সাপ্তাহিকী
|
সাইফ বরকতুল্লাহ
|
|
বাংলাদেশে মিডিয়ার রাজনীতি ( পর্ব-০৫ )
13 Jul, 2013
এক.
মিডিয়া ছাড়া যেমন বর্তমান যুগ অসম্ভব, তেমনি আধুনিক যুগে যুদ্ধের অন্যতম কৌশল মনস্তাত্ত্বিক প্রচারণা বা যুদ্ধ। সামরিক পরিভাষায় একে বলা হয় ডিজইনফরমেশন ক্যাম্পেইন বা ব্ল্যাক প্রোপাগান্ডা। বর্তমান সময়ে যুদ্ধ কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত অস্ত্রের চেয়ে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। মানুষের চিন্তাধারার ওপর প্রভাব ফেলার যেসব মাধ্যম আছে তার মধ্যে মিডিয়া অন্যতম।
দুই.
মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ : ইতিহাস কী বলে ?
পল জোসেফ গোয়েবলস। নাৎসি জার্মানির তথ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ছিলেন এডলফ হিটলারের প্রধান সহযোগী ও তার একনিষ্ঠ অনুসারী। ১৯৪৫ সালের ১লা মে বার্লিনে সস্ত্রীক আত্মহত্যা করার আগ পর্যন্ত ছিলেন নাজি নেতা ও হিটলারের প্রচারমন্ত্রী। জোসেফ গোয়েবলস মিথ্যাকে সামাজিক প্রতিষ্ঠাদানে অত্যন্ত ফলপ্রসূ পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।
তিন.
মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ : জ্বলন্ত উদাহরণ রুপাট মারডক
রুপাট মারডক। ব্রিটিশ মিডিয়া মোগল তিনি। রুপাট মারডক ইহুদি বংশোদ্ভূত ও ইসরায়েলে বিশ্বস্ত মিডিয়া ব্যক্তি। কেউ আবার তাকে ডাকেন মিডিয়া জগতের মাফিয়া বলে। বিশ্বের প্রভাবশালী মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। ২০০০ সালের পর থেকে স্যাটেলাইট দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগকারী হিসেবে ইতিহাসে নাম লেখান তিনি। ব্যক্তিগতভাবে তিনি ১১.২ বিলিয়ন সম্পদের মালিক। ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসেব মতে বিশ্বের ২৬তম প্রভাবশালী ব্যক্তি তিনি। মারডকের এই বিশাল সাম্রাজ্যের স্তম্ভ হলো লন্ডনের দি টাইমস, দি সান, দি সানডে টাইমস, অধুনালুপ্ত নিউজ অব দি ওয়ার্ল্ড, ফক্স নিউজ, দি ওয়ার্ল্ড স্ট্রিট জার্নাল। মোট ১২৭টি সংবাদপত্রের মালিক রুপাট মারডক। এগুলোর প্রচার সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। ২০০২-২০০৩ সালে এই সংবাদপত্রগুলো একযোগে ইরাক আক্রমণের সম্ভাব্যতা নিয়ে বিরামহীনভাবে খবর-প্রচারণা চালাতে থাকে। অথচ এর প্রত্যেক খবরই ছিল মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে।
চার.
১৯৩৫ সালে জগৎখ্যাত সাহিত্যিক ম্যাক্সিম গোর্কী প্যারিসে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বলেছিলেন, বুর্জোয়া সংস্কৃতির অবস্থা আজ ক্ষয় ও ভাঙনের পথে। ফ্যাসিবাদের সৃষ্টি এই অবক্ষয়ী বুর্জোয়া সংস্কৃতির থেকেই। বুর্জোয়া সংস্কৃতির ওপর সে এক ক্যানসারের স্ফীতি।”
ফ্র্যান্সের অগ্রগণ্য সম্পাদক, সেরা পত্রিকা ‘ল্য মোন্দ’ এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক উব্যের দ্য ব্যোভ মেরি বলেছিলেন, সংবাদপত্র এমনই এক স্বপ্ন যা আমরা সমবেতভাবে দেখি দিনের পর দিন। অর্থাৎ মিডিয়ার রিপোর্টার, সাব এডিটর, এডিটর প্রতিটি খবর নির্মাণে, উপস্থাপনে এক ধরনের স্বপ্ন দেখেন এবং তাদের পরিবেশিত খবর পড়ে দেখে পাঠক-দর্শকও এক ধরনের স্বপ্নে ধরা পড়ে। কিন্তু মিডিয়ার কোন্ খবর কিভাবে পরিবেশিত হবে বা আদৌ দর্শক-পাঠকের কাছে যাবে কিনা, নির্ধারণ করেন সম্পাদক বা বার্তা প্রধান। পুলিশের ওপর আক্রমণ চলছে শুধু এ খবরই যাবে, পুলিশের নির্বিচার গুলিতে নিহতদের বৃত্তান্ত যাবে না- সেটা বার্তা নিয়ন্ত্রকেরা সিদ্ধান্ত নেন।
পাঁচ.
মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ : সাইকোলজিক্যাল প্রভাব
বাংলাদেশেও মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব থেমে নেই। চলছে মিডিয়ায় নানা বিভাজন, রাজনীতি। মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ এর কয়েকটি প্রভাব দেখুন।
ক ) ছোট হয়ে আসছে মিডিয়া- এই শিরোনামে বিশিষ্ট সাংবাদিক, দৈনিক মানবজমিন এর সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী লিখেছেন, ' ছোট হয়ে আসছে মিডিয়া। বলছি বাংলাদেশী মিডিয়ার কথা। ইলেকট্রনিক বলুন আর প্রিন্ট বলুন, সবখানেই এক অবস্থা। বন্ধ হয়ে গেছে দুটি টিভি নেটওয়ার্ক। একটি সংবাদপত্র বন্ধ হয়েছে আগেই। চাপের মধ্যে রয়েছে একটি টিভি আর দুটি সংবাদপত্র। বন্ধ হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। টিভির টকশোগুলো ভীষণ চাপের মধ্যে রয়েছে। যেকোনো সময় খড়গ নেমে আসতে পারে। নব্বই দশকের পর আর কিছুর উন্নতি না হলেও মিডিয়া এগিয়ে যাচ্ছিলো। প্রশংসিত হচ্ছিলো দেশ-বিদেশে। এটা অনেকেরই পছন্দ নয়। তাই চাপ বাড়ছে মিডিয়ার ওপর। ....৪২ বছরে অনেক দেখলাম। চাকরিও হারালাম বার কয়েক। গ্রেপ্তারও হলাম একবার। সহকর্মী আমীর খসরুর কারণেই সংবাদ মাধ্যম নিয়ে লিখতে হলো। আমি আসলে এ নিয়ে লিখতে চাই না। কারণ, সত্য বলা যায় না। প্রতি মুহূর্তে যেখানে আপস করতে হচ্ছে সেখানে সংবাদ মাধ্যম নিয়ে কী লিখবো বলুন। এ মুহূর্তে আমি কি অবস্থায় আছি তা আমি ছাড়া কে জানে। প্রয়াত ফয়েজ ভাইয়ের কথায় বলতে হয়, সত্য বাবু মারা গেছেন। " [ সূত্র: আমাদের বুধবার ডটকম ]
খ ) পীর হাবিবুর রহমান তার- সবিনয়ে জানতে চাই প্রধানমন্ত্রী ওদের দই মিষ্টি খাওয়া শেষ?-- এই লেখায় লিখেছেন, ' প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদের কাছে অনেকবার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলাম প্রধানমন্ত্রীর একটি সাক্ষাৎকার নেওয়ার ব্যাপারে। আবুল কালাম আজাদ দু-একবার কথাও দিয়েছিলেন। সাড়ে চার বছরে মনে হচ্ছে তিনি চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। '৯১ সালের নির্বাচনে মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা যখন সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা তখন পেশার তারে জড়ানো জীবনে তার ও আওয়ামী লীগের বিট কাভার করতাম। তার সঙ্গে সংবাদ সংগ্রহের জন্য মিন্টো রোডে বিরোধীদলীয় নেতার বাসভবন, ধানমন্ডির ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন, দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সারা দেশ ছুটে বেড়িয়েছি। যখন-তখন তার সামনে হাজির হয়ে জাতীয় রাজনীতির জ্বলন্ত সব ইস্যুতে প্রশ্ন করেছি, উত্তরও পেয়েছি। তার সফরসঙ্গী সংবাদকর্মীরা বরাবর তার মিডিয়াবান্ধব ও মানবিক স্বভাবসুলভ গুণাবলি নিয়ে প্রশংসা করতে কার্পণ্য করেন না। কাছে থেকে দেখা শেখ হাসিনাকে একান্নবর্তী মধ্যবিত্ত পরিবারের মায়াময় বড় বোনের চেহারায়ই উদ্ভাসিত হতে দেখেছি। নিজ থেকে সফরসঙ্গী সংবাদকর্মীদের সুবিধা-অসুবিধার খোঁজখবর নিতেন। '৯৬ সালে গণরায় নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর গণভবনের সবুজ আঙিনায় তিনি তার সফরসঙ্গী সাংবাদিকদের চা পানে আমন্ত্রণ করেছিলেন। সেখানে সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব করেছিলেন রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে যেসব সংবাদকর্মী তার সঙ্গে সারা দেশ সফর করেছেন খবর সংগ্রহের জন্য, তিনি যেন তাদের বিদেশ সফরে নিয়ে যান। প্রধানমন্ত্রী সেই প্রস্তাব কবুল এবং তা রক্ষা করেছিলেন। তার প্রেস সচিব হয়েছিলেন মরহুম জাওয়াদুল করিম। মাঠের সংবাদকর্মীদের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল না। যাদের ছিল সেই ইকবাল সোবহান চৌধুরী বা শফিকুর রহমান হননি। ২০০০ সালে জাতিসংঘের মিলেনিয়াম সেশন কাভার করতে গেলে নেশন প্লাজা হোটেলের লবিতে মরহুম জাওয়াদুল করিমের সঙ্গে কে জানি পরিচয় করিয়ে দিলে তিনি তখনো চিনতে পারছিলেন না। করমর্দনকালে বলেছিলাম, এই নিয়ে আপনার সঙ্গে আটবার পরিচিত হলাম। সেই শাসনামলে শেখ হাসিনার সঙ্গে মাঠে-ময়দানে কাজ করা সংবাদকর্মীদের মধ্যে আমরা কয়েকজন তার বিদেশ সফরসঙ্গী থেকে বাদ পড়লেও যারা কখনো তার সঙ্গী হননি, মাঠে-ময়দানে বা বিট কাভার করেননি তাদের একটা অংশ বিদেশ গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে। একবার জাতীয় প্রেসক্লাবের চায়ের টেবিলে শামীম আহমেদ বিজ্ঞের মতো প্রশ্ন করেছিলেন, পীর হাবিব কেন বাদ পড়লেন? জবাবে বলেছিলাম, সফরসঙ্গী কারা হবেন তার তালিকা তো প্রধানমন্ত্রী করেননি! প্রেস সচিব জাওয়াদুল করিম মাঠের সংবাদকর্মীদের চিনেনও না। শুনেছি কখনো আপনি বা কখনো বেবী মওদুদ তালিকা করে দেন। আপনারা অপছন্দ করেন বলে যেতে পারিনি। আপনাদের সঙ্গে যারা ছায়াসঙ্গী তাদের নাম দিয়েছেন, তারাই গিয়েছেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবির পর সুধাসদনে শেখ হাসিনার সঙ্গে আমাদের কয়েকজনের বৈঠকের আগে বন্ধুবর প্রণব সাহা বলেছিল এ বিষয়টি সে উত্থাপন করবে। তাকে এই বলে বিরত করেছিলাম, কারা বিদেশ যাবে সেই তালিকা প্রধানমন্ত্রী করেন না। আর এ ধরনের ছোটলোকি বিষয়ের অবতারণা করলে বৈঠকে যোগ দেব না। প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরসঙ্গী হওয়ার জন্য কেন, কোনো শাসকেরই অনুদানের প্লট বা করুণা ভিক্ষা নিতে এ পেশায় আসিনি। কাউকে কাউকে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি হোক দল ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরসঙ্গী হতে গিয়ে পাসপোর্ট করতে এবং স্যুট বানাতে ও টাই কিনতে দেখেছি। আল্লাহর অসীম রহমতে এদের দলে নাম লেখাইনি। ২০০৮ সালে গণরায় নেওয়ার পর মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হলে তার প্রেস সচিব হন ইত্তেফাকের এককালের শিফট ইনচার্জ, সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা আবুল কালাম আজাদ। আগেরবার তিনি ওয়াশিংটনে প্রেস মিনিস্টার হন। সাংবাদিকদের যারা প্রেস মিনিস্টার হয়েছেন সব সময় আমার তাদের সুশীল কেরানি মনে হয় কেন যেন। হাসিমুখের মানুষটির বিনয়ী ব্যবহারে সব সময় আপনজন মনে হয়েছে। অন্তরে কী ছিল বা আছে তা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পর ইত্তেফাক ভবনের তার সহকর্মী ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সহযাত্রীরা বলতে পারবেন। পূর্বাচলে প্লট দেওয়ার আগে মানুষটি আমাকে বলেছিলেন যেন আমার আবেদন প্রত্যাহার না করি। কিন্তু লটারিতে প্লট না ওঠায় আমি আমার আবেদন প্রত্যাহার করে নিই মানে টাকাটা উঠিয়ে নিই। আমার প্রতি তার সহমর্মিতা দেখে আমার স্ত্রীও আপত্তি জানিয়েছিল। মন যা মানে না ছেলেবেলা থেকেই তা করতে না পারা আমার স্বভাব। তাই ঘরে-বাইরে বৈরী স্রোতের বিপরীতে আমার সাঁতার কাটতে হয়েছে। মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা আমার আবেগের জায়গায় বাস করলেও তিনি যখন আওয়ামী লীগ নামের দলটির সভানেত্রী ও সরকারপ্রধান তখন আমি তার সমালোচক। তার সমালোচনা করব আবার তার দেওয়া অনুদান-অনুকম্পা নেব তাতে মন সায় দেয়নি। আওয়ামী লীগ বিএনপিতে একদল বেনিফিশিয়ারি আছে পেশাদারিত্বের মর্যাদা খাটো করে যা পায় তা-ই খায়। খাবার বেলায় দলীয় কর্মীদেরও কেউ কেউ হার মানায়। দল যখন বিপদে পড়ে এরা তাদের দল বা নেত্রীদের দুই আনা সাহায্য করা দূরে থাক পাশেও দাঁড়ায় না। এরা না পারে তাদের নেত্রী বা দলের জন্য লিখতে বা বলতে, পারে শুধু দুই হাতে নিতে। আড়ালে-আবডালে নেত্রীদের সমালোচনা করতেও ছাড়ে না। ওয়ান-ইলেভেনে এদের বীভৎস রূপটা দেখার সুযোগও হয়েছিল। এ ধরনের নিমক হারামের সংখ্যা বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগে একটু বেশি দেখা যায়। তাদের নেত্রী বা দল যখন বিপদে পড়ে তখন তারাও সুর পাল্টে নেত্রীর কাঁধে বা তাদের দলের কাঁধে দোষ চাপিয়ে সুশীলের মুখোশ পরে নেয়। ওয়ান-ইলেভেনে দুই নেত্রী ও দুই দলের টক-শো সমালোচক এক বাচাল সম্পাদককে ২০০৮ সালের পর দেখেছি আবুল কালাম আজাদের প্রটোকল অফিসারের মতো ছায়াসঙ্গী হয়ে ঘুরতে। সমুদ্র বিজয়ের পর প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা মঞ্চে দুই হাত নেড়ে লাফাতে। বহু বছর আগে রিপোর্টিং ছেড়ে আমেরিকায় চলে গিয়ে বাড়ি বেচাকেনার দালালিতে ব্যস্ত এক ব্যক্তি ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে ঢাকায় এসে তৎপর হন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে নাকি প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হবেন এ আশায়। নৌকার ভরাডুবি দেখে পালিয়ে যান নিঃশব্দে। তাকেই আবার ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ (এখন শুধু সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী) ও প্রেস সচিব আজাদের ছায়াসঙ্গী হতে দেখা যায়। নিউইয়র্কের ডলার ধরতে ব্যর্থ মানুষটি ঢাকার উড়ন্ত টাকা ধরতে সফল হন। শোনা যায়, টিভির মালিকানা পেয়েছেন। আরও কত কী! যাক, এক কথা বলতে অনেক কথা। আবুল কালাম আজাদকে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারের যে প্রস্তাব দিয়েছিলাম তা সাড়ে চার বছরে আলোর মুখ দেখেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মিডিয়ার মুখোমুখি হতে অতীতেও ভয় পাননি এখনো পান না। যত দূর চিনি মিডিয়া দেখলে তিনি এগিয়ে যান এবং দ্বিধাহীনভাবে প্রশ্নের উত্তর দেন। বিবিসির হার্ড টক-শো যে প্রধানমন্ত্রীকে ঘামাতে পারেনি সেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আজ বিনয়ের সঙ্গে প্রশ্নথ আপনার প্রেস সচিব আদৌ আপনার সাক্ষাৎকার গ্রহণের প্রস্তাবটি আপনার কাছে উত্থাপন করেছিলেন কি না? অনেকে বলেন, তিনি এই আগ্রহের কথা জানানোর সামর্থ্য রাখেন না। কিন্তু আমি তা বিশ্বাস করি না। যদি সামর্থ্য না থাকে তাহলে প্রেস সচিবের প্রয়োজন হবে কেন? শুধু শুধু মন্ত্রিসভার ব্রিফিংয়ের জন্য? [ সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন ]
গ ) সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘দেশে রাষ্ট্র, রাজনৈতিক চিন্তা, উন্নয়ন ও অর্থনীতির বিকাশের পথ নিয়ে আলোচনা করা নিরাপত্তাহীন এবং দুর্যোগপূর্ণ।’ সিলেটে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এটা করতে গেলে কেউ সভা ভেঙে দেবে, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করবে এ রকম ভয়ভীতি এখন বিরাজ করছে।’ ( সূত্র : প্রাইমখবর, ২০১৩.০৭.০৬)
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন