সাপ্তাহিকী
|
রাইস উদ্দিন
|
|
স্মৃতির দর্পনে
26 May, 2013
বেকার জীবন যে কত দূর্বিসহ, কত যে যন্ত্রনাদায়ক তা ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ বুঝতে পারেনা। এ এক এমন অভিসপ্ত জীবন, যার গ্লানী বহন করা খুবই দূঃসাধ্য ও কষ্টকর। ১৯৮৭ইং সনের কথা- লেখাপড়া নিজের কারনেই বন্ধ হয়ে গেছে। একটি টিউশানি ছিল তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মা-বাবার বকুনি আর অবজ্ঞা নিজেকে এতটাই অসহায় করে দিয়েছিল যে, কি করবো, কি করা উচিত বুঝে উঠতে পারছিলাম না। হঠাত একদিন গ্রামের একজন প্রভাবশালী পরিবারের লোক আমাকে একটা চাকুরীর অফার দিলেন। তার ঢাকার ঠাটারী বাজারে তার ডিমের আড়তে একজন বিশ্বস্ত লোকের দরকার, তাই তিনি আমাকে চয়েচ করেছেন। তখন আমার যা অবস্থা তাতে রাজী না হবার কোন কারণ নাই। গাট্টি-বুচকা বেঁধে ঢাকার উদ্দেশ্যে পরদিন ভোরেই রওয়ানা হলাম।
সকাল দশটায় পৌছে গেলাম আড়তে। দোকানে বসে আছেন মধ্যবয়সী একজন ও আমার বয়সী একজন ছেলে।দুজনই ছিল নোয়াখালীর বাসিন্দা। আমাকে আড় নয়নে দেখা ছাড়া আর কিছুই বলল না মালিকের খাস-লোক ভেবে। তাদের চেহারা দেখে যা বূঝেছিলাম তা হলো, নিজেদেরকে ধৈর্যের সাথে সংযত করে সাভাবিক ভাবেই গ্রহন করল আমাকে।
শুরু হলো আনুষ্ঠানিকভাবে কমর্র্জীবন। আমি আশ্চার্য্য হয়ে দেখতাম সবাই কিভাবে দু’হাতের দশটি অঙ্গুল দ্বারা দশটি করে ডিম দ্রুত এক টুকরি থেকে অন্য টুকরিতে গুনে দিচ্ছে। আমার আশ্চর্য্য ভাব দেখে মালিক বললেন, বাপু! তোমাকেও অভ্যাস করতে হবে। আমি মাথা নেড়ে সম্মতি জানালাম। সময়ের ব্যবধানে একদিন দেখলাম আমি নিজেই ডিম গুনার দক্ষতায় তাদের অতিক্রম করে গেলাম। প্রথম প্রথম কিছু ডিম ভেঙ্গেছে অবশ্যই। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, ভাংগা ডিমগুলো দিয়ে ঠাটারী বাজার ফাইভস্টার নামক হোটেলে গিয়ে ঐতিহ্যবাহী মোগলাই পরোটা ভেজে নিয়ে আসতাম এবং সেটি ছিল প্রতিদিন বিকেলের নাস্তা। আমার মালিক ঐ এলাকার এত জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী ছিলেন যে, তার কথায় বড় বড় লোক উঠতেন আর বসতেন।এবার বুঝতেই পারছেন কেরামতিটা কোথায়?
আমাদের কাছে প্রায় প্রতিদিনই রাত দশটায় আসতেন সে সময়ের উদিয়মান গায়ক খালিদ হাসান মিলু। আমাকে আংকেল বলে ডাকতেন এবং বেশ মজা করতেন। সে সময় তার গাওয়া প্রথম অডিও এ্যালবাম বের হয়। হঠাত একদিন তিনি কিছু মিষ্টি নিয়ে আমাদের ওখানে হাজির। মিষ্টি বিতরনের দায়িত্ব অর্পিতহলো এই অধমের প্রতি। ডিমপট্টির অধিকাংশের কাছে মিষ্টি পৌছে দেওয়া হল। এবার আমাদের পালা। আমাদের চারপাশে যারা ছিলেন তারা কেউ মিষ্টি নিচ্ছেননা। সবাই ভাবছেন যে মিলু একটু মাতলামী করছিলেন হয়তো একটু বেশি পানকরে এসেছেন। আমি মিষ্টি একটি করে চেখে অন্যজনকে দিচ্ছি। এভাবে বোধ হয় এক এক কেজি পরিমান আমি নিজেই খেয়েছিলাম এবং সেই মেট্টিকের পাঠ্যবইয়ের সৈয়দমুজতবা আলীর রস গোল্লা গল্পটির কথা স্মরন করছিলাম। আমাদের কাছে আসতেন মার্শাল আর্ট জাহাঙ্গীর আলম। আরও একটি ছেলে আসতো নামটা এই মুহুর্ত্যে মনে পরছেনা। একটি মেয়েকে সে ভালবাসতো কিন্তু ভালবাসার মানুষটিকে কি ভাবে কথার মালা সাজিয়ে চিঠি লিখতে হয় তা সে জানতো না্। এজন্যই প্রায়ই আমার কাছে তার আসা। আমাদের মালিক তাকে ছোট ভাইয়ের মত স্নেহ করতেন। তাই ওকাজটি সারতে তাকে খুব টাইম টেবিল মেনটেইন করতে হতো। আমি সময় সময় বিরক্তবোধ করতাম বটে কিন্তু আমাকে পটানোর কৌশলটাও তার ভাল জানা ছিল।
সেই সময় সৈরাচারী জেনারেল এ কে এম হুসাইন মুহাম্মদ এরসাদের দশ বছরের শাসনামল চলছিল। প্রেসিডেন্টের কিছু স্পেশাল বডি গার্ড ছিলো তাদের কয়েকজনও এখানে আসা যাওয়া করতেন তাদের গায়ে ছিল এক ধরনের কালো পোশাক।
একদিন তো চোখকে বিশ্বাসই করাতে পারছিলাম না। ম্যাডাম খালেদা জিয়া এসেছেন উপরের তলায় একজন বয়োবৃদ্ধ প্রবিণ রাজনীতিবিদকে দেখতে। ম্যাডামকে ঐদিনই প্রথম দেখা, খুব ভাল লেগেছিল। তার কিছুদিন পরই শুরু হয়েছিল এরশাদ সরকারের পতনের আণ্দোলণ। সেদিন সাদা ধবধবে শাড়ী পরনে ছিল তার এবং চোখে মূখে ছিল অবিকোশিত আপেষহীন সংগামের চিহ্ন। সে দিন তাকে খুবই সাদামাটা অবস্থায় অতি কাছে থেকে দেখেছিলাম।
এভাবেই কাটছিল দিন গুলো। একদিন মালিক একটি নতুন কাজের দায়িত্ব দিলেন। নাবিস্কো কোম্পানীতে ডিম পৌঁছে দেওয়া এবং বিল নিয়ে আসা। নাবিস্কো কোম্পানীর অবস্থান ছিল তেজগা বানিজ্যিক এলাকায় ।
একটি ভ্যানে করে প্রথম দিন যখন গুলিস্তান হয়ে নাবিস্কোতে যাচ্ছিলাম- মনে কি যে এক আজানা অনূভূতি সৃষ্টি হয়েছিল, বোঝাতে পারব না। সবকিছু কেমন নতুন নতুন লাগছিল। অসংখ্য গাড়ীর বিকট শব্দ, রিক্সার টুংটাং শব্দ। শহরের পকৃত চিত্র সেদিন হতেই মনে হয় দেখতে শরু করেছিলাম। নাবিস্কোর কাছাকাছি যেতেই বিস্কিটের মন মাতানো সূগন্ধে মনটা ভরে গেল। গেটে যেতেই সিকোরিটি গার্ড এসে বাঁধা দিলে কাগজ দেখিয়ে বিষয়টি বুঝানোর চেষ্টাকরলাম এবং সে নিজে প্রডাকশান ম্যানাজারের কাছ থেকে নিস্চিত হয়েই প্রবেশের অনুমতি দিলো।
একেবারে ভিতরে চলে গেলাম, যেখানে বিস্কিট তৈরী হয়। যেতে না যেতেই একটি প্লেটে করে কয়েকটি বিস্কিট এনে দিল ছোট একটি ছেলে। গরম গরম খেতে মজাই লাগলো। ভাবলাম আরও কয়েকটা দিলে বেশ ভাল হত! প্রথম দিন তো; যাকনা কয়েকদিন ছেলেটার সাথে ভাব করা গেলে সমস্যা হবেনা।
কিছুক্ষন পর কয়েকটি খালি টিন আনা হলো তার মধ্যে চারশত ডিম গুনে দিলাম।তারপর প্রডাকশন ম্যানাজের দস্তখত নিয়ে যখনই ফিরছিলাম তিনি ডেকে বললেন, আমার জন্য আগামীকাল চার হালি মুরগীর ডিম নিয়ে এস। মাথা নেড়ে সম্মতি জানিয়ে চলে এলাম।
পরদিন প্রডাকশান ম্যনাজারের জন্য হৃষ্টপুষ্ট চার হালি ডিম নিয়ে গেলাম তিনি ডিমের চেহারা সুরত দেখে বেশ খুশি হলেন। কয়েক দিন যেতে না যেতেই আমার মালিকের সাথে তাদের কি সব কথাবার্তা হলো জানিনা এখন ভাল ডিমের সাথে ভাংগা পঁচা ডিমও দেওয়া শুরু হলো ভিতরে। মরা বাচ্চা থাকলেও সমস্যা নেই, ওরা কিছুই বলে না।
প্রথম প্রডাকশান ম্যনেজার, এখন ছোট-খাটো চেলাচামচাদেরকেও হাদিয়া হিসেবে ডিম দিতে হচ্ছে। আমার মালিককে বিষয়টি জিঙ্গেস করলে তিনি বললেন তোমার কাজ তুমি করবে এটাই আমার বিশ্বাষ। আমি তারপর থেকে কোন প্রশ্ন ছাড়াই দায়িত্ব পালন করতে লাগলাম। এখন আমার সামনে বিস্কিট এনে রাখলেও তার প্রতি আমার লোভ হযনা। বেশ কিছু দিন পর দায়িত্বটা যখন অন্য একজন কর্মচারীর উপর দেওয়া হলো তখন আমি হাঁফ ছেড়ে বাচলাম।
এরপর আমার উপর নতুন দায়িত্ব এল বিল উঠানো। রায় সাহেবের বাজার, খিলগাঁ, বাসাবো, নয়াবাজারের মত বড় বড় বাজারগুলোতে যেতাম বাকি টাকা উঠানোর জন্য। ফজরের আজানের পুর্বে বিভিন্ন জেলা থেকে ডিম এসে আরতে পৌছে যায়। খুলনা রাজশাহীর ডিম সবচাইতে বড়বড়। টাঙ্গাইলের ডিম সবচাইতে ছোট। খুলনার ডিমের চাহিদা বেশি থাকায় আরতদারদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলতো খুলনার ব্যাপারীদেরকে কাছে টানার জন্য। তাদের মর্যদা ছিল নতুন জামাইদেরমত। তারা থাকতেন জামাই আদরে। সকাল হতে না হতেই খুচরা বিক্রেতা কাষ্টমারগণ খুলনার ডিমের জন্য এসে বসে থাকতো্। সকালেই সব ডিম বিক্রি হয়ে যেত। বিকেলে পড়ন্তবেলায় বেরিয়ে পড়তাম বিলের তাগাদায়।
একদিন তাগাদা শেষে আমরা কয়েকজন কর্মচারী একত্রে খিলগা থেকে এক রিক্সায় আড়তে ফিরছিলাম। রাত তখন আনুমানিক একটা। এক রিক্সায় পাচজন যাত্রী দেখে ট্রাফিকপুলিশ এসে রিক্সা থামাতেই রুলার দিয়ে মারতে শুরু করলো্। আল্লাহর মেহেরবানিতে আমি দৌড়ে পালাতে সক্ষম হলাম। দুজনতো গুরুতর আহত হয়েছিল, বাকি একজন কম। আর আমি সম্পুর্ণ অক্ষত থেকেই আড়তে ফিরলাম।
আমার খুব মনে পড়ে রোজার দিন হাজির বিরানীর জন্য গেলাম নাজিরা বাজার। ইফতারের পূর্ব মুহুর্ত্যে ছেলে ময়েদের কোলাহলে এলাকাটি মূখরিত। হঠাত সাদা ধবধবে পাঞ্জাবী পরনে একজন বয়স্ক লোক, যার দাড়িগুলোও সাদা, এসে ছেলেমেয়েদেরকে যে কথাগুলি বললেন আমি তো শুনে রিতিমত অবাক। তিনি বললেন, এই মান্দার পোলারা রোযা রমযানের দিন চিল্লাচিল্লি করতাছস কেল্লা? গেলি! আরও যে কথাগুলি তিন বললেন তা আমি লিখতে পারবোনা। এখনো আমার চোখে দৃশ্যটি ভাসছে।
প্রথম প্রথম নিজেকে ক্ষাপ খাওযাতে কষ্ট হচ্ছিল কিছুদিন পর ঠিক হয়ে গিয়েছিল বটে। তার পরেও বেশিদিন স্থায়ী হতে পারি নি। আমার মালিক ছিলেন আমারই গ্রামের। তারা শহরে যেমন অত্যান্ত প্রভাবশালি ছিলেন তেমনী গ্রামেও। গ্রামের লোকজনদের তারা খুব ছোট করে দেখতেন। মনটা মনিব বা জমাদার ছিলেন বলেই তাদের প্রভাব প্রতিপত্তি ছিলো আকশ ছোঁয়া। আত্মমর্যাদা রক্ষায় গ্রামের কারো সাথে তাদের বিবাহ সাদী করাতেন না।
আমি তাদেরকে ছোট্ট থেকেই অপছন্দ করি। কারন তাদের মানষিকতা এতটা খারাপ যে গ্রামের সবাইকে তারা প্রজা মনে করেন। তাই তাদের যেভাবে খুশি ব্যবহার করতে চান। এলাকার ছেলেময়েরা লেখাপড়া শিখে বড় হোক এটা তারা খুবই ইর্ষার সাথে দেখতো। আমি এদের ছাঁয়া পর্যন্ত মাড়াতাম না। একদিন ঢাকা যাচ্ছি আব্বার সাথে কিছু কেনাকাটা করতে। কেরানীগঞ্জের খোলামোড়া থেকে লঞ্চে চড়েছি। লঞ্চটি যখন সোয়ারীঘাটে ভিড়লো, দেখি আমার মালিকের চাচাতো ভাই হিমু মিয়া আব্বাকে নাম ধরে ডেকে বলছেন তার বস্তাটি যেন নামিয়ে দেন। আমি আব্বাকে তা করতে নিষেধ করে একজন কুলিকে ডাক দিয়ে তার মাথায় বস্তাটি তুলে দিলাম। হিমু মিয়া আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলেন। আব্বা বললেন ভাইজান আপনি ওকে চিনতে পারেন নি? আমার বড় ছেলে রাইস উদ্দিন। এবার এস,এস,সি, দিবে দোয়া করবেন ভাইজান। আমি মনে মনে ভাবছি ইনি করবেন দোয়া-তাহলেই হয়েছে। এরা কখনো চাননা এলাকায় উন্নয়নের ছুয়া লাগুক, স্কুল হোক, কলেজ হোক। এগুলি হলেই এলাকার মানুষ শিক্ষিত হবে তাদের সাথে চেয়ারে বসবে এটা কি করে মেনে নেয়া যায়?
একিদন মাগরিব বাদ আড়তে একাই বসে আছি। দিনটি ছিল ছুটির দিন। হঠাত দেখি গ্রামের এক ছেলে এসে হাজির। ছোট ভাইয়ের ক্লাশমেট, নাম আছগার আলি। লেখাপড়া বাদ দিয়ে বংশাল এক জুতার ফ্যাক্টারীতে কাজ শিখছে। আমি যেহেতু কাছে থাকি তাই দেখা করতেই মূলত আসা। আমাকে বড় ভাইয়ের মত শ্রদ্ধা করতো সে। তাকে দেখে আম খুব খুশি হলাম এবং কুশলাদী জেনে পেপসি আর বিস্কিট খেতে দিলাম। আমার মালিক কোথা থেকে যেন এসে আমার উপর একদম ফায়ার।
তোর এত বড় স্পর্ধা! আমার আড়তে ওকে চেয়ারে বসতে দিয়েছিস? ওর বাপ-দাদা চৌদ্দগোষ্ঠী কখনো আমাদের সামনে চেয়ারে বসার সাহস করেনি। তুই শিক্ষিত ছেলে তোর কথা আলাদা। তাইতো তোকে বিস্বস্ত জেনে আড়তের সব দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছি। ছেলেটির চোখের পানি দেখে আমার নিজের চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না। তার চিত্কারে আসেপাশের সকল আড়তদারগণ ছুটে এল। পরক্ষনেই সে চলে যেতেই তাকে সান্তনা দিয়ে বিদায় দিলাম। সবাই আমাকে জিঙ্গেস করে ঘটনাটি কি ঘটেছিল।আমি সব খুলে বলায় সবাই মর্মাহত হলেন এবং দুঃখ প্রাকাশ করলেন সবাই।
পরদিন সকালে খবর পেলাম ছেলেটি আগুনে পুড়ে মারা গেছে।রাতে যখানে শুইয়ে ছিল সেখানে কিভাবে যেন আগুন লেগেছিল। সেই ঘটনায় এত কষ্ট পেয়েছি যা আর কোন দিন পাই নি। এইভাবে তার ও তাদের আচার-আচরণের প্রতি আমার আস্তে আস্তে ঘৃনা জমতে লাগলো।
মানষিক যন্ত্রনায় ভুগছি কয়েক দিন ধরে। কয়েক দিন পর, একদিন পাচঁশত টাকার দুটি নোট পাশের আড়তের কর্মচারীকে ভাঙ্গতি দিয়ে ভুলে টাকা নেয়া হয়নী। রাতে ক্যাশ মিলাতে গিয়ে মিলছেনা কোন মতেই। দির্ঘ রাত পর্যন্ত চেষ্টা করেছি তাই ঘোমোতে পারিনি। ফজরের পুর্বেই খুলনার ডিম এসে গেছে। তাই কুলি এসে ডাকাডাকি করছে, ভাই টুকরি ধরেন। সরারাত ঘুম নেই, ঘুম ঘুম চোখে টুকরি ধরতেই হাত থেকে ফসকে গিয়ে পড়ে সব ডিম ভেঙ্গে গেল। সকালে এজন্য অনেক কথা শুনতে হলো।বেতন থেকে টাকা কাটা হলো তার পর নিজেকে আর খাপ খাওয়াতে না পেরে গ্রামে চলে যাই।বাচবো আত্মমর্যাদা নিয়ে মরবো আত্মমর্যাদা নিয়েই।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন