কাজী নজরুল ইসলামকে সাহিত্যের কোন জায়গায় স্থান দেয়া যায় এ নিয়ে বিতর্কের শেষ ছিলনা এক সময়। শঙ্কাহীনভাবেই বলা যায় সে বিতর্কের অংশীদার পরজীবী কবি ও সাহিত্যিক, সাম্প্রদায়িক-সংকীর্ণ মনোভাবাপন্ন সাহিত্যিক ও সমালোচকেরা। সব কিছুকে ছাড়িয়ে অন্নদাশঙ্করের উক্তির যথার্থতা নিয়ে সংশয় নিশ্চয় করবে না কেউ। তিনি বলেন, আর-সব ভাগ হয়ে গেলেও নজরুলকে ভাগ করা যায়নি। এই উক্তির মূল কারণ নজরুলের মধ্যে এমনই এক বিস্তৃতি ও গভীর উদারতা আছে, যা সম্প্রদায় নির্বিশেষে সবাইকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে টানে। নজরুলই একমাত্র পেয়েছেন হিন্দু-মুসলমানদের ঐতিহ্যের যথার্থ সমন্বয় ঘটাতে এবং দারুণ স্বতঃস্ফূর্ততায় হিন্দু ও মুসলমান ঐতিহ্যের প্রসঙ্গসমূহ দারুণভাবে ব্যবহার করেছেন।
অসাস্প্রদায়িক চেতনার নজরুল, মানুষে মানুষে সেতু বন্ধন রচনার এক অপূর্ব মানসিক শিল্পী! কারো প্রতি বিরুপতা বা ক্রোধ আমরা পাইনি তাঁর মাঝে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠতে পারে যে ক্রোধ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে দেখিয়েছেন তাকে কিভাবে মূল্যায়ন করবো। সেটিকে অমানুষের বিরুদ্ধে এক স্বাধীনতাকামী বিপ্লবীর প্রতিবাদ ও সংগ্রাম ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই তিনি চরিত্র রচনায় কারো বিরুদ্ধে বা কোন সম্প্রদায়কে অবহেলার বা অবজ্ঞার দৃষ্টিতে দেখেননি বা রাখেননি। তিনি কালীর কাছে যেমন শক্তির প্রতীক কামনা করেন, আবার শিবকে শক্তির প্রতীক হিসাবে চিত্রায়িত করেন। অন্যদিকে কোরবানী ও মহরমকে চেতনার উৎস হিসাবে দেখেন। সবকিছুর পরও অসাম্প্রদায়িক চেতনার মহাগুরু হিসাবে তাকে চিত্রিত না করে সাম্প্রদায়িক হিসাবে যারা তাঁকে উপস্থাপন করেন এবং যারা তাঁকে অবহেলার পাত্রে ঠেলে দেন তাদের মানসিকতাকে প্রশ্ন করে ঘৃণা প্রকাশ করা ছাড়া আর কোন উপায় বা পথ থাকে না।
নজরুলের অসাম্প্রদায়িকতা সম্পর্কে আহমদ কবির বলেন, নজরুল সবচেয়ে বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করেন তাঁর উদার উদাত্ত মানবমিলনের আহবানের জন্য। আর গণমানব সংলগ্নতার জন্য। আমাদের মনে রাখতে হবে জীবনের যন্ত্রণা, রোগ, শোক, প্রিয়জন হারানোর বেদনা মানুষের মনোজগতে বড় পরিবর্তন এনে দেয়। মানুষ হয়ে পড়ে ক্লান্ত, বিপর্যস্ত, হতাশগ্রস্ত। কিন্তু এখানে নজরুল সম্পূর্ণ ভিন্ন।
কাজী নজরুল ইসলাম রাজ অভিনন্দন নয়, রাজরোষে পড়েছিলেন। ’বিদেশী শাসক নজরুলের অগ্নিবীণার তপ্ত সুরে বেসামাল হয়ে পড়েছিল। কিন্তু যে নজরুল স্বদেশী শোষক ও পীড়কদেরও অগ্নিবীণা, বিশের বাঁশি ও ভাঙার গান শোনাতে ছেয়েছিলেন, সে কথা কে অস্বীকার করবে।’ মহাজন, মজুতদার, লুটেরা ও গরিব-দুঃখীদের গ্রাস কেড়ে খাওয়া সমাজবিরোধী ও মানবতাবিরোধী, দুষ্ট লোকেদের জন্য নজরুল সর্বনাশ ঘোষণা করেছিলেন। পৃথিবীতে অব্যবস্থা ও অসামান্য এতো বেশি যে প্রচলিত পরিকাঠামোকে না ভেঙ্গে উপায় কী? নজরুল কুলি, মুজুর, কৃষাণ অথ্যাৎ সব শ্রেণীর শ্রমিক জনতা ও স্বর্বহারাদের পক্ষে কথা বলেছিলেন তাঁর রচনায় অতি তীব্র তীক্ষ্ম কন্ঠে। আর গণশত্রুদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ হতে বলেছেন। বিদ্রোহ করতে প্রেরণা দিয়েছেন। এখন নজরুলের এই চেতনার সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত নন, যাঁরা এই চেতনা বিশ্বাসই করেন না, তাঁরা যখন নজরুল সম্পর্কে গদগদ হন এবং মেকি শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন তখন বড়ো অসস্তি লাগে। নজরুলের প্রতি এও এক ধরনের অসম্মান প্রদর্শন। আমাদের দেশে এই এক উদ্ভব কান্ড যে যা বিশ্বাস করেনা সে তা আরো বেশি করে বলে। আদর্শবিরোধীরাই আদর্শের কথা বেশি করে কপচায়। গণমানুষের প্রেরণাদাতা ও মিশ্রদের হাত করে গণশত্রুরা বেশি করে উৎসব করে এবং উৎসবের নতুন জায়গায় খুড়ে বের করে। ক্ষমতার দাপট সাহিত্য ও সংস্কৃতিতেও দেখায়।
নজরুল স্বধীনতার সংগ্রামে কোন আবেগ ছিলনা, ছিলনা কোন মোহ। নজরুল খাঁটি দেশ প্রেমিক ছিলেন। ছিলেন মানবহিতৈষী। ফলে স্বাধীনতার সংগ্রামে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় সৈনিকে নাম লেখান কেবল অস্ত্র-চালনা শিখে সে অস্ত্র দিয়ে ব্রিটিশ ধ্বংসের কাজে ব্যবহার করতে। নজরুল প্রকাশিত ’ধুমকেতু’ প্রত্রিকার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বলতে গিয়ে সম্পাদকীয়তে বলেন,
” স্বরাজ-টরাজ বুঝিনা, কেননা ও কথার মানে এক এক মহরথী এক এক করে থাকেন। ভারতবর্ষের এক পরমানু অংশও বিদেশীদের অধীনে থাকবে না। ভারতবর্ষের সম্পূর্ণ দায়িত্ব সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রক্ষা করা। শাসনভার সমস্ত থাকবে ভারতীয়দের হাতে। তাতে কোন বিদেশীদের মোড়লি করে দেশকে শ্মশাণভূমিতে পরিণত করেছেন, তাদের পাততাড়ি গুটিয়ে, বোঁচকা পুটণি বেধে সাগর পারে পাড়ি দিতে হবে। প্রার্থনা বা আবেদন নিবেদন করলে তাঁরা শুনবেনা। তাদের এতটুকু শুভবুদ্ধি হয়নি এখনো। আমাদের এই প্রার্থনা করার, ভিক্ষা করার কুবুদ্ধিটুকুকে দূর করতে হবে।”
নজরুলের এমন জোরালো হুঁশিয়ারির পর স্বাধীনতা সংগ্রামে তার অবদান নিয়ে প্রশ্ন থাকার কথা নয়। বরং একথা বলা যায় মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে সে সময় কোন সাহিত্যিক তাঁর মতো নির্যাতন, বঞ্চনা বা জেল, জুলুম রাজরোষানলে কেউ পড়েছিল কিনা কারো জানা নেই। তবে শরৎ চন্দ্রচট্রোপাধ্যায় ’পথের দাবী’ উপন্যাসের জন্য ভালো রকমের ঝামেলা সইতে হয়েছিল। কিন্তু নজরুলের মতো সাহসী বিপ্লবী কেউ ছিলনা।
নজরুল কংগ্রেস রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি ১৯২৫ সালের মে মাসে ফরিদপুরে কংগ্রেসের অধিবেশনে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের সঙ্গে গিয়ে যোগ দেন। সেই অধিবেশনে নজরুলের অন্যান্য যেসব বন্ধুরা যোগ দিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন রাজনৈতিক কর্মী আবদুল হালিম। নজরুল হুগলির প্রার্থনা সভায় গান্ধীজিকে প্রথম যে গানটি গেয়ে শুনিয়েছিলেন ফরিদপুর অধিবেশনে এসেও গান্ধীজির ইচ্ছায় কবি সেই ’চরকার গানটি’ গেয়ে শুনালেন সবাইকে। কিন্তু গান্ধীজিকে অসাম্প্রদায়িক মহাত্মা বলা হয়, অথচ নজরুলকে সাম্প্রদায়িক করে তোলার নোংরা কাজটি বর্তমানে কেউ কেউ করছেন।
নজরুলকে বিভক্তিকরণের কারণ হিসাবে মূলতঃ কয়েকটি বিষয় উল্লেখযোগ্য। প্রথমতঃ নজরুল চেতনায় উদ্বুদ্ধ হলে ঔপনিবেশিক, জুলুমবাজ, ঠকবাজ, রক্তচোষা এনজিও ও মানব নির্যাতনকারীরা কখনো মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবেনা। তাই যে কোন প্রকারেই হউক নজরুল চেতনাকে দাবিয়ে রাখতে হবে-এমন তাগিদ হতেই নজরুলকে বিতর্কিত করে খন্ডিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। আর নজরুলের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের এটিও একটি কারণ। দ্বিতীয়তঃ অসাম্প্রদায়িক মনোভাবের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বীজ ও ডালপালা ছড়িয়ে মানবতাকে দ্বিখন্ডিত করার জন্য কিছু পরজীবী সাহিত্যিক সমালোচক ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তারাই বর্তমানে নজরুলের বিরুদ্ধে লিখেন এবং যতনা নজরুল সৃষ্টির কথা বলেন তার চেয়ে অনেক বেশি নজরুলকে হেয় করার জন্য মিথ্যা ও খোড়া যুক্তি উপস্থাপন করেন। তৃতীয়তঃ ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীনতা ও বিশেষ ধর্মের সংস্করণ চালুর মাধ্যমে নজরুল বিশ্বাসকে কলঙ্কিত করার প্রয়াসও লক্ষণীয়।
তবে একথাও বলা চলে মধ্যবিত্ত বাঙালির মানব চিন্তায় নজরুলের রাজনৈতিক ভাবনা ও তার মূল্যায়ন আর তেমন পরিকল্পনা অনুসারে করবার কাজে কেউ এগিয়ে আসেনি। ফলে নজরুল যতখানি আবেগ ও মানবিক প্রাবল্যে এই শতাব্দীর প্রথমার্ধে বাঙালি মানসকে উদ্বেলিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন, সেই তুলনায় রাজনৈতিক বীক্ষা এবং ভাবনার বিস্তৃতি ভ্থলোকে আমাদের কোন বিশ্লেষণাত্মক জিজ্ঞাসা অনুপস্থিত। অথচ জাতীয় প্রেক্ষাপটে এই শতাব্দীর প্রথমার্ধ জুড়েই ছিল প্রতিবাদ আর বিক্ষোভ, বিদ্রোহ আর সশস্ত্র আন্দোলনের সম্পূর্ণ ভিন্ন এক পরিপ্রেক্ষিত। বলতে গেলে, উদ্দাম অকুকোভয় বাঙালি নবযুবসমাজের চোখের সামনে তখন ছিল সশস্ত্র বিপ্লবের স্বপ্ন। গোপনে তখন দেশের নানা প্রান্তেই বিপ্লবী ভাবনার ডালপালা ছড়ানো, যার ফলে বিদেশ থেকে সংগ্রহ করে আসা গোপন আগ্নেয়াস্ত্রের দেশের যুব সমাজ সেদিন সশস্ত্র সংগ্রামের মহড়া দিতে এগিয়ে এসেছিলেন। সে যেন এক স্বপ্নের সময়, আর আজ মনে হয়, কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন সেই স্বপ্নের প্রধান সামগ্রিক।
বৃটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের পাশাপাশি ভারববর্ষের হিন্দু ও মুসলিমদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্যেও তার কলম ও কন্ঠ নিরলসভাবে সক্রিয় ছিল। ’মোর একই বৃন্তে দু’টি কুসুম হিন্দু মুসলমান’ অথবা ’হিন্দু না ওরা মুসলিম, ওই জিজ্ঞাসা কোনজন? কান্ডারি বল-মরিছে মানুষ সন্তান মোর মার’ এসব বাণীতেই তাঁর ধর্ম বর্ণ সম্প্রীতির পক্ষের অবস্থান সুস্পষ্ট করেছে। তিনি নারী ও পুরুষের অন্যায় বৈষম্যেরও বিরোধী ছিলেন। তাইতো তিনি বলেছেন, ’বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তারা করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।’
হিন্দু মুসলিম সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে নজরুল নিজেই বলেন, ’আমি হিন্দু-মুসলমানের মিলনে পরিপূর্ণ বিশ্বাসী। তাই তাদের কুসংস্কারে আঘাত হানার জন্যই মুসলমানি শব্দ ব্যবহার করি, বা হিন্দু দেব-দেবীর নাম নিই। অবশ্য এর জন্য অনেক জায়গায় আমার সৌন্দর্যের হানি হয়েছে। তবু আমি জেনে শুনেই তা করেছি।’ ( শব্দ-ধানুকী নজরুল ইসলাম, শাহাবুদ্দীন আহম্মদ, পৃষ্ঠাঃ ২৩৬-২৩৭)
মুহিব খান দাবী করেন, তাঁর উদ্দম উচ্ছল উদ্দীপ্ত আলোকিত জীবনাচারের কিছু ছায়ঢাকা অধ্যায় অনেকেই ভাবিত করে। তিনি একজন মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও হিন্দুদের পূজা আরাধনার জন্য গান তৈরি করে দিয়েছেন। প্রমীলা নাম্মী হিন্দু রমনীকে অর্ধাঙ্গিনী রূপে গ্রহণ করেছেন।
অনেকে দাবী করেন তিনি ধুমকেতুর মতো ঝড়োবেগে এসেছেন বাংলা সাহিত্যে, আবার হারিয়েও গেছেন ধুমকেতুর মত। সত্যিকার অর্থে তাঁকে হেয় করার জন্যই এমন কথা বারবার উচ্ছারিত হয়ে থাকে। তবে কবি খালিদ হোসাইন বলেন,
’প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ঘটনাপুঞ্জ যে অসহায়বোধকে সর্বোপরিব্যাপ্ত করে তুলেছিল, তার তেমন মর্মভেধী রূপ বাংলা কবিতায় পাওয়া যাচ্ছিল না, উনিশ শতকীয় উপনিষদীয় চেতনাপুষ্ট রবীনাথের না, অন্তত সেই কাল যে বাগভঙ্গি প্রত্যাশা করেছিল, তেমনভাবে নয়। নমিত স্বগ্রামের কাব্য-সংস্কারের বিরুদ্ধে যে চিৎকৃত ভঙ্গি বাংলা কবিতায় নজরুল আমদানি করলেন, তা তখন অপেক্ষিত ও প্রয়োজনীয় শৈলী হিসাবেই পাঠকের কাছে উপস্থিত হয়েছিল। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নজরুল কোন ঐশি মক্তির সহায়তা কামনা করেন না; বরং তিনি ’বিদ্রোহী ভূগু’র মতো ’ভগবান বুকে’ ’পদচিহ্ন’ এঁকে দিয়ে স্পধিত কন্ঠে চিৎকার করে উঠেন ; নব সুষ্টির মহানন্দে তিনি অধীন বিশ্বকে উপড়ে ফেলতে চান।’
এমন হাজারো যুক্তি দেয়া যায় যেখানে দেখা যাবে নজরুল কেবল কাব্যকে কাব্য হিসাবে নয়, তিনি লেখনীকে ধর্মীয় সম্প্রীতির ঢাল ও সমাজে অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামের ঢাল বা অস্ত্র হিসাবে নিয়েছেন। জেল জুলুম সবই বরণ করেছেন। তবু তিনি কেন আজ উপেক্ষিত বা কেন তাঁকে খন্ডিত করার হীন প্রয়াস আমাদের মধ্যে দেখা যায়। শুরুতেই অন্নদাশঙ্করের উক্তি দিয়ে শুরু করলেও এক্ষেত্রে মনে হয় খন্ডিত নজরুলকেই চারদিকে তুলে ধরা হচ্ছে্ কিন্তু দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে মুক্তির তীব্র আকাঙ্খায় মানুষ আবার ষড়যন্ত্রের সব জাল চিহ্ন করে নজরুলের কাছেই ফিরে যাবে এবং নিজেদের পরাধীনতার হাত থেকে রক্ষা করবে।
লেখকঃ প্রভাষক, নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ও সেক্রেটারি, চারুতা ফাউন্ডেশন
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন