজাত’-এর ভাণ্ডার।
আমাদের এই জীবনটা একটা সফর। এই সফরের শেষে আমাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে আমাদের আসল ও স্থায়ী ঠিকানা। সেটা হয় ‘জান্নাত’, না হয় ‘জাহান্নাম’। ‘জান্নাত’ অফুরন্ত শান্তি ও মর্যাদার স্থান। ‘জাহান্নাম’ অফুরন্ত যন্ত্রণা ও লাঞ্ছনার স্থান। শেষ ঠিকানা কার কোথায় হবে তা নির্ভর করছে জীবনের এই সফরটা আমরা কিভাবে সম্পন্ন করলাম। এই সফরে অনেক পরীক্ষা আছে, অনেক বিভ্রান্তি আছে, অনেক ধোকা ও প্রতারনা ও বিপদ আছে, অনেক জানা ও অজানা দুশমন আছে, অনেক কিছু আকর্ষণীয় জিনিস আছে যা পরিনামে আমাদের মহা ক্ষতিগ্রস্ত করে ছাড়বে। এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ সফরে আমাদের সবার একান্ত প্রয়োজন উপযুক্ত সম্বল। কিন্তু দুনিয়ার বাজারে সে সম্বল মেলেনা। এই সফরের একমাত্র উপযুক্ত সম্বল হচ্ছে ‘তাকওয়া’। একমাত্র ‘তাকওয়াই’ পারে আমাদের এই জীবন সফরের সমস্ত প্রয়োজন পুরন করতে এবং সমস্ত বিপদে ও আপদে আমাদের হেফাজত করতে এবং সঠিক পথ বেয়ে সঠিক গন্তব্যে আমাদের পৌঁছে দিতে।
আমাদের প্রত্যেকেরই তাই উচিৎ যার যার ণিজের ‘তাকওয়ার’ অবস্থা ভাল করে যাচাই করে দেখার চেষ্টা করা। এ ব্যপারে আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সঃ ) আমাদের কিছু শিক্ষা দিয়ে গেছেন। ‘তাকওয়াবান’ মানুষের কিছু বৈশিষ্টের কথা তিনি আমাদের জানিয়েছেন। ‘তাকওয়াবান’ মানুষ আল্লাহতা’আলাকে সবসময় স্মরন রাখে, সে আল্লাহতা’আলার আনুগত্য করার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকে, আল্লাহতা’আলার প্রতি সবসময় সে কৃতজ্ঞ থাকে, সীমালঙ্ঘন হয়ে যেতে পারে এই ভয়ে সে অনেক হালাল জিনিষও পরিত্যাগ করে, সন্দেহজনক কোণকিছুর ধারেকাছেও সে ঘেঁষে না, যা তার করা উচিৎ নয় তেমন কিছু তার দ্বারা যদি কখনো ঘটে যায় তবে সে ভয়ানক কষ্টে ভোগে এবং নেক কাজে সে আনন্দ পায়। নিজেদের এভাবে পরীক্ষা করে দেখার এবং যার যেখানে ঘাটতি আছে তা পুরন করার চেষ্টা করার সবচেয়ে উত্তম সময় এই রমযান মাস।
আল্লাহতা’আলা আমাদের সবাইকে এই মুবারক রমযান মাসে তার কাছে প্রিয় সেই ‘তাকওয়া’ হাসিল করার তৌফিক দান করুন। আমাদেরকে তিনি তাঁর ‘রহমত’, ‘মাগফিরত’ ও ‘নাজাত’ দান করুন এবং আমাদের তার প্রিয় বান্দাহ হিসেবে গ্রহন করে কাছে টেনে নিন। আমিন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন