ফেসবুক নামের এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি এখন আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তারম্নণ্যের নতুন জানালা এবং স্বাধীন মত প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে সামাজিক যোগাযোগের ড়্গেত্রে ফেসবুক সারাবিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয় একটি প্রযুক্তি মাধ্যম। একটি সৃজনশীল মুক্তচিন্তôা বিকাশের যোগসূত্রও ফেসবুক। এই সৃজনশীলতার পাশাপাশি আবার অনেক নোংরামি, অশস্নীলতা, ভাষার বিকৃতি, ধর্মান্ধতা, অপপ্রচার এবং প্রতারণার সুযোগ গ্রহণ করছে বুঝে না বুছে অনেক ব্যবহারকারী। ব্যক্তিগতভাবে আমিও ফেসবুকের একজন ভালো ইউজার। এর ভালো-মন্দ নিয়ে আমারও ভাবনার অন্তô নেই। তাই একজন লেখক হিসেবে দায়বদ্ধতা থেকে কিছু জানাতে চাই।
প্রযুক্তি আমাদের যেমন অনেক কিছু দেয় আবার অনেক মূল্যবান কিছু কেড়েও নেয়। প্রযুক্তির প্রয়োগটাই মোড়্গম বিষয়। ফেসবুকের অনেক কিছুই আমাকে চমৎকৃত করে। ভাবনার খোড়াক যোগায়। আবার অনেক কিছুই ব্রিবত করে। রম্নচিতে বাঁেধ এমনকিছু দেখলে অস্বস্তিô বোধ করি। আমার বন্ধু সংখ্যা তিন হাজারের কাছাকাছি। দেশের স্বনামখ্যাত লেখক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি, সমাজ সেবক, পেশাজীবি, শিড়্গার্থী, গৃহিনীরাও আছেন ফ্যান লিস্টে। আমার কাছে মনে হয়েছে ফেসবুক একটি মুক্ত শিড়্গালয়। এখান থেকে অনেক কিছুই শেখার আছে। আবার অনেক পরিতাজ্য বিষয়েও জানার আছে। অনেক কিছু শেয়ার করার মাঝে যেমন আনন্দ আছে, তেমনি আছে বিব্রত হওয়ার মতো দুষ্টচক্রের দৌরাত্ম।
এবার ফেসবুক সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য দিই। ইতোমধ্যে বিশ্বে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা একশ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া মোবাইল ফোনে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬০ কোটি। জেনে নিন আরেকটি বিস্ময়কর খবর- সারা বিশ্বে ৫৬ লাখ শিশু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক ব্যবহার করে! যদিও ফেসবুক কর্তৃপড়্গের দাবী- শিশুদের জন্য এই ওয়েব সাইট ব্যবহার নিষিদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কনজিউমার রিপোর্টস সাময়িকীর গবেষণা অনুযায়ী, ১৩ বছরের কম বয়সী অন্তôত ৮ লাখ ব্যবহারকারীকে শনাক্ত করতে পেরেছে ফেসবুক কর্তৃপড়্গ। ঐ জরিপ অনুযায়ী এখনো ৫৬ লাখ শিশু ফেসবুক ব্যবহার করছে যাদের বয়স ১২ কিংবা তারচেয়েও কম! বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। ফেসবুকের তথ্যানুযায়ী প্রতিদিন এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ২ লাখ নতুন নাম। হার্ভার্ডের ক্যাম্পাসে ২০০৪-এ ফেসবুক চালু করার দু সপ্তাহের মধ্যেই সেখানকার অর্ধেকেরও বেশী শিক্ষার্থী ফেসবুক ব্যবহার শুরম্ন করে। এর অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে পুরোনো সঙ্গীসাথীদের খুঁজে পাওয়া এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা। ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জুকারবার্গ।
ইয়াহু নিউজের এক খবরে জানা যায়- যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটি কোম্পানি এভিজি কর্তৃক অভিভাবকের ওপর পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, বর্তমান যুগে অধিকাংশ মা-বাবাই তাদের সন্তôানের ইন্টারনেট কার্যকলাপ নিয়ে চিন্তিôত। সন্তôানরা কি করছে সে বিষয়ে নজর রাখার জন্য প্রায় ৭২ শতাংশ অভিভাবকই তাদের টিনএজ ছেলেমেয়েদের সঙ্গে ফেইসবুকে ‘বন্ধু’ হিসেবে যুক্ত আছেন। এদের মধ্যে প্রতি ১০ জনে ছয়জনই স্বীকার করেছেন, তারা তাদের সন্তôানের অজান্তেôই তাদের কার্যকলাপের উপর নজরদারি করেন। এভিজি’র তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ২১ শতাংশ অভিভাবক তাদের সন্তôানের ফেসবুক প্রোফাইলে অবমাননাকর বার্তা বা অ্যাবিউজিভ মেসেজ পেয়েছেন। এ ছাড়াও ১৪ শতাংশ অভিভাবক জানিয়েছেন, তারা এ জাতীয় বার্তা তাদের টিনএজ ছেলেমেয়ের মোবাইল ফোনেও পেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৬১ শতাংশ মা-বাবাই সন্তôানের উপর নজরদারি করতে তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে চোখ রাখেন। কেননা, ১০ থেকে ১৩ বছর বয়সীদের মধ্যে ৫৮ শতাংশই ইন্টারনেটে ফেসবুক ও টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগের সাইটে সক্রিয়।
যাহোক, এই ফেসবুকে আমি অনেক বন্ধুর সৃজনশীল পোস্টগুলো দেখে অভিভুত হই। কি অসাধারণ সংগ্রহ এবং আইডিয়া তাদের! মূহুর্তে যেন আমাকে নিয়ে যায় দূরন্তô শৈশবে, বাধঁভাঙ্গা কৈশরে, উদ্দিপীত যৌবনে। আমাদের বোধ এবং ভাবনার দরজায় যেন কড়া নাড়ে একেকটি ছবি। কখনো একটি ছোট্ট কথা- অনেক কথার মালা হয়ে অনেক চেনা বিষয়কে নতুন করে চিনিয়ে দেয়। গ্রাম বাংলা, আমাদের চিরায়ত সভ্যতা, সাংস্ড়্গৃতিক ঐহিত্যকে ছড়িয়ে দিতে বিরাট পস্ন্যাটফরম হিসেবে কাজ করছে এই ফেসবুক। পাশাপাশি অপ-সংস্ড়্গৃতির প্রভাব থেকেও মুক্ত থাকতে পারছিনা আমরা। ফেসবুকে অনেক দুর্লভ ছবি পোস্ট দেয় বন্ধুরা। সামাজিক সচেতনতায় বিরাট ভুমিকা ফেসবুকের। আবার অশস্নীলতা, ধর্মন্ধতা এবং অপপ্রচারের কালো থাবা থেকেও রড়্গা পাচ্ছেন না ফেসবুক ইউজাররা। অন্যায়ের প্রতিবাদে এবং ব্যাপক জনমত সৃষ্টিতেও অতুলনীয় এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ফেসবুকের কিছু আপলোড ভালোলাগার মতো, জানার জন্য বা নতুনভাবে ভাববার জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে যেমন- ‘মা তখনও কাঁদে যখন সন্তôান খাবার খায়না। আবার মা তখনও কাঁদে যখন সন্তôান খাবার দেয়না’! অথবা একজন মা ১০ জন সন্তôান লালন-পালন করে তাদের প্রতিষ্ঠিত করে বিয়ে শাদী করিয়ে দিতে পারে, কিন্তু ১০ জন সন্তôান মিলে কখনো কখনো একজন মা’য়ের দায়িত্ব নিতে পারেনা। হায় বিচিত্র এই মানব জীবন’! আমাদের বোধের শেকড়ে নাড়া দেয়ার জন্য এমন পোস্ট মাইলফলক ভুমিকা রাখবে। আরেকটি পোস্ট- ‘এক বছরে একটি গাছ আমাদের জন্য কি করে জানেন? ৭৫০ গ্যালন বৃষ্টির পানি শোষণ করে। ১০টি এয়ার কন্ডিশনারের সমপরিমাণ শীতাতম নিয়ন্ত্রণ করে। ৬০ পাউন্ডেরও বেশি ড়্গতিকারক গ্যাস বাতাস থেকে শুষে নেয়। এবার আপনিই ঠিক করম্নন কেন গাছ কাটবেন এবং কেন গাছ লাগাবেন না।’ এসব পোস্ট মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টিতে অতুলনীয়।
এবার ফেসবুকের একটি আজব সত্য ঘটনা শুনুন। রয়টার্স জানিয়েছে, নিজের জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে ফেসবুকের মাধ্যমে ১৬ বছরের এক ডাচ তরম্নণী আমন্ত্রণ জানায় প্রায় ৩০ হাজার ফেসবুক বন্ধুকে। এই আমন্ত্রণ বিরাট বিপর্যয়-বিশৃঙ্খলার কারণ হয়ে দাঁড়ায় ডাচের ছোট্ট হারেন শহরে। মাত্র ১৮ হাজার অধিবাসীর এই ছোট্ট শহরে আমন্ত্রিত হয়ে হাজার তিনেক বন্ধুর আগমণে শহরের পরিস্থিতি সামাল দিতে অন্তôত ৬০০ দাঙ্গা পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়েছে। ডাচ তরম্নণীর আমন্ত্রণ পত্রটি ‘প্রাইভেট’ অপশন সেট করতে ভুলে যাওয়ার কারণে আমন্ত্রণটি ভাইরাসে আক্রান্তô হয়ে ৩০ হাজার মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়ে এই বিপত্তি ঘটায়। ফেসবুক এখন কেবল সামাজিক যোগাযোগ নয়, চাকরির বাজারেও সহায়ক ভুমিকায়। ইউনিভার্সিটি অব ম্যারিল্যান্ডের গবেষণায় ফেসবুক অ্যাপ ইকোনমি নামে নতুন অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে বিশ্বব্যাপী প্রায় দুই লাখ মানুষ কর্মক্ষম হয়ে উঠেছে ফেসবুকের কল্যাণে।
ফেসবুকের মাধ্যমে প্রকট আকার ধারণ করছে পরিবার তন্ত্রের বিলুপ্তি এবং পারিবারিক মূল্যবোধের অবড়্গয়। আমেরিকান একদল আইনজীবী পরিবার তন্ত্রের ধ্বসের কারণ হিসেবে সরাসরি ফেসবুককেই দায়ী করেছেন। তারা বলেন, এখানকার ২৫ শতাংশ বিচ্ছেদ ঘটছে ফেসবুকের কারণে। আবার স্বামী-স্ত্রী পারস্পরিক বিশ্বাসের জায়গাটিতেও আঘাত করছে ফেসবুকের ব্যবহার। এরফলে স্বামী-স্ত্রী সন্দেহবাতিক হয়ে উঠছে। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী ল্যারি রোজেন এক বিবৃতিতে বলেন, মাত্রাতিরিক্ত ফেসবুক ব্যবহার মানুষের মধ্যে ব্যক্তিকেন্দ্রিক চিন্তôার পরিসরকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। এমন ঘটনাও দেখা যায় ফেসবুক ব্যবহার করছে ঠিকই কিন্তু তার ব্যক্তিগত কিছু যেগুলো নিতান্তôই জীবনের জন্য প্রয়োজন সেগুলোর কথায় ভুলে যাচ্ছে সে। যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মনোচিকিৎসক চিকিৎসকদল তরম্নণ-তরম্নণীর ওপর চালানো জরিপে দেখেন, যারা নিয়মিত ফেসবুকে ঢু মারছেন তাদের ধূমপান করার প্রবণতা অনিয়মিতদের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি। এরা অ্যালকোহল, গাঁজাসহ অন্য মাদক গ্রহণেও ঝুঁকে পড়ছে। এ ধরনের প্রবণতার বাড়ার কারণ, সাধারণত এ ধরনের সাইটগুলোতে কোন ধরনের সুপরিকল্পিত নিয়মনীতি থাকে না। সামাজ বিজ্ঞানীরা বলছেন, সম্পর্ককে এ ধরনের কমিউনিকেশন আরও সহজ সাবলীল করে তুলেছে। উইল্টারশায়ারের সেন্ট ম্যারিস ক্লেইন বিদ্যালয়ের হেলেন রাইট নামের এক শিড়্গিকা ডেইলি মেইল-কে দেয়া একান্তô সাড়্গাৎকারে অভিযোগ করেন, বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সেলিব্রেটিরা উঠতি বয়সী মেয়েদের নির্দয় বানাচ্ছে। অনলাইন সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে পরিচিত এসব সাইটের বিভিন্ন পোস্ট, স্ট্যাটাস, মন্তôব্য, টুইট, অসংলগ্ন আলাপ, বিকৃত ভাষার ব্যাবহার, বন্ধুদের দীর্ঘ তালিকা তরম্নণীদের মূল্যবোধকে সহজেই পরাস্তô করছে।
এবার অন্য কথায় আসা যাক। ফেসবুক বেশ অনেক দিন ধরেই ব্যবসায়ীদের কাছে পছন্দের বিজ্ঞাপন প্রচার মাধ্যম। কোন ব্র্যান্ড ঠিক কতটা জনপ্রিয়, তারও একটা হিসেব পাওয়া যায় এখান থেকে। সাধারণ ধারণা অনুযায়ী, যে ব্র্যান্ডে যত বেশি সংখ্যক ‘লাইক’ পড়ে, সেই ব্র্যান্ড ততটাই জনপ্রিয় বলে গণ্য করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটিও এক ধরনের পরোড়্গ বিজ্ঞাপন। আরও বেশি সংখ্যক ব্যবহারকারীর নজর কাড়তে ফেসবুকে নিজেদের জনপ্রিয়তম ব্র্যান্ড হিসেবে দেখাতে এক মাত্র ভরসা ‘লাইক’ বোতাম। ফেসবুক কর্তৃপড়্গের দাবি, বিজ্ঞাপনের জন্য ‘লাইক’ বোতামটির অসাধু ব্যবহার করছে কিছু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। নানা রকম ভূয়া উপায়ে তারা তাদের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর চেষ্টা করছে ফেসবুকে। অনেক সময় আবার ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলিয়ে একই ব্যক্তিকে দিয়ে একাধিক বার ‘লাইক’ করানো হচ্ছে কোনও নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডকে। তাতেই বেড়ে যাচ্ছে লাইকের সংখ্যা। ফলে বাড়ছে ভুয়া জনপ্রিয়তা। এই অসাধু ব্যবহার রম্নখতেই এবার তোড়জোড় শুরম্ন করে দিয়েছেন ফেসবুক কর্তৃপড়্গ। বিড়ম্বনা ঠেকাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নতুন প্রোগ্রাম আনতে চলেছে সাইট কর্তৃপড়্গ। ফেসবুক কর্তৃপড়্গের বিশ্বাস উন্নত নতুন স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এই ধরনের ভুয়া বা সন্দেহজনক লাইক মুছে ফেলা সম্্ভব হবে।
গবেষণা সংস্থা ‘আমেরিকান আøাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিকস’-এর তথ্য বলছে, ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশাল নেটওয়ার্কগুলোতে অধিক সময় কাটানো তরম্নণদের জন্য স্থায়ী হতাশা বা মানসিক রোগের কারণ হতে পারে। ফেসবুক কেন মানুষের মধ্যে বিষণ্নতা তৈরি করছে সে বিষয়ে গবেষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। তারা দেখেছেন, সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে বেশি সময় পার করা মানেই মনের বিষণ্নতা বেড়ে যাওয়া। গবেষণার ফল বলছে, জীবন নিয়ে বেশিরভাগ ফেসবুক ব্যাবহারকারীই হতাশ। অধিকাংশের ধারণা, তাদের চেয়ে বন্ধুরা বিভিন্ন ড়্গেত্রে এগিয়ে রয়েছেন। এ কারণে হীনমণ্যতায় ভোগেন তারা। এ মনোভাব তাদের আরো বেশি করে অপরিচিত ব্যাক্তির সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে উৎসাহ যোগায়।
আরেকটি জরম্নরি খবর দিয়ে লেখাটি শেষ করব। এতোদিন মা-বাবা এবং শিড়্গক-শিড়্গিকারা যে কথাটি বলতেন, এখন তার সঙ্গে একমত গবেষকরাও। অহিও স্টেট ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক জানান, যারা নিয়মিত ফেসবুক ব্যবহার করে, পরীড়্গায় খারাপ রেজাল্টে তারা এগিয়ে থাকে। আমেরিকান এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনে বার্ষিক সভায় উপস্থাপিত রিপোর্টে বলা হয়, গবেষণাটি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিড়্গার্থীদের ওপর করা হলেও, শিশু এবং কিশোরদের ড়্গেত্রেও এর ড়্গতিকর প্রভাব ওই একই। এই সংস্থার গবেষক আরিন বলেছেন, ‘প্রতিটি প্রজন্মেই থাকে ধ্বংসাত্মক একটি কাল যন্ত্র। এই যুগে যা ফেসবুকে নামে এসেছে। এটা অন্যসব ধ্বংসাত্মক রূপ থেকে ভিন্ন রূপে এসেছে।’ যাই হোক আমরা ফেসবুক থেকে ভালো কিছু শিখতে চাই, শেখাতে চাই। জানতে চাই, জানাতে চাই।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন