সাপ্তাহিকী
|
এ, কে, এম, মহীউদ্দীন
|
|
কি দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের!
07 Apr, 2013
কি দুর্ভাগ্য বাংলাদেশর! জীবন সংগ্রামে ক্লিষ্ট ও দুঃখ,দুর্দশা জর্জরিত ষোল কোটি মানুষের ভালমন্দের দায়িত্ব কাধে গ্রহন করে তাদের কপালে কি অসাধারন যোগ্যতার সাথে আগুন লাগিয়ে দিলেন আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী! ভাবতে আশ্চর্য লাগে। কিন্তু এটাই সত্য।
সারা দেশ জুড়ে আজ যে অস্থিরতা, অশান্তি, সংঘাত, সংঘর্ষ, মৃত্যুর মিছিল, চরম অনিশ্চয়তা ও এমনকি গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা তা আমাদের এই প্রধানমন্ত্রীর নিজের হাতেরই কামাই। তার দলের আর সবাইতো তারই চেতনায় টইটম্বুর। তারা সবাই তার ভিন্ন মাত্রার বিভিন্ন সংস্করন ও তারই সম্প্রসারিত স্বত্বা মাত্র। দলের ও অন্যান্য সহযোগীদের উপর তার নিয়ন্ত্রন তো একেবারে নিরঙ্কুশ। অতএব আমাদের আজকের এই দুর্গতির সব কৃতিত্বই আমাদের প্রধানমন্ত্রীর একারই।
এবার ক্ষমতা হাতে নিয়েই দেশে সংঘাত সৃষ্টি ও দেশ থেকে শান্তি নির্বাসিত করার জন্য যতোকিছু করা যায় তার সবকিছুই করেছেন তিনি। এই একটি মুল কাজেই তিনি তার সমস্ত মেধা, মনযোগ ও ক্ষমতা কাজে লাগিয়েছেন। দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর শপথ নিয়ে শুরু থেকেই তিনি একের পর এক এমন সব কথা বলেছেন ও কাজ করেছেন যে তাতে মনে হচ্ছিল দেশে এই আগুন জ্বালানোর চেয়ে মুল্যবান আর কোণ কাজ তার ছিলনা। আর একাজে তিনি দুর্দান্তভাবে সফলও হয়েছেন। এ আগুন যে তিনি নেভাতে আগ্রহী তেমনও মনে হয় না। এ পর্যন্ত যা হয়েছে যথেষ্ট হয়েছে বলে এখনো তিনি ভাবেন না।
ক্ষমতা হাতে নিয়ে প্রথমেই দেশের এই প্রধানমন্ত্রী যেটা করেছেন তা হচ্ছে যেখানে যতো বিরোধী বা সমালোচক আছে তাদের তিনি হেয় ও অপদস্থ করেছেন। তাদের সব ধরনের অধিকার খর্ব করেছেন। স্বাভাবিকভাবে ও সম্মানের সাথে তাদের কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়া ভয়ানক কঠিন বা একেবারে অসম্ভব করে দিয়েছেন। ঘোষণা দিয়ে নিষিদ্ধ না করেও জামায়াত ও শিবিরের সাথে তিনি নিষিদ্ধ সংগঠনের মতোই আচরন করেছেন গত চার বছর ধরে। যেখানে যাকিছু অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটেছে তার জন্য ঢালাওভাবে দোষ চাপিয়েছেন তাদের ঘাড়ে। তাদের উপর অত্যাচার করার কোণ কৌশলই বাদ রাখেননি তিনি। বিএনপিকে তিনি রাজনিতির মাঠে কেবল তাড়িয়েই
নিয়ে বেড়িয়েছেন। গালাগাল, অপবাদ, হুমকি, ধমকি, হয়রানি, হামলা, মামলা ও আরো যতোভাবে পারা যায় তাদের কেবল আত্মরক্ষায় অস্থির করে রেখেছেন। তাদের নেতাদের তিনি অফিসের মধ্যে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। স্বাভাবিক ও সুস্থ রাজনীতির কোণ রাস্তা আমাদের প্রধানমন্ত্রী খোলা রাখেননি বিএনপির জন্য। খুচিয়ে, খুচিয়ে ছোটবড় সব বিরোধী ও সম্ভাব্য বিরোধীদের তিনি গর্তের মধ্য থেকে বের করে নিয়ে এসেছেন।
সব দেখেশূনে একমাত্র এই সিদ্ধান্তই করা ছাড়া আর কোণ উপায় থাকেনা যে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর একটাই ইচ্ছা। তা হচ্ছে জামায়াত, বিএনপি ও আরো অন্যান্য যাদের তিনি বর্তমানে বা ভবিষ্যতে তার পথের কাটা মনে করেন বা যাদের তিনি পছন্দ করেননা তাদের সবাইকেই তিনি ধাপে ধাপে নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে চান বাংলাদেশর মাটি থেকে। কাদের কি করে তিনি উৎখাত ও নির্মূল করবেন এই একমাত্র চিন্তা ও চেতনাই তার মনপ্রান আচ্ছন্ন করে রেখেছে।
অন্যদের নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্য পুরনের জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী সমস্ত আয়োজন করে রেখেছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি দখল করে নিয়ছেন তার পোষা বাহিনী দিয়ে। সেখানে তারা যা করবে সেটাই নিয়ম, সেটাই আইন। পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের করে ফেলেছেন সম্পূর্ণ দলীয় ঠ্যাংগাড়ে বাহিনী। প্রশাসনকে বানিয়ে ফেলেছেন দলীয় প্রশাসন। এককথায় রাষ্ট্রকে বানিয়ে নিয়েছেন দলীয় রাষ্ট্র। নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন শাসনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়ে। বিরোধীরা কেউ মুখ খুললেই যাতে সহজেই তাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার ফাদে আটকে দেওয়া যায় তারও নানারকম আইনি কায়দা বের করেছেন শাসনতন্ত্র সংশোধন করে। তার বিরোধীদের জন্য তিনি এমন একটা চমৎকার আওয়ামী খাচা বানিয়ে ফেলেছেন যার মধ্যে তাদের পুরে খুচিয়ে,খুচিয়ে মেরে ফেলতে সুবিধা হয় তার।
মানবতার বিরুদ্ধে বিচারের নামে যে আয়োজন চলছে সেটাও এই একই কার্যক্রমের অংশ। কেবল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদেরই আমাদের প্রধানমন্ত্রী বেছেবেছে ধরেছেন। যাদের বিচার আজ চলছে তাদের সবার সাথেই তিনি অতীতে অনেকবারই ঘনিষ্ঠভাবে উঠাবসা করেছেন, একসাথে অনেক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। তখন সেটাই তার স্বার্থের অনুকুল ছিল। এখন তাদের নির্মূল করাটাই তার স্বার্থের অনুকুল। অংকটা তিনি খুব সহজেই কষেছেন। ক্ষমতার দুর্গে প্রবেশ করার জন্য তখন তাদের তার প্রয়োজন ছিল। ক্ষমতার দুর্গে স্থায়ী হয়ে থাকার জন্য এখন তাদের নির্মূল করা প্রয়োজন।
১৯৭১ সালে যে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয় তার নিরাময় হওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি ছিল। রাষ্ট্র ও সমাজ হিসেবে আমরা যাতে সামনে এগিয়ে যেতে পারি সে জন্য তা একান্ত প্রয়োজন ছিল। সে সময় যে সমস্ত মানবতাবিরোধী কাজ হয়েছে তার একটা সুষ্ঠু নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়া অনেক আগেই হয়ে যাওয়া দরকার ছিল। সময়মত যথার্থভাবে তা না করার ও এতো দেরী করার ফলে বিষয়টাকে ভয়ংকর কঠিন ও জটিল করে ফেলা হয়েছে। মনে হয় কোণ অশুভ মতলবেই তা করা হয়েছে। যতদিন পারা ঝুলিয়ে রেখে কিছু একটা স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করা হয়েছে। সেসব কথা এখন তোলাই নিষিদ্ধ হয়ে গেছে।
এখনও কোণ বাধা ছিলনা একটা যথার্থ ও চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করার। কিন্তু তা কি হচ্ছে? আমাদের প্রধানমন্ত্রী যদি ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রসঙ্গটির ( অবশ্য ২৫শে মার্চের আগের ও ১৬ই ডিসেম্বরের পরের মানবতাবিরোধী কাজগুলি বাদ পড়েছে ) সত্যিই একটি ন্যায়সংগত ও সকলের জন্য গ্রহণযোগ্য নিষ্পত্তি চাইতেন তবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোণ সংস্থার সাহায্য নিতে পারতেন তিনি। তিনি জাতিসংঘকে ডাকতে পারতেন। অনেক উদাহরনের মধ্যে বাড়ির কাছে কম্বোডিয়া একটি সাম্প্রতিক উদাহরন তার। কিন্তু তিনি সুষ্ঠু নিষ্পত্তি ও ন্যায় বিচারের কোণ রাস্তাতেই চলেন নি। তিনি দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাননি। তিনি চেয়েছেন সঙ্ঘাত ও সহিংসতা। খুব সফল তিনি এ ব্যপারে। তার এই সফলতা দেশের কপালে ভাল করেই আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য যাকিছু করা যায় সবই আমাদের প্রধানমন্ত্রী করেছেন। ট্রাইব্যুনালের প্রধান করেন এমন এক ব্যক্তিকে যিনি নিজেই ‘ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র একজন গুরুত্বপূর্ণ নায়ক হিসেবে অনেক আগে থেকেই একটা পক্ষভুক্ত হয়ে ছিলেন। বিদেশী কোণ আইনজীবী, সাক্ষী বা এমনকি পর্যবেক্ষক পর্যন্ত আসতে দেওয়া হয়নি। আদালতের ফটক থেকে সাক্ষীকে গুম করে ফেলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য মন্ত্রীরা এবং তার দলের লোকেরা একেবারে প্রথম থেকেই দিনরাত এমন সব কথা বলে চলেছেন যে তাতে মনে হয় তারা বিচারকদের বলে দিচ্ছেন কি রায় দিতে হবে,কবে রায় দিতে হবে। স্কাইপ কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়ে যাবার পর কারো কাছে আর লুকানো থাকেনা বিচারের উপর সরকারের চাপ কতো প্রবল। সরকার কোণ পরিচ্ছন্ন ও নিরপেক্ষ বিচার চাছেনা। এই ট্রাইব্যুনালের দেওয়া যেকোণ শাস্তি যে বিতর্কিত হতে বাধ্য এ নিয়ে আর কোণ সন্দেহের অবকাশ থাকেনা। দেশে একটা সংঘাত অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠে।
কিন্তু এরপরও সরকার একবারও ভেবে দেখতে চায়নি যে দেশের মধ্যে কি মারাত্মক সংঘাত ও অশান্তির আয়োজন করেছে তারা। বিন্দুমাত্র বিবেচক ও দায়িত্বশীল হলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী তখুনি সংযত হয়ে যেতেন এবং দেশকে আজকের এই দুর্যোগ থেকে বাচাবার জন্য সুচিন্তিতভাবে তার করনীয় নির্ধারণ করতেন। কিন্তু তা তিনি করেননি। তিনি বরং বিস্ফোরক নিয়ে খেলা করাটাই পছন্দ করেছেন। অত্যন্ত খোশমেজাজে তিনি আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছেন। শাহবাগ স্কয়ারই তার প্রমান।
আমাদের প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাড়িয়ে বলেছেন যে তার মন চায় শাহবাগে যেতে। তার মানে কি দাড়ায়? তার মনের যে কথাগুলি তিনি বলতে ব্যকুল অথচ মুখফুটে বলতে অসুবিধা তা শাহবাগের গনজাগরন মঞ্চ থেকে প্রকাশ হচ্ছে এবং সেগুলিকে জনগনের দাবি বলে প্রতিষ্ঠিত করার চমৎকার একটা ব্যবস্থা হয়েছে সেখানে। এরকম একটা মনোবাঞ্ছা পুরন মঞ্চই তো একান্ত প্রয়োজন ছিল আমাদের প্রধানমন্ত্রীর। প্রধানমন্ত্রীর আরো একটা বড়ো ফায়দা হাসিল হয় শাহবাগে। অযোগ্যতা, অন্যায়, অপকর্ম, অনাচার ও একটার পর একটা নজিরবিহীন দুর্নীতির ভারে সরকারের ডুবন্ত নৌকায় নতুন হাল হাল লাগিয়ে ও পাল তুলে ভাসিয়ে রাখার অপূর্ব একটা সুযোগ সৃষ্টি করে দেয় শাহবাগ স্কয়ারের কোলাহল, উল্লাস ও উন্মাদনা। এজন্যই তো রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় যতভাবে পারা যায় শাহবাগকে সাজিয়ে তোলা ও অলংকারমন্ডিত করা হয়। আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবি দিয়ে শুরু হলেও ক্রমাগত একটার পর একটা আরো দাবি উঠতেই থাকে। প্রতিটি দাবিই দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীর একেবারে মনোমত। শাহবাগ থেকে দাবি উঠে আর সংসদ, পুলিশ, র্যা ব ও দলীয় যতো বাহিনী আছে সব একপায়ে খাড়া হয়ে থাকে সেগুলি বাস্তবায়ন করার জন্য।
ফলটা কি দাড়ায় এর? শাহবাগই হয়ে দাড়ায় রাষ্ট্র। রাষ্ট্রের সমস্ত সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান হয়ে দাড়ায় গণজাগরণ মঞ্চের ছায়া মাত্র। রাষ্ট্রেরই উদ্যোগে নৈরাজ্যর চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া হয় রাষ্ট্রকে। রাষ্ট্রের প্রতি, বিচার ব্যবস্থার প্রতি, প্রশাসনের প্রতি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস একেবারে কেড়ে নেওয়া হয় এভাবে। নৈতিকভাবে রাষ্ট্রকে একেবারে দেউলিয়া করে দেওয়া হয়। এক অর্থে রাষ্ট্র পরিচালনার নামে রাষ্ট্রকেই ভেংগে ফেলে দেওয়া হয়। ষোল কোটি মানুষের কপালে আগুন লাগাতে এরপর আর কি বাকি থাকতে পারে?
পরিস্থিতি সবচেয়ে জটিল ও মারাত্মক হয়ে উঠে করে যখন ব্লগার রাজীব হত্যার পর শাহবাগের সামনের সারির এই তরুণদের জঘন্যতম ইসলাম বিদ্বেষ প্রকাশ পায় এবং তাদেরই বন্দনায় সরকারকে উচ্ছসিত দেখা যায়। ইসলামকে শত্রুর কাতারে দাড় করিয়ে ফেলা হয়। দেশের সংঘাতময় পরিস্থিতিতে একটা নজিরবিহীন বিপর্যয়কর উপাদান যোগ হয় এবং উত্তেজনা চরম মাত্রায় পৌঁছে যায়।
এই পর্যায়েও প্রধানমন্ত্রী সংযত ও বিবেচক হয়ে সংঘাত প্রশমন করতে পারতেন। সে সুযোগ তার ছিল। কিন্তু তার কিছুই তিনি করেননি। আলাপ, আলোচনা, সমঝোতা ও শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির পথ তিনি ধরেননি। তিনি বরং কূটকৌশল, অপপ্রচার ও নির্বিচারে অপরিমিত পাশবিক শক্তিপ্রয়োগের পথকেই পছন্দ করেছেন। তাতে সংঘাত আরো গভীর ও বিস্তৃত হয়েছে শুধু। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর খতম ও নির্মূলের নেশারই জয় হয়েছে।
ফল কি হয়েছে তার? দেশকে দুটি বিরোধী ধারায় এমনভাবে বিভক্ত করে ফেলা হয়েছে যে দেশ আজ গৃহযুদ্ধের দারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। কিন্তু এতটুকুতেই আমাদের প্রধানমন্ত্রী তৃপ্ত নন। তিনি আরো চান। সেজন্যই তিনি সরকারি উদ্যোগে পাড়ায়, পাড়ায়, গ্রামে, গ্রামে একেবারে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত ‘সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি’ গঠন করতে যাচ্ছেন। সে লক্ষ্যে কাজও শুরু করে দিয়েছেন তিনি।
কি বেপরোয়া ও ভয়ংকর এই উদ্যোগ! গৃহযুদ্ধের আগুন এদেশর মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার কি নিদারুন আয়োজন! দেশের একটি ঘরও বাচার কোণ উপায় কি আর থাকবে এতে করে? মনে হচ্ছে এই সর্বনাশা আগুনের শেষটা আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেখবেনই বলে মনস্থির করে ফেলেছেন। কোণ দুশ্চিন্তাই তার নেই। দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতার কোণ প্রয়োজন তিনি অনুভব করেননা। দুশ্চিন্তা কেবল হতভাগ্য দেশবাসীর। জানিনা তার নিজের হাতে দেশটা জ্বলেপুড়ে ছারখার হয়ে যাওয়াটাকেই আমাদের প্রধানমন্ত্রী তার সবচেয়ে বড়ো অর্জন ও তার জন্য চূড়ান্ত গৌরবের বলে ভাবেন কিনা!
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন